তিনি আরও বলেন, ওই ব্যক্তি টঙ্গি এলাকায় একটি ওয়াশিং প্লান্টে কাজ করতেন। সেখানে দুর্ঘটনায় তার শ্বাসনালী দগ্ধ হয়। সেদিনই ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়। ১১দিন আইসিইউতে থাকার পর মানসিক সমস্যা হয়। বিভিন্ন সময় আবোল তাবোল বলতে থাকে। আজকে তার মানসিক চিকিৎসক দেখানোর কথা ছিল।
মৃত পলাশ বিশ্বাসের ছোট ভাই অলোক বিশ্বাস বলেন, তাদের বাড়ি মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলার শিবপুর গ্রামে। বাবার নাম জয়ন্ত কুমার বিশ্বাস। বর্তমানে গাজীপুর টঙ্গীয়ে এলাকায় থাকতো। এবং সেখানে একটি ওয়াশিং প্লান্টে কাজ করতো। গত ৬ মার্চ সেখানে অগ্নিকান্ডের ঘটনা শ্বাসনালী পুড়ে যায় এরপর তাকে জাতীয় বান ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়। পলাশ ছয় তলায় ৬০২ নম্বর ওয়ার্ডের ১৮নম্বর বেডে ছিল।
তিনি আরও বলেন, গতরাত আড়াইটার সময় তাকে বেডে দেখে বাইরে চলে আসি। এরপর ভোরে নার্সরা আমাকে জানায়, তার ভাইকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে তাকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় তার ভাই চাঁনখারপুল সংলগ্ন হাসপাতাল ভবনের কম্পাউন্ডের ভিতরে পরে আছে। আমরা সেখানে গিয়ে ভাইকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই।
শাহবাগ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আসাদুল ইসলাম বলেন, সকালে খবর পেয়ে বার্ন ইসস্টিটিউটে যাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি পলাশ বিশ্বাস নামে ওই রোগী ইনস্টিটিউটে ভর্তি ছিলেন। ভোরে ইনস্টিটিউটের ১৬তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।