ময়মনসিংহ , রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

জনগণকে বোকা বানালে বিদ্রোহ করতে এক সেকেন্ডও দেরি করবে না বললেন ডা. মুশতাক

মুক্তিযুদ্ধের পরে যেমন ছাত্রসমাজ বা তরুণসমাজকে যা তা বোঝানো সম্ভব হয়নি, তেমনই বর্তমান জনগণকেও বোকা বানানোর সুযোগ নেই। কারণ তারা গত ১৫ বছরে এসব দেখে এসেছে। জনগণকে বোকা বানানোর চেষ্টা করা হলে তারা বিদ্রোহ করতে এক সেকেন্ডও দেরি করবে না। বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ জাসদ স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. মুশতাক হোসেন।

ক্ষমতা প্রত্যাশিদের জন্য বিবেচনা ও সতর্কতার বিষয়ে কথা বলছিলেন ডা. মুশতাক হোসেন। তিনি বলেন, বর্তমানে যে-ই নির্বাচিত হয়ে আসুক না কেন তিনটি বিষয় তাদের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। ১. গণহত্যার বিচার, ২. ফ্যাসিবাদের বিলোপ, ৩. রাষ্ট্রীয় সংস্কার – এগুলো প্রত্যেকটিই দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। কিন্তু এগুলো হওয়ার জন্য নির্বাচনকে অস্বাভাবিক রকম পিছিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। সুতরাং, যে দলই ক্ষমতায় আসবে তাদের এই বিষয়গুলো পূরণ করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বিগত সরকার যে অগণতান্ত্রিক উপায়ে উন্নয়নের নামে লুটতরাজ করেছে ও জনগণের ঘাড়ে ঋণের বোঝা চাপিয়েছে এসব জনগণ দেখেছে। তাদেরকে বোকা ভাবার কোনো কারণ নেই। নির্বাচিত দল যদি ভাবে এখন আমরা ক্ষমতায়, কিসের বিচার কিসের সংস্কার জনগণ তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনগণকে বোকা বানালে বিদ্রোহ করতে এক সেকেন্ডও দেরি করবে না বললেন ডা. মুশতাক

আপডেট সময় ১১:৪৩:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

মুক্তিযুদ্ধের পরে যেমন ছাত্রসমাজ বা তরুণসমাজকে যা তা বোঝানো সম্ভব হয়নি, তেমনই বর্তমান জনগণকেও বোকা বানানোর সুযোগ নেই। কারণ তারা গত ১৫ বছরে এসব দেখে এসেছে। জনগণকে বোকা বানানোর চেষ্টা করা হলে তারা বিদ্রোহ করতে এক সেকেন্ডও দেরি করবে না। বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ জাসদ স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. মুশতাক হোসেন।

ক্ষমতা প্রত্যাশিদের জন্য বিবেচনা ও সতর্কতার বিষয়ে কথা বলছিলেন ডা. মুশতাক হোসেন। তিনি বলেন, বর্তমানে যে-ই নির্বাচিত হয়ে আসুক না কেন তিনটি বিষয় তাদের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। ১. গণহত্যার বিচার, ২. ফ্যাসিবাদের বিলোপ, ৩. রাষ্ট্রীয় সংস্কার – এগুলো প্রত্যেকটিই দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। কিন্তু এগুলো হওয়ার জন্য নির্বাচনকে অস্বাভাবিক রকম পিছিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। সুতরাং, যে দলই ক্ষমতায় আসবে তাদের এই বিষয়গুলো পূরণ করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বিগত সরকার যে অগণতান্ত্রিক উপায়ে উন্নয়নের নামে লুটতরাজ করেছে ও জনগণের ঘাড়ে ঋণের বোঝা চাপিয়েছে এসব জনগণ দেখেছে। তাদেরকে বোকা ভাবার কোনো কারণ নেই। নির্বাচিত দল যদি ভাবে এখন আমরা ক্ষমতায়, কিসের বিচার কিসের সংস্কার জনগণ তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবে।