ময়মনসিংহ , বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে ভূমিসেবা পাবনায়

  • স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় ১১:২২:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫
  • ১২ বার পড়া হয়েছে

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ভবনটি দীর্ঘদিন ধরে ভগ্নদশায় পরিণত হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবনে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার আবেদন জানানো হলেও ভবনটি সংস্কার বা পুনর্নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। অথচ এই অফিসের মাধ্যমে সরকার প্রতিবছর বিপুল রাজস্ব আয় করে থাকে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৭ সালে উপজেলা ফৌজদারি ও দেওয়ানি আদালত হিসেবে ব্যবহারের জন্য ভবনটি নির্মিত হয়। পরে আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনে এটি সাব-রেজিস্ট্রার অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ভবনটি ইতোমধ্যেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

বর্তমানে ভবনের ছাদ ও দেয়ালের প্লাস্টার খসে পড়ছে, বীমের রড বেরিয়ে গেছে। ছাদের ড্যামেজ অংশ থেকে বালু ও সিমেন্টের চাপড়া খসে পড়ায় সম্প্রতি কয়েকজন কর্মচারী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবুও বিকল্প ভবনের অভাবে এখানেই নিয়মিত দলিল রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলছে।

সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের পেশকার মো.আলতাব হোসেন বলেন, সরকারের এই দপ্তরটি  অধিক গুরুত্বপূর্ণ অথচ দীর্ঘদিন ধরে ভগ্নদশা হয়ে পড়ে আছে। উপায় না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেখানেই তাদের কাজ করতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে মূল্যবান নথিপত্র নষ্ট হবার উপক্রম হয়েছে।

সাব-রেজিস্ট্রার রিজভী ইবনে মাহমুদ বলেন,ভবনটি অনেক পুর্বেই ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। আবার এটি ভেঙ্গে ফেলে নতুন ভবন নির্মাণ করাও হচ্ছেনা। ফলে তারা ঝুঁকি ও কষ্ট দু’টোর মধ্যেই রয়েছেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে ভূমিসেবা পাবনায়

আপডেট সময় ১১:২২:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ভবনটি দীর্ঘদিন ধরে ভগ্নদশায় পরিণত হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবনে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার আবেদন জানানো হলেও ভবনটি সংস্কার বা পুনর্নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। অথচ এই অফিসের মাধ্যমে সরকার প্রতিবছর বিপুল রাজস্ব আয় করে থাকে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৭ সালে উপজেলা ফৌজদারি ও দেওয়ানি আদালত হিসেবে ব্যবহারের জন্য ভবনটি নির্মিত হয়। পরে আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনে এটি সাব-রেজিস্ট্রার অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ভবনটি ইতোমধ্যেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

বর্তমানে ভবনের ছাদ ও দেয়ালের প্লাস্টার খসে পড়ছে, বীমের রড বেরিয়ে গেছে। ছাদের ড্যামেজ অংশ থেকে বালু ও সিমেন্টের চাপড়া খসে পড়ায় সম্প্রতি কয়েকজন কর্মচারী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবুও বিকল্প ভবনের অভাবে এখানেই নিয়মিত দলিল রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলছে।

সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের পেশকার মো.আলতাব হোসেন বলেন, সরকারের এই দপ্তরটি  অধিক গুরুত্বপূর্ণ অথচ দীর্ঘদিন ধরে ভগ্নদশা হয়ে পড়ে আছে। উপায় না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেখানেই তাদের কাজ করতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে মূল্যবান নথিপত্র নষ্ট হবার উপক্রম হয়েছে।

সাব-রেজিস্ট্রার রিজভী ইবনে মাহমুদ বলেন,ভবনটি অনেক পুর্বেই ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। আবার এটি ভেঙ্গে ফেলে নতুন ভবন নির্মাণ করাও হচ্ছেনা। ফলে তারা ঝুঁকি ও কষ্ট দু’টোর মধ্যেই রয়েছেন।