ঝড়ের কবলে পড়েছে দিল্লিগামী ফ্লাইট। ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি প্রতিকূল আবহাওয়ার মুখোমুখি হয়। এ সময় বিমানে তীব্র ঝাঁকুনি হয়েছে।
আজ সোমবার (০২ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লি ও আশপাশের এলাকায় বৃষ্টি, ঝড় এবং প্রবল বাতাসের কারণে ইন্ডিগোর একটি ফ্লাইট তীব্র ঝাঁকুনির সম্মুখীন হয়, যার ফলে পাইলটকে অবতরণ বাতিল করতে হয়। কেবিনের ভেতর থেকে তোলা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, বিমানটি তীব্রভাবে কাঁপছে এবং যাত্রীরা আতঙ্কে চিৎকার করছেন।
অবতরণের কয়েক মিনিট আগে পাইলট ঘোষণা করেন যে, রায়পুর থেকে আগত ফ্লাইটটি দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে পারবে না, কারণ বাতাসের গতি ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় পৌঁছে গেছে। তিনি জানান, বিমানটিকে উচ্চতর উচ্চতায় ফিরে যেতে হবে। আকাশে বেশ কয়েকবার চক্কর দেওয়ার পর, বিমানটি বিকেল ৫টা ৪৩ মিনিটে অবতরণ করে। তবে এটির নির্ধারিত সময় ছিল বিকেল ৫টা ০৫ মিনিট।
এই ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে দিল্লি বিমানবন্দর প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ফ্লাইট পরিচালনায় প্রভাব পড়ার বিষয়ে যাত্রীদের জন্য একটি পরামর্শ জারি করে।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) জানিয়েছে, পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অগ্রসরমাণ একটি মেঘের গুচ্ছ এই আবহাওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। রাজধানীর দক্ষিণাঞ্চলে এক থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যে বাতাসের গতি ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় পৌঁছায়, যা কখনো কখনো ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত গেছে। বিশেষভাবে বিমানবন্দরের নিকটবর্তী পালামে ৪টা ৩০ মিনিটের সময় বায়ুপ্রবাহের গতি ছিল ৬৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা, আর প্রগতি ময়দানে তা পৌঁছায় ৭৬ কিমি প্রতি ঘণ্টা।
আবহাওয়া বিভাগের মতে, এই আকস্মিক ঝড় একাধিক আবহাওয়া ব্যবস্থার মিথস্ক্রিয়ার ফলে সৃষ্ট হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে উত্তর পাকিস্তানের ওপর মধ্য ট্রপোস্ফিয়ারিক স্তরে একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা, হরিয়ানার ওপর নিম্ন স্তরে আরেকটি ঘূর্ণাবর্ত এবং আরব সাগর থেকে অবিচ্ছিন্ন আর্দ্রতার প্রবাহ। অন্যান্য গতিশীল এবং তাপগতিগত কারণগুলোও এই ঝড়ের বিকাশে ভূমিকা রেখেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবহাওয়া বিভাগ সোমবারের জন্য বজ্রপাতসহ ঝড় এবং ৪০-৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতির প্রবল বাতাসের পূর্বাভাস দিয়েছে।