কক্সবাজার ভ্রমণ শেষে মোটরসাইকেলে সুকৌশলে ইয়াবা বহন করে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন মাদক পাচারকারী চক্রের এক সদস্য। এ সময় তার সহযোগীকে মোটরসাইকেলসহ আটক করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) শাখা। মোটরসাইকেল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৩ হাজার ১৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট।
গতকাল বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার পরিদর্শক ছগির হোসেন।
তিনি জানান, নিহত মাদক পাচারকারী কেএম মশিউর রহমান অরিন বাবু নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া এলাকার বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে। আটক ফারদিন মিয়া (২৩) বরিশাল নগরের হজরত কালুশাহ সড়কের লাল মিয়ার ছেলে। তিনি বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের বাংলা বিভাগের অনার্সের শিক্ষার্থী।
আটক ফারদিন মিয়ার বরাতে পরিদর্শক ছগির হোসেন জানান, এক সপ্তাহ আগে বাবু ও ফারদিন কক্সবাজার ভ্রমণে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে তারা বিপুল পরিমাণ ইয়াবা বহন করছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশ জানতে পারে, ট্যুরের নামে ইয়াবার চালানটি বরিশালে আনা হচ্ছে।
কিন্তু বাবু ও ফারদিন যথাসময়ে বরিশালে না পৌঁছালে ডিবি পুলিশ ম্যানুয়ালি খবর নিয়ে জানতে পারে মাদারীপুরের শিবচরে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবু নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার পর তার মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়িতে পাঠানো হয় এবং তাদের দুটি মোটরসাইকেল একটি পিকআপে তুলে বরিশালের উদ্দেশে রওনা দেয়।
বুধবার রাতে বরিশালের এয়ারপোর্ট থানাধীন বাঘিয়া মসজিদের সামনে পিকআপটি থামিয়ে ইয়াবার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ফারদিন স্বীকার করেন মোটরসাইকেলের চেসিসের ভেতরে ইয়াবা লুকানো আছে। পরে মেকানিক দিয়ে চেসিস খুলে ৩ হাজার ১৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
তবে ফারদিন দাবি করেছেন, নিহত বাবুই আগে থেকেই মাদক ব্যবসা ও সেবনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ইয়াবাগুলো তারই ছিল, মোটরসাইকেলে বহনের বিষয়টি তিনি জানতেন না।
পরিদর্শক ছগির হোসেন বলেন, ’তারা পরস্পর যোগসাজশে ট্যুরের নামে ইয়াবা এনে বরিশালে বিক্রি করতে চেয়েছিল। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে। ফারদিনের কাছ থেকে ইয়াবা উদ্ধার হওয়ায় তাকে আসামি করা হবে, তবে বাবু মৃত্যুবরণ করায় তাকে আসামি করা হবে না।’