ঝিনাইদহে জামায়াতের কার্যালয়ে সরকারি অনুদানের সার ও বীজ পাওয়ার ঘটনায় প্রকাশিত সংবাদে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। শনিবার (১ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে দলটি জানায়, জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের মাঝে বিতরণের জন্য জামায়াতকে এসব সার ও বীজ দেওয়া হয়েছিল। তবে বিতরণ সম্পন্ন না হওয়ায় তা সাময়িকভাবে দলীয় কার্যালয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছিল।
বিবৃতিতে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, প্রকাশিত সংবাদটি ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যমূলক ও রাজনৈতিকভাবে প্রণোদিত’। তিনি অভিযোগ করেন, এ ধরনের সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীর ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী মঞ্জুরুল ইসলাম জোয়ারদার জানান, শুক্রবার রাতে জামায়াতের সাইনবোর্ড লাগানো অফিসে সরকারি সার ও বীজের মজুত দেখতে পেয়ে স্থানীয় জনতা ভিড় জমায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মো. জুনায়েদ হাবীব ও সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবদুল লতিফ। তাঁরা ইউনিয়ন জামায়াত কার্যালয়ে সার ও বীজের মজুত দেখতে পান এবং উদ্ধার করে ঝিনাইদহে নিয়ে যান।
তবে বিবৃতিতে জামায়াত দাবি করেছে, ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ তৃণমূল পর্যায়ের কৃষকদের মধ্যে সরকারি প্রণোদনার সার ও বীজ বিতরণের জন্য স্থানীয়ভাবে বিএনপি ও জামায়াতের কাছ থেকে তালিকা নিয়েছিল। সেই অনুযায়ী শুক্রবার সকালে ইউনিয়ন জামায়াত ইসলামীকে ৩০ কৃষকের মধ্যে বিতরণের জন্য শর্ষের বীজ ২২ কেজি, মসুরের বীজ ৩৫ কেজি এবং ৮ বস্তা পটাশ ও ফসফেট সার দেওয়া হয়। জামায়াতের পক্ষ থেকে বেশির ভাগ সার ও বীজ কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। তবে রাত হয়ে যাওয়ায় অবশিষ্ট কিছু সার ও বীজ অফিসে রাখা ছিল, যা শনিবার সকালে বিতরণের কথা ছিল।
বিবৃতিতে বলা হয়, মধ্যরাতে বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন তাঁর অনুসারীদের নিয়ে সেখানে রাখা সার-বীজ উদ্ধার করার নাটক সাজিয়েছেন, যাতে জামায়াতকে ফাঁসানো যায়। তাঁরা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছেন। জামায়াতে ইসলামীর কোনো নেতা–কর্মীর সঙ্গে সরকারি প্রণোদনার অনিয়ম বা অপব্যবহারের কোনো সম্পর্ক নেই।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘তবু যদি কারও কোনো অভিযোগ থাকে, প্রশাসন তা নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটন করুক আমরা এ দাবি জানাচ্ছি।’

ডিজিটাল রিপোর্ট 




















