ময়মনসিংহ , মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

দুদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ চিন্ময় দাসকে

আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা ও রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রক্ষ্মচারীকে জেলগেটে ২দিন জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ রোববার (১৮ মে) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দীনের আদেশ পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সদস্য ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা চিন্ময়কে পৃথকভাবে দুই মামলায় একদিন করে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন। আদালত বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শুনানি শেষে উভয় আবেদনের অনুমোদন দেন।

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বর্তমানে কারাগারে বন্দি আছেন। একসময় তিনি ইসকনের শীর্ষ পর্যায়ের দায়িত্বে থাকলেও এখন বহিষ্কৃত।

গত বছরের ২৬ নভেম্বর ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করে। পরদিন কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণকে। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এটি নিয়ে বিক্ষোভ করেন ইসকন অনুসারীরা। এসময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিক্ষোভকারীরা। ওইদিন দুপুরের পর বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে আদালত এলাকায় মসজিদ-দোকানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়।

একপর্যায়ে ওইদিন বিকেলে আদালতের প্রধান ফটকের বিপরীতে রঙ্গম কনভেনশন হলের গলিতে একদল ইসকন অনুসারীর হাতে খুন হন অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম। এ ঘটনায় গত বছরের ২৯ নভেম্বর দিবাগত রাতে নগরের কোতোয়ালি থানায় ভুক্তভোগী আইনজীবী সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। এতে এজাহারে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এটির পাশাপাশি একই ঘটনায় পুলিশসহ ভুক্তভোগীরা বাদী হয়ে আরও চারটি মামলা করে কোতোয়ালি থানায়।

এই পাঁচটি মামলায় তদন্ত করতে গিয়ে চিন্ময় দাসের সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ। এরপর তদন্ত কর্মকর্তাদের পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ওই মামলাগুলোতে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দেন আদালত।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দুদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ চিন্ময় দাসকে

আপডেট সময় ০২:৩৩:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা ও রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রক্ষ্মচারীকে জেলগেটে ২দিন জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ রোববার (১৮ মে) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দীনের আদেশ পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সদস্য ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা চিন্ময়কে পৃথকভাবে দুই মামলায় একদিন করে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন। আদালত বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শুনানি শেষে উভয় আবেদনের অনুমোদন দেন।

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বর্তমানে কারাগারে বন্দি আছেন। একসময় তিনি ইসকনের শীর্ষ পর্যায়ের দায়িত্বে থাকলেও এখন বহিষ্কৃত।

গত বছরের ২৬ নভেম্বর ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করে। পরদিন কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণকে। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এটি নিয়ে বিক্ষোভ করেন ইসকন অনুসারীরা। এসময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিক্ষোভকারীরা। ওইদিন দুপুরের পর বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে আদালত এলাকায় মসজিদ-দোকানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়।

একপর্যায়ে ওইদিন বিকেলে আদালতের প্রধান ফটকের বিপরীতে রঙ্গম কনভেনশন হলের গলিতে একদল ইসকন অনুসারীর হাতে খুন হন অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম। এ ঘটনায় গত বছরের ২৯ নভেম্বর দিবাগত রাতে নগরের কোতোয়ালি থানায় ভুক্তভোগী আইনজীবী সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। এতে এজাহারে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এটির পাশাপাশি একই ঘটনায় পুলিশসহ ভুক্তভোগীরা বাদী হয়ে আরও চারটি মামলা করে কোতোয়ালি থানায়।

এই পাঁচটি মামলায় তদন্ত করতে গিয়ে চিন্ময় দাসের সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ। এরপর তদন্ত কর্মকর্তাদের পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ওই মামলাগুলোতে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দেন আদালত।