ময়মনসিংহ , শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি হবে না বললেন বাণিজ্য উপদেষ্টা

দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে শুল্ক ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো বাণিজ্যিক চুক্তি হবে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সচিবালয়ে বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্ক আরোপসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের একটি অনলাইন মিটিং রয়েছে। তার ওপর ভিত্তি করে আমরা আমাদের পরবর্তী কর্মকাণ্ড নির্ধারণ করবো। এ বিষয়ের জন্য সরকার কোনো লবিস্ট নিয়োগ করেনি বলেও জানান তিনি।

সময়তো কম ১ আগস্ট তো সামনে, এর মধ্যেই জবাব আসতে হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আমাদের জন্য যেরকম প্রয়োজন তেমন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য প্রয়োজন। এ বিষয়ে আমাদের কর্মকাণ্ডের কোনো স্থবিরতা নেই। আমাদের কর্মকাণ্ড যথেষ্ট গতিশীলতা নিয়ে আগাচ্ছে। আমরা আমাদের অবস্থানগুলো সঠিকভাবে তুলে ধরেছি। সক্ষমতার ভীত্তিতে আমাদের যা করণীয় সেটা তুলে ধরেছি। এখন আমরা জবাবের অপেক্ষায় আছি জবাবে পেলেই চলে যাবো।

ব্যবসায়ীদের পক্ষে থেকে লবিস্ট নিয়োগের একটা আলোচনা আছে সে বিষয়ে কোনো কিছু হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটা ব্যবসায়ীদের এখতিয়ার। সরকারের পক্ষ থেকে নিজস্বভাবে কোনো লবিস্ট নিয়োগ করেনি। একটা জিনিস বুঝতে হবে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইমাজেন্সির জন্য এ কাজটি করেছে। এখানে যে কাঠামোর ওপরে ঘটনাটা ঘটছে সে কাঠামোতে লবিস্টদের করার কোনো কিছু আছে কিনা আমি জানি না। কারণ আমাদের বিভিন্ন বিষয় পরিবর্তন আনতে হবে। এই পরিবর্তনগুলো বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কেউ বুঝতে পারবে না।

তিনি বলেন, এ পরিবর্তনে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের অনেক ধরনের আইনি প্রক্রিয়া আছে। সেই আইনি প্রক্রিয়াগুলো একজন লবিস্টের পক্ষে বোঝা সম্ভব না বলে আমার ধারণা। আমরা আন্তঃমন্ত্রণালয় প্রায় সরকারের সকল মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করছি। গত ১৫ দিন দিন রাত কাজ হয়েছে। সব মিলিয়ে আমরা আমাদের অবস্থান তুলে ধরেছি, আমন্ত্রণ পেলে চলে যাবো।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি খবর প্রচারিত হচ্ছে বাংলাদেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করে যুক্তরাষ্ট্রকে সুবিধা দেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমার এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য নেই। আপনার মতো আমিও একজন বাংলাদেশি। বাংলাদেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করে কেন কাজ করবো। সম্পূর্ণ অবান্তর প্রশ্ন, আমরা যে চেষ্টা করছি তাতে তো তাহলে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের মিটিংয়ের প্রয়োজন হয় না। কোনো একটা নিদিষ্ট কিছু মেনে নিয়ে কাজ করে ফেললে হয়ে যায়। স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করার প্রশ্ন আসলে পরিশ্রমের দরকার কেন।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১ আগস্ট থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশের ওপর ৩৫ ভাগ বাড়তি শুল্ক কার্যকর হতে যাচ্ছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি হবে না বললেন বাণিজ্য উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০২:৫৯:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে শুল্ক ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো বাণিজ্যিক চুক্তি হবে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সচিবালয়ে বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্ক আরোপসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের একটি অনলাইন মিটিং রয়েছে। তার ওপর ভিত্তি করে আমরা আমাদের পরবর্তী কর্মকাণ্ড নির্ধারণ করবো। এ বিষয়ের জন্য সরকার কোনো লবিস্ট নিয়োগ করেনি বলেও জানান তিনি।

সময়তো কম ১ আগস্ট তো সামনে, এর মধ্যেই জবাব আসতে হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আমাদের জন্য যেরকম প্রয়োজন তেমন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য প্রয়োজন। এ বিষয়ে আমাদের কর্মকাণ্ডের কোনো স্থবিরতা নেই। আমাদের কর্মকাণ্ড যথেষ্ট গতিশীলতা নিয়ে আগাচ্ছে। আমরা আমাদের অবস্থানগুলো সঠিকভাবে তুলে ধরেছি। সক্ষমতার ভীত্তিতে আমাদের যা করণীয় সেটা তুলে ধরেছি। এখন আমরা জবাবের অপেক্ষায় আছি জবাবে পেলেই চলে যাবো।

ব্যবসায়ীদের পক্ষে থেকে লবিস্ট নিয়োগের একটা আলোচনা আছে সে বিষয়ে কোনো কিছু হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটা ব্যবসায়ীদের এখতিয়ার। সরকারের পক্ষ থেকে নিজস্বভাবে কোনো লবিস্ট নিয়োগ করেনি। একটা জিনিস বুঝতে হবে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইমাজেন্সির জন্য এ কাজটি করেছে। এখানে যে কাঠামোর ওপরে ঘটনাটা ঘটছে সে কাঠামোতে লবিস্টদের করার কোনো কিছু আছে কিনা আমি জানি না। কারণ আমাদের বিভিন্ন বিষয় পরিবর্তন আনতে হবে। এই পরিবর্তনগুলো বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কেউ বুঝতে পারবে না।

তিনি বলেন, এ পরিবর্তনে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের অনেক ধরনের আইনি প্রক্রিয়া আছে। সেই আইনি প্রক্রিয়াগুলো একজন লবিস্টের পক্ষে বোঝা সম্ভব না বলে আমার ধারণা। আমরা আন্তঃমন্ত্রণালয় প্রায় সরকারের সকল মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করছি। গত ১৫ দিন দিন রাত কাজ হয়েছে। সব মিলিয়ে আমরা আমাদের অবস্থান তুলে ধরেছি, আমন্ত্রণ পেলে চলে যাবো।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি খবর প্রচারিত হচ্ছে বাংলাদেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করে যুক্তরাষ্ট্রকে সুবিধা দেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমার এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য নেই। আপনার মতো আমিও একজন বাংলাদেশি। বাংলাদেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করে কেন কাজ করবো। সম্পূর্ণ অবান্তর প্রশ্ন, আমরা যে চেষ্টা করছি তাতে তো তাহলে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের মিটিংয়ের প্রয়োজন হয় না। কোনো একটা নিদিষ্ট কিছু মেনে নিয়ে কাজ করে ফেললে হয়ে যায়। স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করার প্রশ্ন আসলে পরিশ্রমের দরকার কেন।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১ আগস্ট থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশের ওপর ৩৫ ভাগ বাড়তি শুল্ক কার্যকর হতে যাচ্ছে।