ময়মনসিংহ , শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এখন নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন বললেন ফখরুল বিতর্কিত কর্মকর্তারা যেন নির্বাচনে না থাকতে পারে বললেন মঈন খান একটি দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করার সুযোগ খুঁজছে বললেন সালাহউদ্দিন ইতোমধ্যে সাড়ে ৮ লাখের বেশি করদাতা অনলাইনে রিটার্ন জমা দিয়েছেন জানালেন এনবিআর ‘নির্বাচন ঘিরে যেকোনো অপশক্তি মোকাবেলা করতে সক্ষম আইনশৃঙ্খলা বাহিনী’ হট্টগোলের পর অবশেষে শপথ নিলেন চাকসুর নবনির্বাচিত ছাত্রপ্রতিনিধিরা নির্বাচনের দিনই গণভোটে অটল বিএনপি বললেন ড. মঈন থাইল্যান্ডে সড়ক দুর্ঘটনা,সুস্থ অবস্থায় দেশে ফিরে বাকৃবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু যুবদল-শিবির সংঘর্ষের দুদিন পর পাল্টাপাল্টি মামলা নোয়াখালীতে সিইসির সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধিরা
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

দেশ ছেড়ে পালাতে গিয়ে আটক পাবনা সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৫৫:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
  • ৯৯ বার পড়া হয়েছে

বিদেশে পালাতে গিয়ে পাবনা সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হাসান শাহীনকে আটক করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে বলে নিশ্চিত করেছেন পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সালাম।

আটক সোহেল হাসান শাহীন পাবনা পৌর এলাকার বালিয়াহালট এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে। গত বছরের ৪ আগস্ট পাবনা শহরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলায় একাধিক মামলার আসামি তিনি। তিনি গত বছরের উপজেলা নির্বাচনে পাবনা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, বিদেশে যাওয়ার পথে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হবে। পাবনা থেকে আমাদের একটি টিম রওনা দিচ্ছে। তাকে গ্রেপ্তার করে পাবনায় নিয়ে আসা হবে।

মামার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে পাবনা শহরের ট্রাফিক মোড়ে ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ গণ-অবস্থান কর্মসূচি চলছিল। দুপুরের দিকে হঠাৎ করে পাবনার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ খান এবং তার সহযোড়িরা এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করেন। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন শিক্ষার্থী নিহত হন। এরপর দ্বিতীয় দফায় সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্সসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গুলিবর্ষণে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হন।

এসব ঘটনায় ১০৩ জনের নাম উল্লেখ করে পাবনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও ১২৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে আসামি করে আরেকটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এখন নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন বললেন ফখরুল

দেশ ছেড়ে পালাতে গিয়ে আটক পাবনা সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান

আপডেট সময় ১২:৫৫:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

বিদেশে পালাতে গিয়ে পাবনা সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হাসান শাহীনকে আটক করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে বলে নিশ্চিত করেছেন পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সালাম।

আটক সোহেল হাসান শাহীন পাবনা পৌর এলাকার বালিয়াহালট এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে। গত বছরের ৪ আগস্ট পাবনা শহরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলায় একাধিক মামলার আসামি তিনি। তিনি গত বছরের উপজেলা নির্বাচনে পাবনা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, বিদেশে যাওয়ার পথে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হবে। পাবনা থেকে আমাদের একটি টিম রওনা দিচ্ছে। তাকে গ্রেপ্তার করে পাবনায় নিয়ে আসা হবে।

মামার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে পাবনা শহরের ট্রাফিক মোড়ে ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ গণ-অবস্থান কর্মসূচি চলছিল। দুপুরের দিকে হঠাৎ করে পাবনার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ খান এবং তার সহযোড়িরা এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করেন। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন শিক্ষার্থী নিহত হন। এরপর দ্বিতীয় দফায় সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্সসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গুলিবর্ষণে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হন।

এসব ঘটনায় ১০৩ জনের নাম উল্লেখ করে পাবনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও ১২৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে আসামি করে আরেকটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়।