নগদ আর্থিক সহায়তা পাওয়ায় তারল্য সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোর পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। কমেছে অর্থ উত্তোলনে গ্রাহকের ভিড়। তবে এখনও চাহিদামতো টাকা তুলতে পারছেন না গ্রাহকরা। সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা ব্যাংক কর্মকর্তাদের।ফাস্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন সেই সঙ্গে বাড়তি সহায়তার প্রয়োজন হবে না।
পাল্টাতে শুরু করেছে তারল্য সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোর চিত্র। এস আলমের লুটের শিকার রাজধানী মতিঝিলের সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংকের করপোরেট শাখায় আমানত উত্তোলনে গত মাসেও গ্রাহকের বাড়তি ভিড় দেখা গেছে। তবে এখন তা কমে এসেছে অনেকটাই। টাকার অংকের পরিমাণ বাড়ালেও এখনো চাহিদা অনুযায়ী অর্থ পাচ্ছেন না গ্রাহকরা।
এ বিষয়ে গ্রাহকরা জানান, ব্যাংকে এসে টাকা তুলতে চাইলে বলা হয়, যেই ব্রাঞ্চের চেক সেখানে গিয়ে টাকা তুলতে। আর টাকা তুলতে অপেক্ষা করা ছাড়া তাদের কিছু করার নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তা পাওয়ার পর পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করেছে বলে দাবি শাখাটির ব্যবস্থাপকের। সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে আশা তার।
মোহাম্মদ আব্দুলাহ আল মামুন সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপক বলেন, আগের থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে গেছে। আমার মনে হয়, আর দুই সপ্তাহ এমন থাকলে আগের চিত্র আর থাকবে না। ১০০টি এটিএম বুথ অপারেশনে আছে। আগামী সপ্তাহে সব এটিমএম বুথ অপারেশনে যাবে।
আবদুল মান্নান ফাস্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাপ্ত সহায়তাতেই ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ব্যাংকটি।
দুর্বল ৬ ব্যাংকগুলোকে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা ছাপিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গ্রাহকের স্বার্থের কথা চিন্তা করেই এই সহায়তা বলছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে সহায়তা আর বাড়ানো হবে না বলেও জানান ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা।
তিনি বলেন, আমাদের পরিকল্পনার মধ্যে আছে এটাই শেষ সহায়তা। এই সহায়তাকেই কাজে লাগিয়ে ব্যাংকগুলো তাদের সামর্থ্য দিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।
এদিকে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক বিলের’ মাধ্যমে বাজার থেকে এক হাজার ৫শ’ কোটি টাকা উত্তোলন করে নিয়েছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি। দুর্বল ব্যাংকগুলোকে নতুন টাকা ছাপিয়ে দিলেও বাজারে অতিরিক্ত তারল্য নেই বলেও দাবি করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র।