নির্বাচন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার একটি অংশ হলেও, কেবল নির্বাচন হলেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় না—এ কথা স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন।
ডিবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমরা ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন দেখেছি—যেগুলোতে নির্বাচন ছিল, কিন্তু গণতন্ত্র ছিল না।” তাঁর মতে, একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে হলে কেবল নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা যথেষ্ট নয়; সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—নির্বাচনের সময় যে সরকার ক্ষমতায় থাকে, তাদের ভূমিকা ও আকাঙ্ক্ষা।
তিনি বলেন, “নির্বাচনের সময় ভোটার, রাজনৈতিক দল, প্রশাসন, পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হলেও, সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে তখনকার সরকার—তাদের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলনই অনেক সময় নির্বাচনের ফল নির্ধারণ করেরাজেকুজ্জামান রতন আরও বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো একটি নিরপেক্ষ ব্যবস্থার প্রয়োজন। এটি চালু করতে হলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে, যা করতে গেলে আবার পার্লামেন্টে সমর্থন প্রয়োজন, আর তার জন্য প্রয়োজন একটি নির্বাচন।
তিনি বলেন, “এক্ষেত্রে গণঅভ্যুত্থান একটি নৈতিক জাগরণ তৈরি করে, যা জনগণের শক্তির প্রকাশ। যখন একটি স্বেচ্ছাচারী বা ফ্যাসিবাদী সরকারকে নির্বাচন দিয়ে সরানো সম্ভব হয় না, তখন গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাকে উৎখাত করতে হয়।”