মাদারীপুরে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা গভীর রাতে বিক্ষোভ ও ঝটিকা মশালমিছিল আয়োজন করেছেন। রোববার (১৬ নভেম্বর) দিবাগত রাত প্রায় ২টার দিকে ঢাকা–বরিশাল মহাসড়কের মোস্তফাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মিছিলটি প্রায় ২০ মিনিট মহাসড়কজুড়ে চলতে থাকে। এ সময় মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন ও যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা এ বিক্ষোভ ও মশালমিছিল বের করেন। মোস্তফাপুর এলাকা থেকে ব্যানার হাতে নিয়ে তারা মিছিল শুরু করেন এবং স্লোগান দিতে দিতে বাসস্ট্যান্ডের দিকে অগ্রসর হন। মিছিলে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের হাতে প্রায় ২০–২২টি মশাল ছিল। পুলিশ পৌঁছালে তারা দ্রুত মোটরসাইকেলে করে এলাকা ছাড়ে। মিছিলকারীরা সবাই মুখ ঢেকে মাস্ক পরেছিলেন।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল হোসেন বলেন, ‘মহাসড়কের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়া মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে পুলিশ টহল দিচ্ছে। কেউ যেন কোনোপ্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটাতে পারে, সে জন্য পুলিশ সার্বক্ষণিক নজরদারি জারি রেখেছে। এর ফাঁকে মহাসড়কে সন্ত্রাসী একটি গোষ্ঠী মশালমিছিল বের করেছে বলে শুনেছি। তারা মিছিল বের করার কয়েক মিনিটের মধ্যে পুলিশ চলে আসায় মিছিলকারীরা দ্রুত মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়। তাদের ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।’
এর আগে গতকাল সকাল সাড়ে ৬টায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে গোপালপুর এলাকায় একাধিক গাছ ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করা হয়। এ সময় মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভও করেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। প্রায় চার ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সকাল সাড়ে ৯টায় কালকিনি ও ডাসার থানার পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ডিজিটাল রিপোর্ট 























