নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায় ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে নিরুদ্দেশ হয়েছেন এক কৃষক দল নেতা। এ নিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। সেই জিডির সূত্র ধরে অবশেষে নিরুদ্দেশ সেই কৃষক দল নেতাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ থাকার পর গত শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বারৈখালী এলাকা ইটাখলা থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঋণের বোঝা সামলাতে না পেরে আত্মগোপনে চলে যান আবদুর রাজ্জাক। তবে তাকে নিখোঁজ দাবি করে তার পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। সেই জিডির সূত্র ধরে মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার বাড়ৈখালী বাজার থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। সর্বশেষ রোববার আব্দুর রাজ্জাককে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বারহাট্টা উপজেলার সাহতা ইউনিয়নের বড়গাওয়া গ্রামের মৃত ইছব আলীর ছেলে এবং স্থানীয় কৃষক দল সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক এলাকার লোকজনের কাছ থেকে প্রায় পাঁচ-ছয় লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। এই ঋণের চাপ সহ্য করতে না পেরে তিনি ১ অক্টোবর রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ি থেকে চলে যান।
পুলিশের তদন্তে জানা যায়, এলাকা ছাড়ার পর তিনি ট্রেনে করে প্রথমে গৌরীপুর যান এবং সেখানে এক রাত অবস্থান করেন। পরদিন গৌরীপুর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া গিয়ে আট দিন দিনমজুরের কাজ করেন। এরপর ১১ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে নরসিংদী জেলার পাঁচদোনা এলাকায় যান এবং ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় দিনমজুরের কাজ করেন।
সর্বশেষ গত ১৬ অক্টোবর তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার বাড়ৈখালী বাজারে যান।
এদিকে, আব্দুর রাজ্জাক নিখোঁজ হওয়ার পর তার ছেলে বারহাট্টা থানায় একটি জিডি করেন। বারহাট্টা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আরিফুল ইসলাম তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় মুন্সিগঞ্জ শ্রীনগর উপজেলার বাড়ৈখালী বাজার এলাকায় আব্দুর রাজ্জাকের অবস্থান শনাক্ত করেন। পরে গত শনিবার পুলিশ সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে নেত্রকোনায় নিয়ে আসে।