শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান সিরিজ শেষে প্রায় দুই সপ্তাহের বিশ্রাম পেয়েছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। তবে অনেকেই এই বিশ্রামের সময়েও বসে নেই, চালিয়ে যাচ্ছেন অনুশীলন ও জিম সেশন। সেপ্টেম্বরের ৯ তারিখ থেকে শুরু এশিয়া কাপ। সেজন্য আগস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকে লিটন কুমার দাসদের অনুশীলন ক্যাম্প শুরু হবে।
অনুশীলন ক্যাম্প ও এশিয়া কাপের ফাঁকে কোনো সিরিজ আয়োজন করা যায় কিনা, এমন চেষ্টা করছিল বিসিবি। বিসিবির সেই চেষ্টায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে নেদারল্যান্ডসের ক্রিকেট বোর্ড রয়্যাল ডাচ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। গতকাল দৈনিক ইত্তেফাককে এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবির একটি সূত্র।
বিসিবির ঐ সূত্রমতে, আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ঢাকায় আসছে নেদারল্যান্ডস। সবকিছু ঠিক থাকলে ১৪ আগস্ট ডাচরা ঢাকায় আসতে চলেছেন। এরপর ১৯ থেকে ২৫ আগস্টের মধ্যে তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ হবে। এই সিরিজের মধ্য দিয়ে এশিয়া কাপের প্রস্তুতি নেবে বাংলাদেশ। অবশ্য বাংলাদেশের সেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে আরও আগে থেকে। শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে পরপর টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে উড়ন্ত সূচনা করেছে টাইগার বাহিনী। ডাচদের বিপক্ষে নিজেদের ঝালিয়ে নিয়ে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের লড়াইয়ে নামবে লিটনের দল।
এদিকে এই বিষয়ে বিসিবি পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠু জানিয়েছেন, ‘এশিয়া কাপের আগে সিরিজ খেলার জন্য টেস্ট খেলুড়ে কোনো দেশের সূচি পাওয়া যায়নি। এরপর আয়ারল্যান্ড, নেপাল ও নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এর মধ্য থেকে ডাচরা সিরিজ খেলার জন্য সম্মতি দিয়েছে। তবে সেটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তারা আসবে, এখানে ম্যাচ খেলবে সেজন্য তাদের হিসাব-নিকাশের ব্যাপার রয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে দু-এক দিনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এশিয়া কাপে বাংলাদেশ রয়েছে ‘বি’ গ্রুপে। গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও হংকংয়ের বিপক্ষে লড়াই করবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। শীর্ষ দুইয়ে থাকতে পারলে মিলবে পরের পর্ব অর্থাৎ সুপার ফোরের টিকিট। সেখানে প্রতিটি দল তিনটি করে ম্যাচ খেলবে। এরপর টেবিলের শীর্ষ দুই মুখোমুখি হবে শিরোপার লড়াইয়ে। এশিয়ার এই লড়াই মূলত বৈশ্বিক কোনো টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে।