ময়মনসিংহ , মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

পুলিশ কর্মকর্তাই যখন আসামি, মামলা চলছে ঢিমে তালে

আমেরিকায় বসে ছেলের দেওয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল মাকে। সরকার পতনের পর আদালতে পাল্টা মামলা করা হয় ১৬ জন পুলিশের নাম উল্লেখ করে। আর ওই মামলার তদন্তভারও পড়েছে একজন পুলিশ পরিদর্শকের ওপর।

মামলার আসামিরা যেমন এখনো বহাল রয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ পদে, তেমনি তদন্তেও নেই অগ্রগতি।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট সকালে নগরীর খালিশপুর থানাধীন একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আনিসা সিদ্দিকা নামের এক নারীকে।

দেশ-বিদেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়। পরে জামিনে মুক্ত হন আনিসা সিদ্দিকা। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর মামলা করেন আনিসা।

সম্প্রতি খালিশপুর থানায় গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মামলার আসামিরা এরই মধ্যে বিভিন্ন থানায় বদলি হয়েছেন। জোনের এসিকে নেওয়া হয়েছে মেট্রো পুলিশ লাইনে। এসআই গোলাম মোস্তফা ও শেখ নূরুজ্জামান বদলি হয়েছেন কেএমপির সোনাডাঙ্গা মডেল থানায়। এসআই রফিকুল বর্তমানে আছেন কেএমপির হরিণটানা থানায়। এসআই রেজোয়ান, শরীফুল ইসলাম ও রাকিবুল খুলনা থানায় বদলি হয়েছেন। সেখানে আছেন ওসি মুনীর-উল-গিয়াসও।

যদিও এসআই রাকিবুল ইসলাম দাবি করেছেন, তিনি ওই অভিযানে ছিলেন না, তবে ২০ আগস্টের মামলাটির প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন তিনি। পরে মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।

খালিশপুর থানার বর্তমান ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আনিসা সিদ্দিকার করা মামলাটি গত ১৫ নভেম্বর আদালতের নির্দেশে রেকর্ড হয়, যাতে আসামিরা অনধিকার প্রবেশ করে চুরি করেছেন বলে দাবি করা হয়। কিন্তু পুলিশ তো তখন পোশাক পরে অভিযানে গিয়েছিল। সবই তো জানেন, বোঝেন।’

এ প্রসঙ্গে কেএমপি কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার বলেন, ‘৫ আগস্টের আগের পুলিশ আর এখনকার পুলিশ এক হবে না। তদন্তকারী কর্মকর্তা নিরপেক্ষভাবে তার দায়িত্ব পালন করবেন। কে পুলিশ আর কে অন্য কেউ, সেটি তিনি দেখবেন না। আসামিকে আসামি হিসেবেই তিনি তদন্ত করবেন, এটি বলে দেওয়া আছে।’

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পুলিশ কর্মকর্তাই যখন আসামি, মামলা চলছে ঢিমে তালে

আপডেট সময় ১০:৫৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫

আমেরিকায় বসে ছেলের দেওয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল মাকে। সরকার পতনের পর আদালতে পাল্টা মামলা করা হয় ১৬ জন পুলিশের নাম উল্লেখ করে। আর ওই মামলার তদন্তভারও পড়েছে একজন পুলিশ পরিদর্শকের ওপর।

মামলার আসামিরা যেমন এখনো বহাল রয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ পদে, তেমনি তদন্তেও নেই অগ্রগতি।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট সকালে নগরীর খালিশপুর থানাধীন একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আনিসা সিদ্দিকা নামের এক নারীকে।

দেশ-বিদেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়। পরে জামিনে মুক্ত হন আনিসা সিদ্দিকা। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর মামলা করেন আনিসা।

সম্প্রতি খালিশপুর থানায় গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মামলার আসামিরা এরই মধ্যে বিভিন্ন থানায় বদলি হয়েছেন। জোনের এসিকে নেওয়া হয়েছে মেট্রো পুলিশ লাইনে। এসআই গোলাম মোস্তফা ও শেখ নূরুজ্জামান বদলি হয়েছেন কেএমপির সোনাডাঙ্গা মডেল থানায়। এসআই রফিকুল বর্তমানে আছেন কেএমপির হরিণটানা থানায়। এসআই রেজোয়ান, শরীফুল ইসলাম ও রাকিবুল খুলনা থানায় বদলি হয়েছেন। সেখানে আছেন ওসি মুনীর-উল-গিয়াসও।

যদিও এসআই রাকিবুল ইসলাম দাবি করেছেন, তিনি ওই অভিযানে ছিলেন না, তবে ২০ আগস্টের মামলাটির প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন তিনি। পরে মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।

খালিশপুর থানার বর্তমান ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আনিসা সিদ্দিকার করা মামলাটি গত ১৫ নভেম্বর আদালতের নির্দেশে রেকর্ড হয়, যাতে আসামিরা অনধিকার প্রবেশ করে চুরি করেছেন বলে দাবি করা হয়। কিন্তু পুলিশ তো তখন পোশাক পরে অভিযানে গিয়েছিল। সবই তো জানেন, বোঝেন।’

এ প্রসঙ্গে কেএমপি কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার বলেন, ‘৫ আগস্টের আগের পুলিশ আর এখনকার পুলিশ এক হবে না। তদন্তকারী কর্মকর্তা নিরপেক্ষভাবে তার দায়িত্ব পালন করবেন। কে পুলিশ আর কে অন্য কেউ, সেটি তিনি দেখবেন না। আসামিকে আসামি হিসেবেই তিনি তদন্ত করবেন, এটি বলে দেওয়া আছে।’