ময়মনসিংহ , বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
দশমবারের মতো বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নীতিশ কুমার আজ থেকেই অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়কের আদলে চলার আহ্বান খসরুর এই রায়ের মাধ্যমে সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে বললেন বদিউল আলম মজুমদার সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে , ট্রাকচালকসহ ৪ জন কারাগারে খায়রুল হকের রায়ে পরতে পরতে ভুল ছিল বললেন ব্যারিস্টার কাজল পুলিশের ওপর হামলা বাড়লে ঘরবাড়ি নিজেরাই পাহারা দিতে হবে বললেন ডিএমপি কমিশনার একই স্থানে বিএনপির দুই গ্রুপের কর্মসূচিতে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা কুমিল্লায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা : আমির খসরু তারেক রহমান জন্মদিনে নারীদের ৫ প্রতিশ্রুতি দিলেন সাফল্য-ব্যর্থতার সমালোচনায় পুরো চিত্র প্রতিফলিত হয় না বললেন শফিকুল আলম
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

পৌনে ৫ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী এপ্রিল মাসের বেতন পাননি

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৪৮:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
  • ২১১ বার পড়া হয়েছে

এখন মে মাস প্রায় শেষের পথে, অথচ এখনো এপ্রিল মাসের বেতন পাননি দেশের প্রায় পৌনে পাঁচ লাখ এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারী। অভিযোগ উঠেছে, শুধুমাত্র একটি বিভাগের এক কর্মকর্তার অসুস্থতার কারণে পুরো ব্যবস্থাটি থমকে গেছে। এমন অবস্থায় বেতন না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার কর্মী।

জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) আওতায় থাকা এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা প্রক্রিয়া করে থাকে এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ইএমআইএস) সেল। এই সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট খন্দকার আজিজুর রহমান বর্তমানে অসুস্থ। তার বিকল্প কেউ না থাকায় গত মাসের বেতন বিল তৈরি কার্যক্রম পুরোপুরি থেমে আছে।

একাধিক সূত্র জানায়, শিক্ষকরা এখন তাদের ড্যাশবোর্ডেও প্রয়োজনীয় তথ্য দেখতে পাচ্ছেন না। অনেকে সন্দেহ করছেন, এটি হয়তো বড় কোনো প্রশাসনিক সংকট ঢাকার প্রচেষ্টা। যদিও ইএমআইএস সেলের প্রোগ্রামার মো. জহির উদ্দিন জানান, ‘কাজ এখনও শেষ হয়নি। তবে দ্রুতই শেষ হবে।’

তবে কর্মকর্তাদের দাবি, কাজ শেষ হলেও ব্যাংকে বেতন পৌঁছাতে আরও চার-পাঁচ দিন সময় লাগবে। এ হিসেবে মে মাসের শেষ সপ্তাহের আগে এপ্রিলের বেতন হাতে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

এদিকে শিক্ষক নেতারা বলছেন, একজন কর্মকর্তার অসুস্থতার জন্য পুরো ব্যবস্থাপনা বন্ধ হয়ে যাওয়া অগ্রহণযোগ্য। তারা অভিযোগ করেন, দেশে অসংখ্য আইটি বিশেষজ্ঞ থাকা সত্ত্বেও বিকল্প জনবল নিয়োগে উদাসীনতা প্রমাণ করে, এটি শুধু অব্যবস্থাপনা নয়; বরং এটি অবহেলা এবং ষড়যন্ত্রের অংশ।

শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ বলেন, পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর ভাগ্য একজন কর্মকর্তার স্বাস্থ্যগত অবস্থার ওপর নির্ভর করতে পারে না। এটি শিক্ষকদের প্রতি চরম বৈষম্য এবং পরিকল্পিত বঞ্চনা।

তিনি আরও বলেন, ঈদুল আজহার আগে পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতাসহ মে মাসের বেতন না দেওয়ার জন্য প্রশাসনিকভাবে জটিলতা তৈরি করা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, বর্তমানে ইএফটি (ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার) পদ্ধতিতে বেতন প্রদান শুরু হয়েছে। জানুয়ারি থেকে প্রায় ১ লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক এই ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন, পরে ধাপে ধাপে আরও দেড় লাখ যুক্ত হন। তবে এনআইডি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, জন্মতারিখ বা নামের বানানগত ত্রুটির কারণে অনেকেই এখনো এ ব্যবস্থার বাইরে রয়ে গেছেন, ফলে তাদের বেতন স্থগিত আছে।

বেসরকারি শিক্ষকরা অভিযোগ করছেন, সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিয়মিত বেতন পেলেও, তাদের বারবারই অবহেলার শিকার হতে হচ্ছে। এমন বৈষম্যের নিরসনে জাতীয়করণের দাবি আবারও জোরদার হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে আজ মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খান এবং পরিচালক (মাধ্যমিক) কে এম এ এম সোহেলের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তাদের কাউকেই পাওয়া যায়নি। এমনকি খুদেবার্তা পাঠানো হলেও তারা কোনো সাড়া দেননি।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দশমবারের মতো বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নীতিশ কুমার

পৌনে ৫ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী এপ্রিল মাসের বেতন পাননি

আপডেট সময় ১২:৪৮:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

এখন মে মাস প্রায় শেষের পথে, অথচ এখনো এপ্রিল মাসের বেতন পাননি দেশের প্রায় পৌনে পাঁচ লাখ এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারী। অভিযোগ উঠেছে, শুধুমাত্র একটি বিভাগের এক কর্মকর্তার অসুস্থতার কারণে পুরো ব্যবস্থাটি থমকে গেছে। এমন অবস্থায় বেতন না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার কর্মী।

জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) আওতায় থাকা এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা প্রক্রিয়া করে থাকে এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ইএমআইএস) সেল। এই সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট খন্দকার আজিজুর রহমান বর্তমানে অসুস্থ। তার বিকল্প কেউ না থাকায় গত মাসের বেতন বিল তৈরি কার্যক্রম পুরোপুরি থেমে আছে।

একাধিক সূত্র জানায়, শিক্ষকরা এখন তাদের ড্যাশবোর্ডেও প্রয়োজনীয় তথ্য দেখতে পাচ্ছেন না। অনেকে সন্দেহ করছেন, এটি হয়তো বড় কোনো প্রশাসনিক সংকট ঢাকার প্রচেষ্টা। যদিও ইএমআইএস সেলের প্রোগ্রামার মো. জহির উদ্দিন জানান, ‘কাজ এখনও শেষ হয়নি। তবে দ্রুতই শেষ হবে।’

তবে কর্মকর্তাদের দাবি, কাজ শেষ হলেও ব্যাংকে বেতন পৌঁছাতে আরও চার-পাঁচ দিন সময় লাগবে। এ হিসেবে মে মাসের শেষ সপ্তাহের আগে এপ্রিলের বেতন হাতে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

এদিকে শিক্ষক নেতারা বলছেন, একজন কর্মকর্তার অসুস্থতার জন্য পুরো ব্যবস্থাপনা বন্ধ হয়ে যাওয়া অগ্রহণযোগ্য। তারা অভিযোগ করেন, দেশে অসংখ্য আইটি বিশেষজ্ঞ থাকা সত্ত্বেও বিকল্প জনবল নিয়োগে উদাসীনতা প্রমাণ করে, এটি শুধু অব্যবস্থাপনা নয়; বরং এটি অবহেলা এবং ষড়যন্ত্রের অংশ।

শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ বলেন, পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর ভাগ্য একজন কর্মকর্তার স্বাস্থ্যগত অবস্থার ওপর নির্ভর করতে পারে না। এটি শিক্ষকদের প্রতি চরম বৈষম্য এবং পরিকল্পিত বঞ্চনা।

তিনি আরও বলেন, ঈদুল আজহার আগে পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতাসহ মে মাসের বেতন না দেওয়ার জন্য প্রশাসনিকভাবে জটিলতা তৈরি করা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, বর্তমানে ইএফটি (ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার) পদ্ধতিতে বেতন প্রদান শুরু হয়েছে। জানুয়ারি থেকে প্রায় ১ লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক এই ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন, পরে ধাপে ধাপে আরও দেড় লাখ যুক্ত হন। তবে এনআইডি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, জন্মতারিখ বা নামের বানানগত ত্রুটির কারণে অনেকেই এখনো এ ব্যবস্থার বাইরে রয়ে গেছেন, ফলে তাদের বেতন স্থগিত আছে।

বেসরকারি শিক্ষকরা অভিযোগ করছেন, সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিয়মিত বেতন পেলেও, তাদের বারবারই অবহেলার শিকার হতে হচ্ছে। এমন বৈষম্যের নিরসনে জাতীয়করণের দাবি আবারও জোরদার হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে আজ মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খান এবং পরিচালক (মাধ্যমিক) কে এম এ এম সোহেলের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তাদের কাউকেই পাওয়া যায়নি। এমনকি খুদেবার্তা পাঠানো হলেও তারা কোনো সাড়া দেননি।