ময়মনসিংহ , শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
দশমবারের মতো বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নীতিশ কুমার আজ থেকেই অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়কের আদলে চলার আহ্বান খসরুর এই রায়ের মাধ্যমে সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে বললেন বদিউল আলম মজুমদার সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে , ট্রাকচালকসহ ৪ জন কারাগারে খায়রুল হকের রায়ে পরতে পরতে ভুল ছিল বললেন ব্যারিস্টার কাজল পুলিশের ওপর হামলা বাড়লে ঘরবাড়ি নিজেরাই পাহারা দিতে হবে বললেন ডিএমপি কমিশনার একই স্থানে বিএনপির দুই গ্রুপের কর্মসূচিতে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা কুমিল্লায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা : আমির খসরু তারেক রহমান জন্মদিনে নারীদের ৫ প্রতিশ্রুতি দিলেন সাফল্য-ব্যর্থতার সমালোচনায় পুরো চিত্র প্রতিফলিত হয় না বললেন শফিকুল আলম
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

প্রধান উপদেষ্টার গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে স্থিতিশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি

  • ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৪২:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫
  • ৬০ বার পড়া হয়েছে

গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা এবং ক্ষমতা তার প্রকৃত মালিক দেশের জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বর্তমান সরকার দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতেই মনোযোগী বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

বুধবার (১৩ আগস্ট) মালয়েশিয়ায় বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।

এদিন কুয়ালালামপুরে মালয়েশিয়া ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউকেএম) মিলনায়তনে আয়োজিত এক আনন্দঘন পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের কাছ থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রির সনদ গ্রহণ করেন অধ্যাপক ইউনূস। সামাজিক ব্যবসায় অগ্রণী ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্বনন্দিত এই অর্থনীতিবিদকে সম্মানে ভূষিত করে ইউকেএম।

ড. ইউনূস বলেন, ‘গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে একটি আরও বলিষ্ঠ ও স্থিতিশীল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে তার সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এমন একটি বিশ্বের স্বপ্ন আমি দেখি, যেখানে মানুষ মর্যাদা ও স্বাধীনতার সঙ্গে বসবাস করবে, সবাই বৈষম্য ও ভয়ভীতি থেকে মুক্ত থাকবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান বলেন, ‘গত বছর বাংলাদেশের তরুণরা সাহসিকতার সঙ্গে এক ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল। একটি উন্নত ভবিষ্যতের জন্য দেশের শত শত শিক্ষার্থী ও তরুণ প্রাণ দিয়েছে, যাতে সবাই মর্যাদার সঙ্গে, ভয়ভীতি, বৈষম্য ও অবিচারমুক্তভাবে বসবাস করতে পারে।’

‘তরুণদের নেতৃত্বে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়ে নতুন অর্থ এবং দেশের ভবিষ্যতের জন্য নতুন আশার সঞ্চার করেছে।’

তিনি বলেন, ‘আজ আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত, যেখানে শাসন হবে ন্যায়ভিত্তিক, অর্থনীতি হবে সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সাফল্যের পথে প্রত্যেকে সমান সুযোগ পাবে। আমাদের সরকার শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে মনোযোগী।’

তার ভাষ্যে, দেশকে এগিয়ে নিতে সরকারের সামনে একটি সুস্পষ্ট লক্ষ্য ও বিস্তারিত পরিকল্পনা রয়েছে, যার প্রতি তারা দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, একটি শক্তিশালী ও স্থিতিশীল বাংলাদেশ গড়তে বড় ধরনের অর্থনৈতিক পরিবর্তন প্রয়োজন। এর মধ্যে রয়েছে উদ্যোক্তাদের সহায়তা, শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা।

পরে ইউকেএম ও ইউনূস সোশ্যাল বিজনেস সেন্টার নেটওয়ার্কের যৌথ আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় নেটওয়ার্কের সদস্যদের সঙ্গে তার একটি সেশন অনুষ্ঠিত হয়।

এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি বইতে স্বাক্ষর করেন অধ্যাপক ইউনূস। এছাড়া নেগেরি সেমবিলানের রাজা (ইউকেএমের চ্যান্সেলর) সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক সাক্ষাতে অংশ নেন।

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের আমন্ত্রণে দেশটিতে সফরে রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দশমবারের মতো বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নীতিশ কুমার

প্রধান উপদেষ্টার গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে স্থিতিশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি

আপডেট সময় ০২:৪২:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫

গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা এবং ক্ষমতা তার প্রকৃত মালিক দেশের জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বর্তমান সরকার দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতেই মনোযোগী বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

বুধবার (১৩ আগস্ট) মালয়েশিয়ায় বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।

এদিন কুয়ালালামপুরে মালয়েশিয়া ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউকেএম) মিলনায়তনে আয়োজিত এক আনন্দঘন পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের কাছ থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রির সনদ গ্রহণ করেন অধ্যাপক ইউনূস। সামাজিক ব্যবসায় অগ্রণী ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্বনন্দিত এই অর্থনীতিবিদকে সম্মানে ভূষিত করে ইউকেএম।

ড. ইউনূস বলেন, ‘গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে একটি আরও বলিষ্ঠ ও স্থিতিশীল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে তার সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এমন একটি বিশ্বের স্বপ্ন আমি দেখি, যেখানে মানুষ মর্যাদা ও স্বাধীনতার সঙ্গে বসবাস করবে, সবাই বৈষম্য ও ভয়ভীতি থেকে মুক্ত থাকবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান বলেন, ‘গত বছর বাংলাদেশের তরুণরা সাহসিকতার সঙ্গে এক ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল। একটি উন্নত ভবিষ্যতের জন্য দেশের শত শত শিক্ষার্থী ও তরুণ প্রাণ দিয়েছে, যাতে সবাই মর্যাদার সঙ্গে, ভয়ভীতি, বৈষম্য ও অবিচারমুক্তভাবে বসবাস করতে পারে।’

‘তরুণদের নেতৃত্বে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়ে নতুন অর্থ এবং দেশের ভবিষ্যতের জন্য নতুন আশার সঞ্চার করেছে।’

তিনি বলেন, ‘আজ আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত, যেখানে শাসন হবে ন্যায়ভিত্তিক, অর্থনীতি হবে সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সাফল্যের পথে প্রত্যেকে সমান সুযোগ পাবে। আমাদের সরকার শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে মনোযোগী।’

তার ভাষ্যে, দেশকে এগিয়ে নিতে সরকারের সামনে একটি সুস্পষ্ট লক্ষ্য ও বিস্তারিত পরিকল্পনা রয়েছে, যার প্রতি তারা দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, একটি শক্তিশালী ও স্থিতিশীল বাংলাদেশ গড়তে বড় ধরনের অর্থনৈতিক পরিবর্তন প্রয়োজন। এর মধ্যে রয়েছে উদ্যোক্তাদের সহায়তা, শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা।

পরে ইউকেএম ও ইউনূস সোশ্যাল বিজনেস সেন্টার নেটওয়ার্কের যৌথ আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় নেটওয়ার্কের সদস্যদের সঙ্গে তার একটি সেশন অনুষ্ঠিত হয়।

এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি বইতে স্বাক্ষর করেন অধ্যাপক ইউনূস। এছাড়া নেগেরি সেমবিলানের রাজা (ইউকেএমের চ্যান্সেলর) সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক সাক্ষাতে অংশ নেন।

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের আমন্ত্রণে দেশটিতে সফরে রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস।