ময়মনসিংহ , মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

প্রেসসচিব বললেন মাগুরার শিশুটির অবস্থার আরো অবনতি

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৫৮:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
  • ৫৩ বার পড়া হয়েছে

 প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেছেন, মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার শিশুটির শারীরিক অবস্থা আরো অবনতি হয়েছে। চিকিৎসারা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন

আজ বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে প্রেসসচিব এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) চিকিৎসকরা প্রাণান্তর চেষ্টা করছেন।

 সিএমএইচের চিকিৎসকরা জানায়, আজ বুধবার দুইবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে শিশুটির। বর্তমানে শিশুটি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শিশু বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে লাইফ সাপোর্টে রয়েছে।

সিএমএইচের চিকিৎসক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শিশুটির চিকিৎসায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

ওই শিশুর চিকিৎসায় সিএমএইচের চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের এক সদস্য বলেন, তার অবস্থা আরো জটিল হয়েছে। আজ সকাল আটটার দিকে প্রথমবার তার হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়।চিকিৎসায় তার হৃৎস্পন্দন ফিরে আসে।

পরে দ্বিতীয়বার তার হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়। সেবারও চিকিৎসায় তা ফিরে আসে। তার মস্তিষ্ক প্রতিক্রিয়াহীন অবস্থায় আছে। শিশুটির গ্লাসগো কোমা স্কেল (জিসিএস) ৩। মস্তিষ্কের আঘাতের কারণে কোনো ব্যক্তির চেতনার মাত্রা হলো জিসিএস।
মানুষের স্বাভাবিক মাত্রা হলো ১৫। জিসিএস ৩ অবস্থাকে মস্তিষ্কের প্রতিক্রিয়াহীন অবস্থা বলে বিবেচনা করা হয়।এদিকে শিশুটির ভগ্নিপতি, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাসুরকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। শিশুর বোনের শ্বশুরকে সাত দিন, স্বামী, শাশুড়ি ও ভাসুর প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন মাগুরার আদালত।

গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার বোনের শাশুড়ি। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে যান। ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এরপর শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সংকটাপন্ন শিশুটিকে গত শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পিআইসিইউ থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রেসসচিব বললেন মাগুরার শিশুটির অবস্থার আরো অবনতি

আপডেট সময় ০৩:৫৮:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

 প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেছেন, মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার শিশুটির শারীরিক অবস্থা আরো অবনতি হয়েছে। চিকিৎসারা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন

আজ বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে প্রেসসচিব এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) চিকিৎসকরা প্রাণান্তর চেষ্টা করছেন।

 সিএমএইচের চিকিৎসকরা জানায়, আজ বুধবার দুইবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে শিশুটির। বর্তমানে শিশুটি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শিশু বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে লাইফ সাপোর্টে রয়েছে।

সিএমএইচের চিকিৎসক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শিশুটির চিকিৎসায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

ওই শিশুর চিকিৎসায় সিএমএইচের চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের এক সদস্য বলেন, তার অবস্থা আরো জটিল হয়েছে। আজ সকাল আটটার দিকে প্রথমবার তার হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়।চিকিৎসায় তার হৃৎস্পন্দন ফিরে আসে।

পরে দ্বিতীয়বার তার হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়। সেবারও চিকিৎসায় তা ফিরে আসে। তার মস্তিষ্ক প্রতিক্রিয়াহীন অবস্থায় আছে। শিশুটির গ্লাসগো কোমা স্কেল (জিসিএস) ৩। মস্তিষ্কের আঘাতের কারণে কোনো ব্যক্তির চেতনার মাত্রা হলো জিসিএস।
মানুষের স্বাভাবিক মাত্রা হলো ১৫। জিসিএস ৩ অবস্থাকে মস্তিষ্কের প্রতিক্রিয়াহীন অবস্থা বলে বিবেচনা করা হয়।এদিকে শিশুটির ভগ্নিপতি, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাসুরকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। শিশুর বোনের শ্বশুরকে সাত দিন, স্বামী, শাশুড়ি ও ভাসুর প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন মাগুরার আদালত।

গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার বোনের শাশুড়ি। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে যান। ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এরপর শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সংকটাপন্ন শিশুটিকে গত শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পিআইসিইউ থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।