শ্রীলঙ্কায় প্রাণঘাতী ঘূর্ণিঝড় দিতওয়ার বয়ে নিয়ে আসা ভারি বৃষ্টিতে এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৪১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও দেশজুড়ে নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৩৩৬ জন।
দেশটির মধ্যাঞ্চলের বাসিন্দা নওয়াজ নাশরা স্মরণ করেন, কীভাবে তিনি নিজেকে ও তার তিন বছর বয়সী কন্যাকে দুর্যোগের মধ্যে তার বাড়িতে আঘাত হানা ভূমিধস থেকে রক্ষা করেছিলেন। কন্যাকে বিছানার একটি চাদর দিয়ে মুড়ে নিয়ে দৌঁড়ে ঘর ছেড়ে পালান তিনি।
শ্রীলঙ্কা ক্যান্ডিতে ভূমিধসে ভেঙে পড়া একটি বৌদ্ধ মন্দির। ছবি: রয়টার্স
রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘ঘুটঘুটে অন্ধকার, তার মধ্যে আমরা শুধু বজ্রপাতের মতো শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম। পাশের বাড়িটা আমাদের চোখের সামনেই ভেঙে পড়ে। কাউকে সতর্ক করার মতো কোনো সময় ছিল না।’
ক্যান্ডি অঞ্চলের ২০ হাজারেরও বেশি মানুষকে ১৭৬টি আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পুরো দেশজুড়ে ৩৩৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন আর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ১২ লাখ মানুষ। যে সব এলাকায় ভূমিধস হয়েছে, সেখানে মাটিতে চাপা পড়া মৃতদেহ উদ্ধারে শত শত সেনা ও পুলিশ সদস্য কাজ করছেন।ক্যান্ডিতে ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ির দিকে তাকিয়ে আছেন এক পুলিশ সদস্য। ছবি: রয়টার্স
পাহাড় থেকে ধসে পড়া মাটি, পাথর ও গাছের ভেঙে পড়া ডালসহ রাস্তায় রাস্তায় জমে থাকা বিভিন্ন আবর্জনা সরাতে কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার বুলডোজার ও অন্যান্য ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেছে।
সম্প্রতি দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় প্রাণঘাতী কয়েকটি ঝড় বয়ে গেছে, এসব ঝড়ে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের বিশাল এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে শত শত মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের সময় প্রবল বাতাসে টেলিযোগাযোগ ও বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। বর্তমানে এসব সরবরাহ স্বাভাবিক করতেও কাজ শুরু হয়েছে।

ডিজিটাল ডেস্ক 
























