প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, প্রফেসর ইউনূস বারবার বলেছেন যে, বাংলাদেশে প্রচুর চাকরি তৈরি করতে হলে আমাদের জন্য ব্যাপক পরিমাণে বিদেশি সরাসরি বিনিয়োগ (এফডিআই) প্রয়োজন। আর এর জন্য আমাদেরকে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হবে, দরজায় দরজায় গিয়ে বলতে হবে, ‘আমরা প্রস্তুত, আসুন, বিনিয়োগ করুন।’ এজন্য যেখানে-সেখানে তিনি এই বার্তা প্রচার করেন, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, নিউইয়র্ক, ডাবলিন—যেখানেই যাওয়া, তার মূল লক্ষ্য হলো বাংলাদেশকে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে উপস্থাপন করা এবং বিনিয়োগের আহ্বান করা। আর এমনটা যদি হয় তাহলে বাংলাদেশে জবের বন্যা বয়ে যাবে।
শফিকুল আলম বলেন, বিমসটেক সম্মেলনের সাইডলাইনে নানা বৈঠকে প্রফেসর ইউনূস বাংলাদেশের অর্জনগুলো তুলে ধরবেন এবং এই অঞ্চলে আরও বাণিজ্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করবেন।
উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, ‘প্রফেসর ইউনূসের মতে, বিদেশি বিনিয়োগ আসলে বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে। যদি বিনিয়োগ আসে, তাহলে আমাদের তরুণ প্রজন্মের জন্য ব্যাপক পরিমাণে চাকরি সৃষ্টি হবে এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশ আরও শক্তিশালী হবে।’
শফিকুল আলম আরও বলেন, বাংলাদেশের উন্নতির জন্য শুধু সরকারের একার কাজ নয়, এটা সবার কাজ। আমাদের সকলের উচিত বাংলাদেশের প্রতি ইতিবাচক বার্তা পৌঁছানো, যাতে আন্তর্জাতিকভাবে বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করছি। ইতোমধ্যে আমরা আট মাসের মতো একটি স্থিতিশীল জায়গায় পৌঁছেছি, এবং আমরা আরও ভালো অবস্থানে যেতে চাই, যাতে আমাদের গল্প পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে যায়।’
তিনি বলেন, ‘প্রফেসর ইউনুস আরও বলেছেন- বাংলাদেশকে তিনি একটি ম্যানুফ্যাকচারিং হাব হিসেবে গড়ে তুলতে চান। যদি এটি সফল হয়, তাহলে বাংলাদেশের প্রচুর ফ্যাক্টরি গড়ে উঠবে এবং শুধু দেশীয় বাজারের জন্য নয়, আন্তর্জাতিক বাজারের জন্যও পণ্য উৎপাদন হবে। এর ফলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম প্রধান উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।’