ময়মনসিংহ , বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
বিএনপি মহাসচিব সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করবেন চুয়াডাঙ্গা ‘মদপানে’ ৬ জনের মৃত্যু কবর থেকে তোলা হল চার মরদেহ ইমপোর্ট কুরিয়ার সেকশন থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বললেন বেবিচক চেয়ারম্যান পিআর পদ্ধতির নামে নির্বাচন ‘ভণ্ডুলের ষড়যন্ত্র চলছে বললেন আমান জোবায়েদকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ওই ছাত্রী ও মাহির বললেন পুলিশ আসন্ন নির্বাচনে এআই’র অপব্যবহার ঠেকাতে প্রস্তুত ইসি বললেন সিইসি আজ সাবেক এমপিসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে ১৪তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ তাইওয়ান দখল করতে চায় না চীন বললেন ট্রাম্প বিবিএস অতিমাত্রায় প্রকল্পনির্ভরতা ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে দুর্বল সিরাজগঞ্জে কিশোরীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, চিৎকার আড়াল করতে সাউন্ডবক্সে চলে গান
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় নিয়ে উদ্বেগ, অন্তর্বর্তী সরকারের বার্তা

  • ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৫৩:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
  • ১৭৭ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) মিশন শুরু হয়েছে। এ লক্ষ্যে ৩ বছরের জন্য একটি সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষরিত হয়েছে। বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ার পর সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছে, বাংলাদেশের প্রচলিত আইন, সামাজিক রীতিনীতি ও সাংস্কৃতিক কাঠামোর বাইরে যায় এমন কোনো এজেন্ডা এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে না।

প্রধান উপদেষ্টা প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) সঙ্গে ৩ বছরের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি মিশন পরিচালিত হবে, যার লক্ষ্য হলো দেশে মানবাধিকার উন্নয়ন ও সুরক্ষায় সহায়তা দেওয়া।’

এতে বলা হয়, ‘এই মিশনের উদ্দেশ্য—সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি সংগঠনগুলোকে প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা দেওয়া। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ যাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংক্রান্ত দায়বদ্ধতা পূরণ করতে পারে, সে লক্ষ্যে সক্ষমতা বৃদ্ধি, আইনি সহায়তা এবং প্রাতিষ্ঠানিক শক্তিশালীকরণ করা হবে।’

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ঘটে যাওয়া গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় সরকারের সংস্কার ও জবাবদিহির অঙ্গীকারের অংশ হিসেবেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

সরকার জানিয়েছে, আমরা আশা করি, এই মিশন সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করবে এবং স্থানীয় অংশীজনদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় থাকবে। জাতিসংঘ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তারা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় বাস্তবতাকে পুরোপুরি সম্মান করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

এ ছাড়া, সরকারের পূর্ণ সার্বভৌম অধিকার থাকবে এ চুক্তি থেকে সরে আসার, যদি মনে করে যে এই অংশীদারত্ব আর দেশের স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়—বলেও উল্লেখ করা হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

উল্লেখ্য, যদি এই ধরনের একটি অফিস আগের সরকারগুলোর সময় থাকত, যখন বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গণহত্যার মতো অপরাধ দায়মুক্তির সঙ্গে সংঘটিত হতো, তাহলে হয়তো অনেক অপরাধ তদন্ত, নথিভুক্ত ও বিচারপ্রাপ্ত হতো। আজকের মানবাধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি কেবল আদর্শ নয়, বরং ন্যায়ের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হওয়া উচিত।

সরকার এই অংশীদারত্বকে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করা এবং নাগরিকদের সুরক্ষা বৃদ্ধির একটি সুযোগ হিসেবে দেখছে, যা আমাদের মূল্যবোধ, আইন এবং জনগণের প্রতি জবাবদিহির ভিত্তিতে পরিচালিত হবে বলেও জানানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

বিএনপি মহাসচিব সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করবেন

বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় নিয়ে উদ্বেগ, অন্তর্বর্তী সরকারের বার্তা

আপডেট সময় ১২:৫৩:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) মিশন শুরু হয়েছে। এ লক্ষ্যে ৩ বছরের জন্য একটি সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষরিত হয়েছে। বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ার পর সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছে, বাংলাদেশের প্রচলিত আইন, সামাজিক রীতিনীতি ও সাংস্কৃতিক কাঠামোর বাইরে যায় এমন কোনো এজেন্ডা এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে না।

প্রধান উপদেষ্টা প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) সঙ্গে ৩ বছরের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি মিশন পরিচালিত হবে, যার লক্ষ্য হলো দেশে মানবাধিকার উন্নয়ন ও সুরক্ষায় সহায়তা দেওয়া।’

এতে বলা হয়, ‘এই মিশনের উদ্দেশ্য—সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি সংগঠনগুলোকে প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা দেওয়া। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ যাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংক্রান্ত দায়বদ্ধতা পূরণ করতে পারে, সে লক্ষ্যে সক্ষমতা বৃদ্ধি, আইনি সহায়তা এবং প্রাতিষ্ঠানিক শক্তিশালীকরণ করা হবে।’

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ঘটে যাওয়া গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় সরকারের সংস্কার ও জবাবদিহির অঙ্গীকারের অংশ হিসেবেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

সরকার জানিয়েছে, আমরা আশা করি, এই মিশন সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করবে এবং স্থানীয় অংশীজনদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় থাকবে। জাতিসংঘ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তারা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় বাস্তবতাকে পুরোপুরি সম্মান করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

এ ছাড়া, সরকারের পূর্ণ সার্বভৌম অধিকার থাকবে এ চুক্তি থেকে সরে আসার, যদি মনে করে যে এই অংশীদারত্ব আর দেশের স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়—বলেও উল্লেখ করা হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

উল্লেখ্য, যদি এই ধরনের একটি অফিস আগের সরকারগুলোর সময় থাকত, যখন বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গণহত্যার মতো অপরাধ দায়মুক্তির সঙ্গে সংঘটিত হতো, তাহলে হয়তো অনেক অপরাধ তদন্ত, নথিভুক্ত ও বিচারপ্রাপ্ত হতো। আজকের মানবাধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি কেবল আদর্শ নয়, বরং ন্যায়ের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হওয়া উচিত।

সরকার এই অংশীদারত্বকে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করা এবং নাগরিকদের সুরক্ষা বৃদ্ধির একটি সুযোগ হিসেবে দেখছে, যা আমাদের মূল্যবোধ, আইন এবং জনগণের প্রতি জবাবদিহির ভিত্তিতে পরিচালিত হবে বলেও জানানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।