ময়মনসিংহ , সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
লুটের টাকা কোথায় ব্যবহৃত হবে:প্রেস সচিব এনবিআর দুই ভাগ করার প্রক্রিয়া ঠিক হয়নি বললেন ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য নগর ভবন এলাকা ‘ব্লকেড’,পদত্যাগ দাবি উপদেষ্টা আসিফের নুসরাত ফারিয়ার প্রতি অন্যায় করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন খায়রুল বাসার শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে , বৃদ্ধ গ্রেপ্তার ইশরাক সমর্থকদের নগর ভবন আটকে ব্লকেড কর্মসূচি, বন্ধ সেবা উপদেষ্টা ফারুকী নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেফতারে বিব্রত তুহিন মালিকের ৩ এজেন্ডা ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে অজ্ঞাত তরুণের রক্তাক্ত মরদেহ নড়াইলে রেললাইনের পাশে পড়েছিল বিশেষ অনুমতি ছাড়াই কুয়েতের ভিসা সুবিধা পাচ্ছেন বাংলাদেশিরা বললেন উপদেষ্টা আসিফ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

আজ বাবাকে ভালোবাসার দিন

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় ১০:২৯:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪
  • ১৪৬ বার পড়া হয়েছে

সংগৃহীত ছবি

অনলাইন নিউজ-

ওয়াশিংটনের স্পোকাসে সোনোরা স্মার্ট ডড নামে এক নারী ছিলেন। তার বিপত্নীক বাবা ছয় মেয়েকে লালন-পালন করেছিলেন। আর বিয়ে থা করেননি। বাবার প্রতি তার কৃতজ্ঞতা ভালোবাসার প্রকাশস্বরুপই সোনোরা বাবা দিবসের প্রচলন করেন। কাজটি সহজ ছিল না। বাবা দিবসকে উদযাপনের উপলক্ষ্য করতে স্থানীয় চার্চ এবং ওয়াইএমসিএ-তে ব্যাপক দৌড়ঝাঁপ করতে হয় তাকে। প্রশাসনের তরফে তিনি দ্রুতই সাফল্য পান। ১৯ জুন বাবা দিবস ঘোষণা করা হয় ওয়াশিংটনে। 

১৯১৬ ও ১৯২৪ সালের প্রেসিডেন্ট উইলসন ও ক্যালভিন কুলিজ নতুন এই ধারণায় খুশি হয়েছিলেন। তবে বাবা দিবসকে জাতীয় পর্যায়ে উদযাপন শুরু হয় ১৯৬৬ সালে যখন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসন বাবা দিবস জাতীয়ভাবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেন। তবে একমাত্র ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট নিক্সন বাবা দিবস উদযাপনের সাফল্য এনে দেন। আস্তে আস্তে বাবা দিবস সারা বিশ্বেই পরিচিতি পায়। যুক্তরাষ্ট্রে আচমকা বাবাদের হারিয়ে যাওয়ার বেদনাকাতর গল্পের অভাব নেই৷ পরিবারের দায়িত্ব নিতে না চাওয়া বাবারা আচমকা হারিয়ে যান। ফলে অনেকের শৈশব কাটে বাবার শূণ্যতায়।

আমেরিকার বিস্তৃত, বৈচিত্র্যময় ভূখণ্ডে বাবার সঙ্গে পর্বতে ক্যাম্প করা কিংবা মাছ ধরার অভিজ্ঞতার বর্ণনাও কি স্টেইনবেকে নেই? আছে। বাবাকে তাই সারাজীবন ক্ষত হিসেবে দেখা অনেক আমেরিকান তাও আকাঙ্ক্ষা করেন বাবাকে। গোটা বিশ্বের অন্যত্র তা একটু ভিন্ন।বাবা দিবসকে বিশ্বের অধিকাংশ দেশই এখন গুরুত্ব দিয়ে উদযাপন করে। ইউরোপে পরিবারের সবাই একত্রিত হয়ে সারপ্রাইজ দেওয়া বা বাবাকে উপহার দেওয়ার হিসেবটিই থাকে কয়েকদিন আগে। বাবাকে একটু বিশেষ করা। ইউটিউবে গেলে এমন অনেক আবেগঘন ভিডিও দেখা যাবে। বাবা দিবসকে অত সফলভাবে এখনও পাওয়া যায়নি। কারণ ফুল বা উপহার বিতরণের মধ্যে পুরোষোচিত ভাবটি থাকে না। বাণিজ্যিকভাবেও উৎসবটি অত দারুণ নয়। তারপরও বিশ্বের অনেক স্থানে বাবা দিবস এখন ট্রেন্ড হয়ে গেছে।

আজ বাবাকে ভালোবাসার দিন

দক্ষিণ এশিয়া বা এশিয়ার এই অঞ্চলে বাবা মহীরুহ। আফ্রিকাতেও বাবা বুড়োটে হলেও তাকে যে সম্মানের স্থানে রাখা হয় তার আবেগ এই দিবসকে রঙিন এখনও করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ফিডে তা পাওয়া যায়। দেখা যায়, বাবা কতটা বড় ছায়া। বটবৃক্ষের মতো আগলে রাখেন। বাবা দিবসে তাই বাবাকে একটু বিশেষ ভাবনায় রাখার বিষয়টি থাকে। আমাদের দেশেও এই ট্রেন্ড আছে। অত জোরদার না। তবে বাবার সঙ্গে এক ধরনের সম্মানগত দূরত্ব থেকেই সবাই দিনটি উদযাপন করে। বাবা দিবসে আর কি করার আছে। বাবার সঙ্গে আলাপ করুন। তাকে বলার প্রয়োজন নেই কতটা আশ্রয় পাচ্ছেন। জানান, আপনি আছেন। আর যার নেই তিনি স্মৃতিতে সুন্দর বেছে নিতে পারেন। সুন্দর করে নেওয়াটাই ত মূল এই দিনে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

লুটের টাকা কোথায় ব্যবহৃত হবে:প্রেস সচিব

আজ বাবাকে ভালোবাসার দিন

আপডেট সময় ১০:২৯:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪

অনলাইন নিউজ-

ওয়াশিংটনের স্পোকাসে সোনোরা স্মার্ট ডড নামে এক নারী ছিলেন। তার বিপত্নীক বাবা ছয় মেয়েকে লালন-পালন করেছিলেন। আর বিয়ে থা করেননি। বাবার প্রতি তার কৃতজ্ঞতা ভালোবাসার প্রকাশস্বরুপই সোনোরা বাবা দিবসের প্রচলন করেন। কাজটি সহজ ছিল না। বাবা দিবসকে উদযাপনের উপলক্ষ্য করতে স্থানীয় চার্চ এবং ওয়াইএমসিএ-তে ব্যাপক দৌড়ঝাঁপ করতে হয় তাকে। প্রশাসনের তরফে তিনি দ্রুতই সাফল্য পান। ১৯ জুন বাবা দিবস ঘোষণা করা হয় ওয়াশিংটনে। 

১৯১৬ ও ১৯২৪ সালের প্রেসিডেন্ট উইলসন ও ক্যালভিন কুলিজ নতুন এই ধারণায় খুশি হয়েছিলেন। তবে বাবা দিবসকে জাতীয় পর্যায়ে উদযাপন শুরু হয় ১৯৬৬ সালে যখন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসন বাবা দিবস জাতীয়ভাবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেন। তবে একমাত্র ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট নিক্সন বাবা দিবস উদযাপনের সাফল্য এনে দেন। আস্তে আস্তে বাবা দিবস সারা বিশ্বেই পরিচিতি পায়। যুক্তরাষ্ট্রে আচমকা বাবাদের হারিয়ে যাওয়ার বেদনাকাতর গল্পের অভাব নেই৷ পরিবারের দায়িত্ব নিতে না চাওয়া বাবারা আচমকা হারিয়ে যান। ফলে অনেকের শৈশব কাটে বাবার শূণ্যতায়।

আমেরিকার বিস্তৃত, বৈচিত্র্যময় ভূখণ্ডে বাবার সঙ্গে পর্বতে ক্যাম্প করা কিংবা মাছ ধরার অভিজ্ঞতার বর্ণনাও কি স্টেইনবেকে নেই? আছে। বাবাকে তাই সারাজীবন ক্ষত হিসেবে দেখা অনেক আমেরিকান তাও আকাঙ্ক্ষা করেন বাবাকে। গোটা বিশ্বের অন্যত্র তা একটু ভিন্ন।বাবা দিবসকে বিশ্বের অধিকাংশ দেশই এখন গুরুত্ব দিয়ে উদযাপন করে। ইউরোপে পরিবারের সবাই একত্রিত হয়ে সারপ্রাইজ দেওয়া বা বাবাকে উপহার দেওয়ার হিসেবটিই থাকে কয়েকদিন আগে। বাবাকে একটু বিশেষ করা। ইউটিউবে গেলে এমন অনেক আবেগঘন ভিডিও দেখা যাবে। বাবা দিবসকে অত সফলভাবে এখনও পাওয়া যায়নি। কারণ ফুল বা উপহার বিতরণের মধ্যে পুরোষোচিত ভাবটি থাকে না। বাণিজ্যিকভাবেও উৎসবটি অত দারুণ নয়। তারপরও বিশ্বের অনেক স্থানে বাবা দিবস এখন ট্রেন্ড হয়ে গেছে।

আজ বাবাকে ভালোবাসার দিন

দক্ষিণ এশিয়া বা এশিয়ার এই অঞ্চলে বাবা মহীরুহ। আফ্রিকাতেও বাবা বুড়োটে হলেও তাকে যে সম্মানের স্থানে রাখা হয় তার আবেগ এই দিবসকে রঙিন এখনও করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ফিডে তা পাওয়া যায়। দেখা যায়, বাবা কতটা বড় ছায়া। বটবৃক্ষের মতো আগলে রাখেন। বাবা দিবসে তাই বাবাকে একটু বিশেষ ভাবনায় রাখার বিষয়টি থাকে। আমাদের দেশেও এই ট্রেন্ড আছে। অত জোরদার না। তবে বাবার সঙ্গে এক ধরনের সম্মানগত দূরত্ব থেকেই সবাই দিনটি উদযাপন করে। বাবা দিবসে আর কি করার আছে। বাবার সঙ্গে আলাপ করুন। তাকে বলার প্রয়োজন নেই কতটা আশ্রয় পাচ্ছেন। জানান, আপনি আছেন। আর যার নেই তিনি স্মৃতিতে সুন্দর বেছে নিতে পারেন। সুন্দর করে নেওয়াটাই ত মূল এই দিনে।