ময়মনসিংহ , শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

বিএনপি নেতাসহ আটক ৯ স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার জুয়ার আসর থেকে

পাবনার আতাইকুলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির পাভেলের শোরুমে জুয়ার আসর থেকে বিএনপি সমর্থিত ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীসহ ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার (২২ আগস্ট) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। 

এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের শ্রীকোল বাজারের আরএফএলের শোরুম থেকে তাদের আটক করা হয়।আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের চোমরপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে ও ইউনিয়ন পরিষদের বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুর রউফ (৪৫), শ্রীকোল গ্রামের দিলবার হোসেনের ছেলে খাজা হোসেন (৪০), লোহাগড়া গ্রামের তালেব মোল্লার ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৯), ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহেল কাফির ছেলে জনি (৪০), চোমরপুর গ্রামের জামাল মাস্টারের ছেলে লালন হোসেন (৩৮), জাবেদ আলীর ছেলে হাশেম আলী (৪০), শ্রীকোল গ্রামের আহমেদ মুন্সির ছেলে জলিল মুন্সী (৪২), শ্রীকোল বেলতলা গ্রামের আজিবর ইসলামের ছেলে আমিরুল ইসলাম (৪০), শ্রীকোল দিয়ারপাড়া গ্রামের নিজাম উদ্দিন শেখের ছেলে আব্দুল মজিদ (এনজিও) (৪২)।

‎এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুর রউফ পাবনা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও সাবেক বিএনপি নেতা কামরুল হাসান মিন্টুর সঙ্গে বিএনপির রাজনীতি করতেন। এরপর মিন্টু আওয়ামী লীগে যোগ দেন। গত ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে তিনি এলাকায় এসে বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর দোয়া চেয়ে বিভিন্ন পোগ্রাম ও বিলবোর্ড টানিয়েছেন।

এ বিষয়ে ‎স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা টাকার বিনিময়ে ওই অফিস জুয়ারুদের কাছে ভাড়া দিয়ে থাকেন। সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত জুয়ার খেলা চলে। এলাকায় গরু চুরি থেকে শুরু করে চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে একটি চক্র। কয়েকটি স্পটে সারারাত ধরে কয়েকমাস ধরে জুয়া খেলা হলেও পুলিশ গ্রেপ্তার করে না।

‎তারা আরও বলেন, গত বছরের ৫ আগস্টে হাসিনা সরকারের পতন হলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মামলা মোকদ্দমায় জর্জরিত হয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক ভাগ্নের আশীর্বাদে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা পাভেল। সেই সময় সালিশ দরবার ও চাঁদাবাজি করে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেছেন। এসব নেতা কোনো মামলার শিকার হোন নি। এলাকায় পূর্বের মতোই ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলেছে। জুয়ার ব্যাপক সয়লাব করেছে। পুলিশ এদেরকে গ্রেপ্তার করছে না।

‎আতাইকুলা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম হাবিবুল আওয়াল এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আটক ৯ জনকে শুক্রবার দুপুরে মামলার মাধ্যমে পাবনা কোর্টে পাঠিয়ে দিয়েছি।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

বিএনপি নেতাসহ আটক ৯ স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার জুয়ার আসর থেকে

আপডেট সময় ১০:২৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫

পাবনার আতাইকুলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির পাভেলের শোরুমে জুয়ার আসর থেকে বিএনপি সমর্থিত ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীসহ ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার (২২ আগস্ট) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। 

এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের শ্রীকোল বাজারের আরএফএলের শোরুম থেকে তাদের আটক করা হয়।আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের চোমরপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে ও ইউনিয়ন পরিষদের বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুর রউফ (৪৫), শ্রীকোল গ্রামের দিলবার হোসেনের ছেলে খাজা হোসেন (৪০), লোহাগড়া গ্রামের তালেব মোল্লার ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৯), ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহেল কাফির ছেলে জনি (৪০), চোমরপুর গ্রামের জামাল মাস্টারের ছেলে লালন হোসেন (৩৮), জাবেদ আলীর ছেলে হাশেম আলী (৪০), শ্রীকোল গ্রামের আহমেদ মুন্সির ছেলে জলিল মুন্সী (৪২), শ্রীকোল বেলতলা গ্রামের আজিবর ইসলামের ছেলে আমিরুল ইসলাম (৪০), শ্রীকোল দিয়ারপাড়া গ্রামের নিজাম উদ্দিন শেখের ছেলে আব্দুল মজিদ (এনজিও) (৪২)।

‎এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুর রউফ পাবনা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও সাবেক বিএনপি নেতা কামরুল হাসান মিন্টুর সঙ্গে বিএনপির রাজনীতি করতেন। এরপর মিন্টু আওয়ামী লীগে যোগ দেন। গত ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে তিনি এলাকায় এসে বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর দোয়া চেয়ে বিভিন্ন পোগ্রাম ও বিলবোর্ড টানিয়েছেন।

এ বিষয়ে ‎স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা টাকার বিনিময়ে ওই অফিস জুয়ারুদের কাছে ভাড়া দিয়ে থাকেন। সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত জুয়ার খেলা চলে। এলাকায় গরু চুরি থেকে শুরু করে চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে একটি চক্র। কয়েকটি স্পটে সারারাত ধরে কয়েকমাস ধরে জুয়া খেলা হলেও পুলিশ গ্রেপ্তার করে না।

‎তারা আরও বলেন, গত বছরের ৫ আগস্টে হাসিনা সরকারের পতন হলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মামলা মোকদ্দমায় জর্জরিত হয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক ভাগ্নের আশীর্বাদে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা পাভেল। সেই সময় সালিশ দরবার ও চাঁদাবাজি করে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেছেন। এসব নেতা কোনো মামলার শিকার হোন নি। এলাকায় পূর্বের মতোই ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলেছে। জুয়ার ব্যাপক সয়লাব করেছে। পুলিশ এদেরকে গ্রেপ্তার করছে না।

‎আতাইকুলা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম হাবিবুল আওয়াল এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আটক ৯ জনকে শুক্রবার দুপুরে মামলার মাধ্যমে পাবনা কোর্টে পাঠিয়ে দিয়েছি।