ময়মনসিংহ , সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ২৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

বিয়ের গেটে পার্টি স্প্রে দেওয়া নিয়ে সংঘর্ষ থানায় অভিযোগ

বিয়ের গেটে পার্টি স্প্রে দেওয়া নিয়ে সংঘর্ষ থানায় অভিযোগ

 

তিন মাস আগে প্রবাসী ছেলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে বিয়ে হয় মেয়ের। ছেলে দেশে আসায় নববধূকে তুলে নেওয়া তারিখ ধার্য হয়। সে অনুযায়ী আয়োজন করা হয় অনুষ্ঠানের। সবকিছু চলচিল ঠিকঠাক। অনুষ্ঠানের দিন সময়মতো আসে জামাই পক্ষ। গেটে আটকায় মেয়ে পক্ষের লোকেরা। বরকে বরণ করে নিতে আটকানো হয় তাদের। মারা হয় পার্টি স্প্রে। আর এতেই বাঁধে সংঘর্ষ।

বর ও কনে পক্ষের এ সংঘর্ষে মেয়ের বাবাসহ দুপক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এর জেরে নববধূকে না নিয়েই ফেরত চলে গেছে জামাই। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগও দেওয়া হয়েছে।

শনিবার বিকালে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কাউলিবেড়া ইউনিয়নের পুটিয়া গ্রামের সামেদ আলী মাতুব্বরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রোববার সকালে কনের বাবা সামেদ মাতুব্বর ভাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাউলিবেড়া ইউনিয়নের পুটিয়া গ্রামের সামেদ আলী মাতুব্বরের মেয়ে বর্না আক্তারের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী সদরপুর উপজেলার চরব্রহ্মনদী ভেন্নতুলী গ্রামের তৈয়ব মোল্লার ছেলে প্রবাসী নাঈম মোল্লার বিয়ে হয় তিন মাস আগে। মোবাইলে বিয়ে হয় তাদের। দুপক্ষ বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য বৃহস্পতিবারের দিন ধার্য করে।

মেয়ের বাড়িতে ৫০০ জন মেহমানের জন্য আয়োজন করা হয়। রান্নাসহ সকল আয়োজন সম্পূর্ণ। ছেলে পক্ষও আসে সময়মতো। নিয়ম অনুযায়ী, মেয়ের বাড়ির লোকেরা ছেলেকে গেটে আটকায়। সেখানে পার্টি স্প্রে দেওয়া নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়, যা একপর্যায়ে সংঘর্ষে পরিণত হয়। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুপক্ষের বড়রাও। এতে কনের বাবাসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। একপর্যায়ে নববধূকে না নিয়েই ফিরে যান জামাই।

মেয়ের বাবা সামেদ আলী মাতুব্বর বলেন, ‘গেটে দুপক্ষের ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা স্প্রে করতেছিল। এর মধ্যে দুপক্ষের ছোট ছেলে-মেয়েদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে বড়দের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় অনুষ্ঠানের চেয়ার টেবিল ও খাবার নষ্ট করা হয়। বরপক্ষের কাছে ক্ষমা চেয়েছি কিন্তু তারা মেয়েকে না নিয়ে চলে যায়।’

এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রজিৎ মল্লিক বলেন, ‘মেয়ের বাবা সামেদ আলী মাতুব্বর একটি অভিযোগ করেছেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

বিয়ের গেটে পার্টি স্প্রে দেওয়া নিয়ে সংঘর্ষ থানায় অভিযোগ

আপডেট সময় ০৪:২৮:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫

বিয়ের গেটে পার্টি স্প্রে দেওয়া নিয়ে সংঘর্ষ থানায় অভিযোগ

 

তিন মাস আগে প্রবাসী ছেলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে বিয়ে হয় মেয়ের। ছেলে দেশে আসায় নববধূকে তুলে নেওয়া তারিখ ধার্য হয়। সে অনুযায়ী আয়োজন করা হয় অনুষ্ঠানের। সবকিছু চলচিল ঠিকঠাক। অনুষ্ঠানের দিন সময়মতো আসে জামাই পক্ষ। গেটে আটকায় মেয়ে পক্ষের লোকেরা। বরকে বরণ করে নিতে আটকানো হয় তাদের। মারা হয় পার্টি স্প্রে। আর এতেই বাঁধে সংঘর্ষ।

বর ও কনে পক্ষের এ সংঘর্ষে মেয়ের বাবাসহ দুপক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এর জেরে নববধূকে না নিয়েই ফেরত চলে গেছে জামাই। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগও দেওয়া হয়েছে।

শনিবার বিকালে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কাউলিবেড়া ইউনিয়নের পুটিয়া গ্রামের সামেদ আলী মাতুব্বরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রোববার সকালে কনের বাবা সামেদ মাতুব্বর ভাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাউলিবেড়া ইউনিয়নের পুটিয়া গ্রামের সামেদ আলী মাতুব্বরের মেয়ে বর্না আক্তারের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী সদরপুর উপজেলার চরব্রহ্মনদী ভেন্নতুলী গ্রামের তৈয়ব মোল্লার ছেলে প্রবাসী নাঈম মোল্লার বিয়ে হয় তিন মাস আগে। মোবাইলে বিয়ে হয় তাদের। দুপক্ষ বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য বৃহস্পতিবারের দিন ধার্য করে।

মেয়ের বাড়িতে ৫০০ জন মেহমানের জন্য আয়োজন করা হয়। রান্নাসহ সকল আয়োজন সম্পূর্ণ। ছেলে পক্ষও আসে সময়মতো। নিয়ম অনুযায়ী, মেয়ের বাড়ির লোকেরা ছেলেকে গেটে আটকায়। সেখানে পার্টি স্প্রে দেওয়া নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়, যা একপর্যায়ে সংঘর্ষে পরিণত হয়। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুপক্ষের বড়রাও। এতে কনের বাবাসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। একপর্যায়ে নববধূকে না নিয়েই ফিরে যান জামাই।

মেয়ের বাবা সামেদ আলী মাতুব্বর বলেন, ‘গেটে দুপক্ষের ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা স্প্রে করতেছিল। এর মধ্যে দুপক্ষের ছোট ছেলে-মেয়েদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে বড়দের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় অনুষ্ঠানের চেয়ার টেবিল ও খাবার নষ্ট করা হয়। বরপক্ষের কাছে ক্ষমা চেয়েছি কিন্তু তারা মেয়েকে না নিয়ে চলে যায়।’

এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রজিৎ মল্লিক বলেন, ‘মেয়ের বাবা সামেদ আলী মাতুব্বর একটি অভিযোগ করেছেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’