ময়মনসিংহ , বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ২৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

ব্রাজিলে নতুন করোনা ভাইরাস বাদুড়ের শরীরে

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৫৩:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
  • ১৬ বার পড়া হয়েছে

ব্রাজিলে বাদুড়ের মধ্যে গবেষকরা নতুন একটি করোনা ভাইরাস শনাক্ত করেছেন। এর ফলে মানুষের মধ্যে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্ট এবং এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। 

জার্নাল অব মেডিক্যাল ভাইরোলজিতে প্রকাশিত এই গবেষণাটি হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় সাও পাওলো এবং সিয়ারার বিজ্ঞানীরা পরিচালনা করেছেন। গবেষকরা দেখেছেন, ভাইরাসের জিনগত ক্রমের সঙ্গে মার্স-কভের ৭২ শতাংশ মিল রয়েছে। বিশেষ করে ভাইরাসটির স্পাইক প্রোটিন মার্স ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের সঙ্গে অনেকটাই মিলে যায়। ২০১২ সালে সৌদি আরবে প্রথম শনাক্ত হওয়া মার্স ভাইরাসের সংক্রমণে এখন পর্যন্ত ৮৫০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন। এই গবেষণার লেখক ব্রুনা স্টেফানি সিলভারিও বলেন, ‘এটি মানুষকে কতটা সংক্রামিত করতে পারে, তা এখনই আমরা নিশ্চিত নই। তবে আমরা ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের কিছু অংশ শনাক্ত করেছি, যা মার্স-কোভের ব্যবহৃত রিসেপ্টরের সঙ্গে সম্ভাব্য মিথস্ক্রিয়ার ইঙ্গিত দেয়। আরো গবেষণা চালানো হচ্ছে। আমরা চলতি বছরে হংকংয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা চালানোর পরিকল্পনা করছি।’

মূলত ভাইরাস নিয়ে গবেষণার জন্য বাদুড় বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বাদুড় প্রাকৃতিকভাবেই ভাইরাস বাহক এবং সার্স, মার্স এবং ইবোলাসহ বেশ কয়েকটি বড় রোগের প্রাদুর্ভাবের সঙ্গেও যুক্ত। তবে বেশির ভাগ বাদুড়ের ভাইরাস মানুষের মধ্যে সংক্রমণ কম হয়ে থাকে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

ব্রাজিলে নতুন করোনা ভাইরাস বাদুড়ের শরীরে

আপডেট সময় ১২:৫৩:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

ব্রাজিলে বাদুড়ের মধ্যে গবেষকরা নতুন একটি করোনা ভাইরাস শনাক্ত করেছেন। এর ফলে মানুষের মধ্যে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্ট এবং এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। 

জার্নাল অব মেডিক্যাল ভাইরোলজিতে প্রকাশিত এই গবেষণাটি হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় সাও পাওলো এবং সিয়ারার বিজ্ঞানীরা পরিচালনা করেছেন। গবেষকরা দেখেছেন, ভাইরাসের জিনগত ক্রমের সঙ্গে মার্স-কভের ৭২ শতাংশ মিল রয়েছে। বিশেষ করে ভাইরাসটির স্পাইক প্রোটিন মার্স ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের সঙ্গে অনেকটাই মিলে যায়। ২০১২ সালে সৌদি আরবে প্রথম শনাক্ত হওয়া মার্স ভাইরাসের সংক্রমণে এখন পর্যন্ত ৮৫০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন। এই গবেষণার লেখক ব্রুনা স্টেফানি সিলভারিও বলেন, ‘এটি মানুষকে কতটা সংক্রামিত করতে পারে, তা এখনই আমরা নিশ্চিত নই। তবে আমরা ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের কিছু অংশ শনাক্ত করেছি, যা মার্স-কোভের ব্যবহৃত রিসেপ্টরের সঙ্গে সম্ভাব্য মিথস্ক্রিয়ার ইঙ্গিত দেয়। আরো গবেষণা চালানো হচ্ছে। আমরা চলতি বছরে হংকংয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা চালানোর পরিকল্পনা করছি।’

মূলত ভাইরাস নিয়ে গবেষণার জন্য বাদুড় বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বাদুড় প্রাকৃতিকভাবেই ভাইরাস বাহক এবং সার্স, মার্স এবং ইবোলাসহ বেশ কয়েকটি বড় রোগের প্রাদুর্ভাবের সঙ্গেও যুক্ত। তবে বেশির ভাগ বাদুড়ের ভাইরাস মানুষের মধ্যে সংক্রমণ কম হয়ে থাকে।