দুই দেশের মধ্যে উষ্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে ভারত তার দূতাবাস পুনরায় খুলেছে। চার বছর পর মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) এটি খুলে দেয়া হয়।
আফগান তালেবানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সাম্প্রতিক নয়াদিল্লি সফরের পর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নতি হয়।
পরে এই মাসের শুরুতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর ঘোষণা করেছিলেন যে নয়াদিল্লি কাবুলে তাদের দূতাবাস পুনরায় চালু করবে।
২০২১ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনী প্রত্যাহারের পর তালেবান ক্ষমতা দখল করলে ভারত কাবুলে তাদের দূতাবাস বন্ধ করে দেয়, কিন্তু এক বছর পর বাণিজ্য, চিকিৎসা সহায়তা এবং মানবিক সহায়তার সুবিধার্থে একটি ছোট মিশন খোলে।
এক বিবৃতিতে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ভারত সফরের সময় ঘোষিত সিদ্ধান্তের সাথে সঙ্গতি রেখে, সরকার তাৎক্ষণিকভাবে কাবুলে ভারতের টেকনিক্যাল মিশনের মর্যাদা আফগানিস্তানে ভারতীয় দূতাবাসের মর্যাদায় ফিরিয়ে আনছে।’
‘এই সিদ্ধান্ত পারস্পরিক স্বার্থের সকল ক্ষেত্রে আফগান পক্ষের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করার ভারতের দৃঢ় সংকল্পকে তুলে ধরে।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়।
পাকিস্তান, চীন, রাশিয়া, ইরান এবং তুরস্কসহ প্রায় এক ডজন দেশের দূতাবাস কাবুলে আছে। যদিও রাশিয়াই একমাত্র দেশ যারা আনুষ্ঠানিকভাবে তালেবান শাসনকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
মুত্তাকি এই মাসের শুরুতে নয়াদিল্লির সাথে সম্পর্ক জোরদার করার জন্য ভারতে ছয় দিনের সফর করেছিলেন।
বিশ্লেষকরা বলেছেন যে এই সফর অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং শেষ পর্যন্ত কূটনৈতিক স্বীকৃতির জন্য আঞ্চলিক শক্তির সাথে যোগাযোগ সম্প্রসারণের তালেবান শাসনের প্রচেষ্টাকে তুলে ধরে।
ভারত এবং আফগানিস্তানের ঐতিহাসিকভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, কিন্তু নয়াদিল্লি তালেবান শাসনকে স্বীকৃতি দেয় না।
পশ্চিমা কূটনীতিকদের মতে, নারীদের উপর নিষেধাজ্ঞার কারণে তালেবান প্রশাসনের স্বীকৃতির পথ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।