ভেনিজুয়েলায় সোনার খনি ধসে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার মধ্য ভেনিজুয়েলায় বেআইনিভাবে পরিচালিত একটি সোনার খনিতে এই ঘটনা ঘটে। যখন মাটির দেয়াল ধসে পড়ে তখন বেশ কয়েকজন শ্রমিক সেখানে কাজ করছিলেন। স্থানীয় এক কর্মকর্তা ইওরগি আর্কিনিগা বুধবার এএফপি বার্তা সংস্থাকে জানিয়েছেন, ‘বলিভার রাজ্যের জঙ্গলে বুল্লা লোকা নামে পরিচিত গর্ত থেকে প্রায় ২৩টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বেসামরিক সুরক্ষা উপমন্ত্রী কার্লোস পেরেজ অ্যাম্পুয়েদা এক্স (সাবেক টুইটার)-এ ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন এবং অনেকজনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন, তবে তিনি কোনো সংখ্যা উল্লেখ করেননি। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, খনির আশপাশে থেকে মাটির দেয়াল ভেঙে পড়ছে। তখন কেউ কেউ পালাতে সক্ষম হয়েছেন এবং আবার কেউ পারেননি। কর্মকর্তাদের মতে, তখন প্রায় ২০০ জন শ্রমিক খনিতে কাজ করছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বলিভার রাজ্যের নাগরিক নিরাপত্তাবিষয়ক সেক্রেটারি এডগার কোলিনা রেয়েস বলেছেন, আহতদের আঞ্চলিক রাজধানী সিউদাদ বলিভারের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। রেইস আরো বলেছেন, ‘পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে সামরিক ও দমকল বাহিনী এবং অন্য সংস্থাগুলো ঘটনাস্থলে বিমানপথে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, অনুসন্ধানে সহায়তার জন্য উদ্ধারকারীদলও পাঠানো হচ্ছে।’
বলিভার অঞ্চল সোনা, হীরা, লোহা, বক্সাইট, কোয়ার্টজ এবং কোল্টানে সমৃদ্ধ।
রাষ্ট্রীয় খনি ছাড়াও অবৈধ খনিও সেখানে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা রবিনসন বসন্ত খনি শ্রমিকদের অনিরাপদ কাজের পরিস্থিতি সম্পর্কে এএফপিকে বলেছেন, ‘এমন ঘটনা ঘটা অবধারিত ছিল।’ ওই বাসিন্দা আরো বলেন, ‘এই খনিতে প্রচুর সোনা পাওয়া গেছে… মানুষ প্রয়োজনের তাগিদে সেখানে যায়।’
স্থানীয় বাসিন্দাদের বেশির ভাগ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করে এই এলাকায়। গত বছরের ডিসেম্বরে একই অঞ্চলের ইকাবারুর আদিবাসী সম্প্রদায়ের একটি খনিধসে কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছিলেন।