ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়কে কেন্দ্র করে আজ সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং সুপ্রিম কোর্ট এলাকা কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টনীতে ঘেরা হয়েছে। সকালে সাড়ে আটটা থেকে নয়টার মধ্যে আদালতপাড়া ঘুরে দেখা যায়- পুরো এলাকায় চার বাহিনীর (সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব) অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন রয়েছে। সন্দেহজনক মনে হলেই পথচারীকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ, পরিচয়পত্র যাচাই এবং ব্যাগ তল্লাশি করা হচ্ছে।
রায় ঘোষণার দিনকে ‘উচ্চঝুঁকির সকাল’ বিবেচনায় নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে থেকে হাইকোর্ট মোড়, সুপ্রিম কোর্টের মূল গেট থেকে মাজার গেট পর্যন্ত নিরাপত্তা কয়েক স্তরে ভাগ করে বাড়ানো হয়েছে। মোটরসাইকেলের কাগজপত্র পরীক্ষা থেকে শুরু করে পথচারীর গন্তব্য জিজ্ঞেস করা- সর্বত্রই কঠোর নজরদারির উপস্থিতি স্পষ্ট।
মাজার গেট এলাকায় সেনাবাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে। আদালতপাড়ার ভেতরে র্যাবের বাড়তি সদস্য মোতায়েন রয়েছে, আর বিজিবির টহল দল সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে ঘুরে ঘুরে নজরদারি চালাচ্ছে।
মগবাজার থেকে আসা আইনজীবী সানজিদা রহমান বলেন, ‘দুই জায়গায় ব্যাগ খুলে দেখাতে হয়েছে। এমন কড়াকড়ি আগে কখনও দেখিনি।’
নিকটবর্তী দোকানকর্মী ইমরান জানান, ‘সকাল থেকেই পরিবেশ অন্যরকম। কেউ দাঁড়ালেই জিজ্ঞাসা করছে কোথায় যাচ্ছেন।’
ট্রাইব্যুনালের ভেতরে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অনুমোদন ছাড়া কাউকেই প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। দায়িত্বপ্রাপ্ত এক নিরাপত্তাসদস্যের ভাষায়, ‘আজ ছাড় দেওয়ার মতো দিন না।’

ডিজিটাল রিপোর্ট 






















