ময়মনসিংহ নগরীতে ছাত্রদলের এক নেতা বিদেশি পিস্তল সংরক্ষণ করছেন, এমন খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। তাঁকে অস্ত্রসহ আটকের পর পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালান তাঁর অনুসারীরা। এ সময় ভাঙচুর করা হয় পুলিশের দুটি গাড়ি। আহত হন এক উপপরিদর্শক (এসআই)। আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম এম মোহাইমেনুর রশিদ।
ওই ছাত্রদল নেতার নাম বুলবুল আহমেদ ওরফে সজীব (৩০)। পুলিশ জানায়, তাঁকে ধরার জন্য গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে নগরের বলাশপুর মরাখোলা এলাকায় অভিযান চালায় জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। ওই সময় মো. বুলবুল আহমেদকে আটক করা হয়। তাঁকে তল্লাশি করে একটি বিদেশি পিস্তল, পাঁচ রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করে পুলিশ। বুলবুল আহমেদ ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন পুলিশের কাছে এমনটি দাবি করেছেন।
এম এম মোহাইমেনুর রশিদ আরও বলেন, ‘আটক বুলবুল আহমেদ একজন ব্যক্তির কাছ থেকে অস্ত্রটি সংগ্রহ করেছেন। নিজেকে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করলেও এর কোনো কাগজ আমাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি। অপরাধীর সঙ্গে রাজনৈতিক পরিচয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। কী কারণে অস্ত্রটি সংগ্রহ করা হয়েছিল, সে বিষয়ে তথ্য উদ্ঘাটনে আমাদের চেষ্টা চলছে।’
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত বহিষ্কারাদেশে উল্লেখ করা হয়, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ মহানগর শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বুলবুল আহমেদকে সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো। ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন আজ এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন এবং বুলবুল আহমেদের সঙ্গে কোনোরূপ সম্পর্ক না রাখতে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়।
পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনতাইয়ের চেষ্টা, সরকারি কাজে বাধা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় অজ্ঞাত ২৫০ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় পৃথক আরও মামলা হয়েছে। গতকাল রাতে পুলিশের দায়ের করা মামলায় ছাত্রদল নেতা বুলবুল আহমেদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। জেলা ডিবির পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল হোসেন বলেন, রিমান্ড আবেদন করে আজ বুলবুল আহমেদকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।