ময়মনসিংহ , রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
মেট্রোরেলে দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবার পাবে ৫ লাখ টাকা বললেন রেল উপদেষ্টা জুলাই সনদ বাস্তবায়নে যেন সংবিধানের বাইরে না যাই বললেন সালাহউদ্দিন মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড দুর্ঘটনায় নিহতের পরিচয় মিলেছে ফার্মগেটে জমিদারি মানসিকতাই তো ফ্যাসিবাদ বললেন উমামা ফাতেমা ২৭ অক্টোবরের মধ্যে এমপিও বিল অনলাইনে সাবমিট করার নির্দেশ মাউশির প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটদের যমুনা পদযাত্রা শাহবাগে পুলিশের বাধার মুখে এক এনআইডিতে সর্বোচ্চ সাতটি সিম, নির্বাচনের আগে কার্যকর বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চারদিকে অদৃশ্য শক্তি ও ধান্দাবাজ গোষ্ঠী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বললেন দুদু দেশগঠনে কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বললেন সেনাপ্রধান পথচারীর মৃত্যু মেট্রোরেলের পিলারের বিয়ারিং স্প্রিং ছিটকে পড়ে
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

ময়মনসিংহ রেলস্টেশনে ট্রেন থামিয়ে পালালেন চালক,স্টেশন সুপার  তোপের মুখে ।

  • অজিফা ইফতাক মিম
  • আপডেট সময় ০৩:২৬:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১০২ বার পড়া হয়েছে

ময়মনসিংহ রেলওয়ে জংশনে যাত্রীদের তোপের মুখে পড়েছেন স্টেশন সুপার। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ময়মনসিংহ জংশন স্টেশনে এসে পৌঁছায়। এরপরই ট্রেন বন্ধ করে চালক পালিয়ে যান। পরে যাত্রীরা স্টেশন সুপারের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

হাওর এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকায় যাবে না—শোনার পর যাত্রীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। ঢাকায় যেতে না পারলে কেন ময়মনসিংহ পর্যন্ত আনা হলো, তাঁরা এমন প্রশ্ন করেন স্টেশন সুপারের কাছে। এ সময় টাকা ফেরতের দাবি জানান কয়েকজন যাত্রী।

ময়মনসিংহ রেলস্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট এস এম নাজমুল হক খান বলেন, আন্দোলনের কারণে ২৮ জোড়া ট্রেন বন্ধ। এতে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বিআরটিসি বাসে তাঁদের গন্তব্যে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

তবে বেলা একটা পর্যন্ত কোনো যাত্রীকে বিকল্প পথে ঢাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়নি। কোনো যাত্রীকে টাকাও ফেরত দেওয়া হয়নি। বিষয়টি সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান স্টেশন সুপার নাজমুল হক খান।

মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন ও আনুতোষিক সুবিধা দেওয়ার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন ট্রেনের রানিং স্টাফরা। গত বুধবার চট্টগ্রামে পুরোনো রেলস্টেশনে সংবাদ সম্মেলন করে ২৭ জানুয়ারির মধ্যে দাবি মানার শর্ত দেয় রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন। অন্যথায় ২৮ জানুয়ারি থেকে রেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেয় তারা।

এই রানিং স্টাফরা হলেন গার্ড, ট্রেনচালক (লোকোমাস্টার), সহকারী চালক ও টিকিট পরিদর্শক (টিটিই)। তাঁরা সাধারণত দীর্ঘ সময় ট্রেনে দায়িত্ব পালন করেন। দৈনিক আট ঘণ্টার বেশি কাজ করলে বেসিকের (মূল বেতন) হিসাবে বাড়তি অর্থ পেতেন তাঁরা। এ ছাড়া অবসরের পর বেসিকের সঙ্গে এর ৭৫ শতাংশ অর্থ যোগ করে অবসরকালীন অর্থের হিসাব হতো।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

মেট্রোরেলে দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবার পাবে ৫ লাখ টাকা বললেন রেল উপদেষ্টা

ময়মনসিংহ রেলস্টেশনে ট্রেন থামিয়ে পালালেন চালক,স্টেশন সুপার  তোপের মুখে ।

আপডেট সময় ০৩:২৬:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

ময়মনসিংহ রেলওয়ে জংশনে যাত্রীদের তোপের মুখে পড়েছেন স্টেশন সুপার। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ময়মনসিংহ জংশন স্টেশনে এসে পৌঁছায়। এরপরই ট্রেন বন্ধ করে চালক পালিয়ে যান। পরে যাত্রীরা স্টেশন সুপারের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

হাওর এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকায় যাবে না—শোনার পর যাত্রীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। ঢাকায় যেতে না পারলে কেন ময়মনসিংহ পর্যন্ত আনা হলো, তাঁরা এমন প্রশ্ন করেন স্টেশন সুপারের কাছে। এ সময় টাকা ফেরতের দাবি জানান কয়েকজন যাত্রী।

ময়মনসিংহ রেলস্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট এস এম নাজমুল হক খান বলেন, আন্দোলনের কারণে ২৮ জোড়া ট্রেন বন্ধ। এতে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বিআরটিসি বাসে তাঁদের গন্তব্যে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

তবে বেলা একটা পর্যন্ত কোনো যাত্রীকে বিকল্প পথে ঢাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়নি। কোনো যাত্রীকে টাকাও ফেরত দেওয়া হয়নি। বিষয়টি সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান স্টেশন সুপার নাজমুল হক খান।

মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন ও আনুতোষিক সুবিধা দেওয়ার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন ট্রেনের রানিং স্টাফরা। গত বুধবার চট্টগ্রামে পুরোনো রেলস্টেশনে সংবাদ সম্মেলন করে ২৭ জানুয়ারির মধ্যে দাবি মানার শর্ত দেয় রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন। অন্যথায় ২৮ জানুয়ারি থেকে রেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেয় তারা।

এই রানিং স্টাফরা হলেন গার্ড, ট্রেনচালক (লোকোমাস্টার), সহকারী চালক ও টিকিট পরিদর্শক (টিটিই)। তাঁরা সাধারণত দীর্ঘ সময় ট্রেনে দায়িত্ব পালন করেন। দৈনিক আট ঘণ্টার বেশি কাজ করলে বেসিকের (মূল বেতন) হিসাবে বাড়তি অর্থ পেতেন তাঁরা। এ ছাড়া অবসরের পর বেসিকের সঙ্গে এর ৭৫ শতাংশ অর্থ যোগ করে অবসরকালীন অর্থের হিসাব হতো।