মাগুরায় শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় তৃতীয় দিনের মতো সাক্ষ্যগ্রহণ গতকাল সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কড়া নিরাপত্তায় ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
সাক্ষ্যগ্রহণকৃতদের মধ্যে ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন ও নিহত আছিয়ার বড় বোন হামিদা। এ নিয়ে মামলায় মোট ১৬ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামলায় মোট সাক্ষী ৩৭ জন।
আদালত সূত্র জানায়, প্রত্যেক সাক্ষীই মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তবে হিটু শেখ আদালতে ঢোকার আগে সাংবাদিকদের কাছে বারবার নিজেকে নিরপরাধ দাবি করেন এবং দায় চাপান পুত্রবধূ তথা আছিয়ার বড় বোনের উপর।
হিটু শেখ বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি এবং আমার দুই ছেলে বাড়িতে ছিলাম না। সকালে আছিয়াকে সুস্থ অবস্থায় রেখে বাইরে যাই। তখন সে (আছিয়ার বোন) বাড়িতে একা ছিল। আমি দোষী হলে যে শাস্তি হয় মাথা পেতে নেব।’
গতকাল কড়া নিরাপত্তার মধ্যে হিটু শেখসহ ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী-শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, গত তিন কার্যদিবস টানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। গতকাল ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। সাক্ষীদের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন, আছিয়ার বোন হামিদা ছিলেন। এ নিয়ে মোট ১৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হলো। এ মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। আজ বুধবার মাগুরা ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা সাক্ষ্য দেবেন। গতকাল আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন।
৮ বছরের শিশু আছিয়া তার বড় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে ধর্ষণের শিকার হয়। প্রধান অভিযুক্ত হচ্ছেন আছিয়ার বোনের শ্বশুর হিটু শেখ। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ ঢাকা সিএমএইচে তার মৃত্যু হয়।