ময়মনসিংহ , সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
তিন সচিবকে বদলি তিন মন্ত্রণালয়ের কামাল উদ্দিন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব হলেন বিগত তিন নির্বাচনের কেউ এবার দায়িত্বে থাকবেন না বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পরোয়ানাভুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের বিচারের ক্ষমতা রয়েছে ট্রাইব্যুনালের বললেন তাজুল ইসলাম কোটি টাকার ইয়াবা জব্দ কুমিল্লা সীমান্তে নির্বাচনকে বিলম্বিত করতেই পিআর পদ্ধতির নামে আন্দোলন চলছে বললেন মির্জা ফখরুল পাল্টাপাল্টি হামলার পর আফগানিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের ৭ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার ঢাকায় সেনাবাহিনীর কিছু সদস্য মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে ব্যর্থ হয়েছিলেন বললেন জামায়াত আমির প্রধান উপদেষ্টা রোমের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

মায়ের মৃ*ত্যুর পর বাবা গ্রে*প্তার, তিন বোনকে নিয়ে বিপাকে শিশু সাজ্জাদ

বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে কোটালীপাড়া উপজেলার চিত্রাপাড়া গ্রামে গিয়ে জানা গেছে, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার চিত্রাপাড়া গ্রামের ১৩ বছরের শিশু ও স্থানীয় এমএমখান উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র সাজ্জাদ মিয়া। বোন ফারিয়ার বয়স ৭ বছর। সদ্যজাত দুই বোনের জন্ম হওয়ার ৬ দিনে মাথায় পরপারে পাড়ি দেন মা সাথি বেগম। মাকে হারিয়ে চোখে আঁধার নেমে আসলেও বাবাকে নিয়ে ভবিষ্যতের দিন দেখছিলো সাজ্জাদ। তবে বাবা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ায় সেই ভবিষ্যৎ যেন এখন ফিকে হতে বসেছে।গত শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাতে নিজ বাড়ি থেকে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার হত্যা মামলায় জামাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর এলাকাবাসী পুলিশের দ্বারস্থ হলেও পারেনি ছাড়াতে। পরদিন তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগরে পাঠানো হয়। এরপর থেকে শিশু সাজ্জাতের চোখে যেন অন্ধকার নেমে আছে। ছোট তিন বোনকে নিয়ে অথৈই সাগরে নিমজ্জিত হয় সাজ্জাত। সদ্যজাত দুই বোনকে দেখাশোনা করছেন নানি ও দাদি। আর এলাকাবাসীর সহযোগিতায় চলছে এখন সাজ্জাদের পরিবার।

তবে পরিবারের অভিযোগ, কোন রাজনীতি না করলেও জামালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এমনি তাকে ছাড়ানা জন্যও দাবি করা হয় পঞ্চাশ হাজার টাকা এমন অভিযোগ ভুক্তোভোগী পরিবারের। তবে প্রতিবেশিরা বলেছে, জামাল কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়। তারপরেও তাকে একটি রাজনৈতিক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এতে উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে চার ভাইবোন। তাই দ্রুত জামালের মুক্তি দাবি স্থানীয়দের।

এদিকে, জামালের পরিবারের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক দল। তারা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় জামালের মুক্তির দাবি জানান।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

তিন সচিবকে বদলি তিন মন্ত্রণালয়ের

মায়ের মৃ*ত্যুর পর বাবা গ্রে*প্তার, তিন বোনকে নিয়ে বিপাকে শিশু সাজ্জাদ

আপডেট সময় ১০:৩৪:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে কোটালীপাড়া উপজেলার চিত্রাপাড়া গ্রামে গিয়ে জানা গেছে, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার চিত্রাপাড়া গ্রামের ১৩ বছরের শিশু ও স্থানীয় এমএমখান উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র সাজ্জাদ মিয়া। বোন ফারিয়ার বয়স ৭ বছর। সদ্যজাত দুই বোনের জন্ম হওয়ার ৬ দিনে মাথায় পরপারে পাড়ি দেন মা সাথি বেগম। মাকে হারিয়ে চোখে আঁধার নেমে আসলেও বাবাকে নিয়ে ভবিষ্যতের দিন দেখছিলো সাজ্জাদ। তবে বাবা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ায় সেই ভবিষ্যৎ যেন এখন ফিকে হতে বসেছে।গত শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাতে নিজ বাড়ি থেকে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার হত্যা মামলায় জামাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর এলাকাবাসী পুলিশের দ্বারস্থ হলেও পারেনি ছাড়াতে। পরদিন তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগরে পাঠানো হয়। এরপর থেকে শিশু সাজ্জাতের চোখে যেন অন্ধকার নেমে আছে। ছোট তিন বোনকে নিয়ে অথৈই সাগরে নিমজ্জিত হয় সাজ্জাত। সদ্যজাত দুই বোনকে দেখাশোনা করছেন নানি ও দাদি। আর এলাকাবাসীর সহযোগিতায় চলছে এখন সাজ্জাদের পরিবার।

তবে পরিবারের অভিযোগ, কোন রাজনীতি না করলেও জামালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এমনি তাকে ছাড়ানা জন্যও দাবি করা হয় পঞ্চাশ হাজার টাকা এমন অভিযোগ ভুক্তোভোগী পরিবারের। তবে প্রতিবেশিরা বলেছে, জামাল কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়। তারপরেও তাকে একটি রাজনৈতিক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এতে উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে চার ভাইবোন। তাই দ্রুত জামালের মুক্তি দাবি স্থানীয়দের।

এদিকে, জামালের পরিবারের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক দল। তারা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় জামালের মুক্তির দাবি জানান।