ময়মনসিংহ , মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
সিআইডির মামলা ৬৭৮ কোটি মানিলন্ডারিংয়ে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড মালিকের বিরুদ্ধে গ্রামীণ ব্যাংকে দুর্বৃত্তদের আগুন মাগুরায় , পুড়ল কাগজপত্র শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা : জাতিসংঘ আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের নির্দেশেই শেখ হাসিনার রায় হয়েছে বললেন শুভেন্দু মীর কাসেম আলীর মেয়ের আবেগঘন পোস্ট হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর বিক্ষোভকারীরা নিজাম হাজারীর বাড়িতে আগুন দিলো হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের বিচার সুষ্ঠু ও ন্যায়সংগত কোনোটিই হয়নি বললেন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এপিএম টার্মিনালসের বিনিয়োগ বাংলাদেশের বন্দর খাতে নতুন মাইলফলক বললেন উপদেষ্টা প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইবো বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

মীর কাসেম আলীর মেয়ের আবেগঘন পোস্ট হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর

  • ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৯:৫৫:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
  • ১৪ বার পড়া হয়েছে

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া মীর কাসেম আলীর মেয়ে সুমাইয়া রাবেয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি আবেগঘন পোস্ট করেছেন।

গত সোমবার (১৭ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ঘোষিত রায়কে কেন্দ্র করে নিজের অতীত যন্ত্রণা, পারিবারিক ভাঙন এবং বিচারপ্রক্রিয়ার তুলনামূলক বৈষম্য নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন তিনি।

আব্বুও সেই ভয়াবহ সময়ে আরমান ভাইয়াকে নিয়ে আমার জন্য দোয়া করেছিলেন। আরমান ভাইয়া, যেহেতু আব্বুর ল’ইয়ার, তাই স্বাভাবিক ভিজিটেশনের বাইরে গিয়েও দেখা করতে পারতেন। এদিকে সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছিল। চারদিকে সবাই সান্ত্বনা দিচ্ছিল; মীর কাসেম তো সরাসরি রাজনৈতিক ব্যক্তি নন। আর ’৭১ সালে তার বয়স ছিল মাত্র ১৯। তাকে চট্টগ্রামের “মাস্টারমাইন্ড” বলা, সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে সব বাহিনী তার অধীনে চলত—এসবই ছিল সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

আব্বু বের হয়ে বিজয়ের চিহ্ন দেখালেন—Victory sign। কিন্তু আমি তখন pregnant অবস্থায় অতিরিক্ত মানসিক চাপ আর হরমোনের কারণে পুরোপুরি ভেঙে পড়েছিলাম। মনে হয়েছিল দুনিয়াটা এক মুহূর্তে উলটে গেল। এরপর তাকে এসি বাস তো দূরের কথা, মুরির টিনের মতো সংকীর্ণ ভ্যানে গাদাগাদি করে তুলে নিয়ে যাওয়া হলো। সরাসরি কনডেম্নড সেলে ঢোকানো হলো।

আরমান ভাইয়া জেলগেট থেকে নড়তেই পারছিলেন না। আব্বুকে ওই কনডেম্নড সেলে রেখে তিনি কীভাবে বাড়ি ফিরবেন? আমরা বারবার ফোন করে ফিরতে বলছিলাম, আর তিনি জেলগেটের সামনে দাড়িয়ে হাউমাউ করে কাঁদছিলেন। তার সেই কান্নার শব্দ দু’দিন ধরে আমার কানে বাজছিল। আর সেই অসহ্য কষ্ট আমি আর সহ্য করতে না পেরে… আমার বাবুটাকেও হারালাম।’

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সিআইডির মামলা ৬৭৮ কোটি মানিলন্ডারিংয়ে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড মালিকের বিরুদ্ধে

মীর কাসেম আলীর মেয়ের আবেগঘন পোস্ট হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর

আপডেট সময় ০৯:৫৫:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া মীর কাসেম আলীর মেয়ে সুমাইয়া রাবেয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি আবেগঘন পোস্ট করেছেন।

গত সোমবার (১৭ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ঘোষিত রায়কে কেন্দ্র করে নিজের অতীত যন্ত্রণা, পারিবারিক ভাঙন এবং বিচারপ্রক্রিয়ার তুলনামূলক বৈষম্য নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন তিনি।

আব্বুও সেই ভয়াবহ সময়ে আরমান ভাইয়াকে নিয়ে আমার জন্য দোয়া করেছিলেন। আরমান ভাইয়া, যেহেতু আব্বুর ল’ইয়ার, তাই স্বাভাবিক ভিজিটেশনের বাইরে গিয়েও দেখা করতে পারতেন। এদিকে সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছিল। চারদিকে সবাই সান্ত্বনা দিচ্ছিল; মীর কাসেম তো সরাসরি রাজনৈতিক ব্যক্তি নন। আর ’৭১ সালে তার বয়স ছিল মাত্র ১৯। তাকে চট্টগ্রামের “মাস্টারমাইন্ড” বলা, সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে সব বাহিনী তার অধীনে চলত—এসবই ছিল সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

আব্বু বের হয়ে বিজয়ের চিহ্ন দেখালেন—Victory sign। কিন্তু আমি তখন pregnant অবস্থায় অতিরিক্ত মানসিক চাপ আর হরমোনের কারণে পুরোপুরি ভেঙে পড়েছিলাম। মনে হয়েছিল দুনিয়াটা এক মুহূর্তে উলটে গেল। এরপর তাকে এসি বাস তো দূরের কথা, মুরির টিনের মতো সংকীর্ণ ভ্যানে গাদাগাদি করে তুলে নিয়ে যাওয়া হলো। সরাসরি কনডেম্নড সেলে ঢোকানো হলো।

আরমান ভাইয়া জেলগেট থেকে নড়তেই পারছিলেন না। আব্বুকে ওই কনডেম্নড সেলে রেখে তিনি কীভাবে বাড়ি ফিরবেন? আমরা বারবার ফোন করে ফিরতে বলছিলাম, আর তিনি জেলগেটের সামনে দাড়িয়ে হাউমাউ করে কাঁদছিলেন। তার সেই কান্নার শব্দ দু’দিন ধরে আমার কানে বাজছিল। আর সেই অসহ্য কষ্ট আমি আর সহ্য করতে না পেরে… আমার বাবুটাকেও হারালাম।’