মেঘনায় ঢাকা-বরিশাল নৌরুটের বিলাসবহুল দুই যাত্রীবাহী চলন্ত লঞ্চের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে লঞ্চ দুটির সম্মুখভাগের বিভিন্ন অংশ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনো যাত্রী হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার কার্যালয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ আব্দুর সবুর গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের ইকবাল নামের এক যাত্রী জানান, মধ্যরাতের ওই দুর্ঘটনায় কীর্তনখোলা-১০ এর থেকে প্রিন্স আওলাদ-১০ লঞ্চটির বেশি ক্ষতি হয়েছে। এটির মাঝ বরাবর তলা ফেটে গেছে। তাই নদীর মাঝে একটি চরে লঞ্চটিকে নোঙর করে রাখা হয়। তবে রাতেই শুভরাজ-৯ লঞ্চ ঢাকা থেকে এসে প্রিন্স আওলাদ-১০ এর যাত্রী নিয়ে বরিশাল চলে যায়। আর কীর্তনখোলা-১০ এর তেমন একটা ক্ষতি না হওয়ায় সে ধীর গতিতে ঢাকা পৌঁছেছে।
এসআই শেখ আব্দুর সবুর বলেন, ঘটনাস্থল চাঁদপুরের মেঘনা নদী হলেও ঠিক কোথায় তা আমরা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি। ৯৯৯ এ কল আসে কীর্তনখোলা লঞ্চের এক যাত্রী থেকে। তারা আওলাদ ১০ লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কা লাগার খবর জানিয়েছে। লঞ্চগুলোর মাস্টারদের সঙ্গে কথা হয়েছে। ওই ঘটনায় আহত ও নিহতের ঘটনা নেই এবং বড় কোনো সমস্যা হয়নি। এখন লঞ্চগুলো যার যার গন্তব্যে চলে গেছে।