ময়মনসিংহ , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

মেঘনার এক ইলিশ ৮৭০০ টাকায় বিক্রি

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে জেলের জালে ধরা পড়া প্রায় ৩ কেজি ওজনের একটি ইলিশ ৮ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মাছটি কেনেন স্থানীয় ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন।রোববার (১৪ জুলাই) রাত ৯টার দিকে উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাতান খাল বউ বাজার মাছঘাটে ইলিশটি নিলামে বিক্রি করা হয়।

জানা যায়, ভোলার দৌলত খাঁ এলাকার মফিজ মাঝি মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে এই ইলিশটি পান। তারপর তিনি চরঈশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হালিম আজাদের মৎস্য আড়তে নিয়ে আসেন মাছটি। আবদুল হালিম আজাদ নিলামের ডাক দিলে মাছটি আট হাজার ৭০০ টাকায় কিনে নেন নিজাম উদ্দিন। খবর পেয়ে ইলিশ মাছটি দেখতে ভিড় জমান অনেকেই।জেলে মফিজ মাঝি বলেন, নদীতে ইলিশ কম পাওয়া যাচ্ছে। তবে যা পাওয়া যাচ্ছে তা সাইজে অনেক বড়। রোববার সকালে আমি নদীতে জাল ফেলেছি। দুপুরে জাল উঠিয়েছি। এতে অন্যান্য মাছের সঙ্গে বড় একটা ইলিশ ধরা পড়ে। পরে বাতান খাল বউ বাজার মাছঘাটে নিয়ে আড়তে মাছটির ডাক উঠানো হয়। আলহামদুলিল্লাহ, ভালো দাম পেয়েছি।হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফাহাদ হাসান বলেন, মাছের জন্য নিরাপদ অভয়াশ্রম তৈরি এবং সাগরে নির্দিষ্ট সময় মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে এখন মাছ যেমন বড় হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে, তেমনি মাছের বংশবৃদ্ধি এবং উৎপাদন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদীতে মাছ কম পেলেও সামনে নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে মাছ আরো বেশি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

তিনি আরো বলেন, ইদানিং আমরা বড় বড় ইলিশ পাওয়ার খবর পাচ্ছি। এটা জেলে, ব্যবসায়ী ও আড়তদারসহ সবার জন্য খুশির খবর। মূলত সরকার মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে ইলিশের প্রজনন মৌসুম নিরাপদ করেছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

মেঘনার এক ইলিশ ৮৭০০ টাকায় বিক্রি

আপডেট সময় ০৩:১৯:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে জেলের জালে ধরা পড়া প্রায় ৩ কেজি ওজনের একটি ইলিশ ৮ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মাছটি কেনেন স্থানীয় ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন।রোববার (১৪ জুলাই) রাত ৯টার দিকে উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাতান খাল বউ বাজার মাছঘাটে ইলিশটি নিলামে বিক্রি করা হয়।

জানা যায়, ভোলার দৌলত খাঁ এলাকার মফিজ মাঝি মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে এই ইলিশটি পান। তারপর তিনি চরঈশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হালিম আজাদের মৎস্য আড়তে নিয়ে আসেন মাছটি। আবদুল হালিম আজাদ নিলামের ডাক দিলে মাছটি আট হাজার ৭০০ টাকায় কিনে নেন নিজাম উদ্দিন। খবর পেয়ে ইলিশ মাছটি দেখতে ভিড় জমান অনেকেই।জেলে মফিজ মাঝি বলেন, নদীতে ইলিশ কম পাওয়া যাচ্ছে। তবে যা পাওয়া যাচ্ছে তা সাইজে অনেক বড়। রোববার সকালে আমি নদীতে জাল ফেলেছি। দুপুরে জাল উঠিয়েছি। এতে অন্যান্য মাছের সঙ্গে বড় একটা ইলিশ ধরা পড়ে। পরে বাতান খাল বউ বাজার মাছঘাটে নিয়ে আড়তে মাছটির ডাক উঠানো হয়। আলহামদুলিল্লাহ, ভালো দাম পেয়েছি।হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফাহাদ হাসান বলেন, মাছের জন্য নিরাপদ অভয়াশ্রম তৈরি এবং সাগরে নির্দিষ্ট সময় মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে এখন মাছ যেমন বড় হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে, তেমনি মাছের বংশবৃদ্ধি এবং উৎপাদন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদীতে মাছ কম পেলেও সামনে নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে মাছ আরো বেশি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

তিনি আরো বলেন, ইদানিং আমরা বড় বড় ইলিশ পাওয়ার খবর পাচ্ছি। এটা জেলে, ব্যবসায়ী ও আড়তদারসহ সবার জন্য খুশির খবর। মূলত সরকার মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে ইলিশের প্রজনন মৌসুম নিরাপদ করেছে।