ময়মনসিংহ , রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
দেশগঠনে কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বললেন সেনাপ্রধান পথচারীর মৃত্যু মেট্রোরেলের পিলারের বিয়ারিং স্প্রিং ছিটকে পড়ে বন্যপ্রাণী হত্যা রোধে নতুন আইনে জামিনের ব্যবস্থা থাকছে না বললেন পরিবেশ উপদেষ্টা প্রতারণা মামলায় আত্মসমর্পণ: গ্রামীণফোনের সিইওসহ ৩ জন জামিন পেলেন নদী দূষণে ডলফিন ও মানুষ উভয়ই বিপদে বললেন রিজওয়ানা হাসান নির্বাচন বানচালে তৎপরতা চালাচ্ছে স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা বললেন ফারুক খায়রুল হকের আবেদনের শুনানি দুপুরে ৫ মামলায় জামিন চেয়ে সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান গুমের মামলায় ট্রাইব্যুনালে স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার নিখোঁজের ১৭ ঘণ্টা পর রেজুখাল থেকে ঢাকায় তুরস্কের বিশেষজ্ঞ দল কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের কারণ তদন্তে
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

মোশাররফ পলাতক ফরিদপুরকে অপরাধের স্বর্গরাজ্য বানিয়ে

সাবেক এমপি ও তিনবারের মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন মাত্র ১০ বছর ক্ষমতার জোরে গড়ে তোলেন অঢেল সম্পদ। তিনিসহ তার অনুসারীরাও দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারে অভিযুক্ত। দেশের বহুল আলোচিত ২ হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিং এর মামলায় তাদের এখনো জেলে। তবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রভাব খাটিয়ে বেঁচে যান তিনি। সেই থেকেই দেশ ছাড়া তিনি।

পলাতক হাসিনার বেয়াই হওয়ার সুবাদে এমপি ও মন্ত্রী হয়ে মোশাররফ এলাকায় বিশেষ বাহিনী তৈরি করে কায়েম করেন দুর্নীতির রাম রাজত্ব। ফরিদপুর শহরের বদরপুর, কমলাপুর ও ডিকরিরচরে সরকারি খাস ও ব্যক্তিমালিকানাধীন একাধিক জমি দখল করে তৈরি করেন বিলাসবহুল ৩টি বাড়ি। এর বাইরেও রয়েছে দুইটি বাড়ি।তার দখলবাজি থেকে রেহাই পাননি স্থানীয় সংখ্যালঘুরাও।

ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে ফরিদপুর শহরের প্রবেশমুখে বদরপুরে ‘আফসানা মন্জিল’ নামে বাড়িটিতে সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ বিঘা জমি রয়েছে, যার মধ্যে তার উত্তরাধিকারসূত্রে ছিল মাত্র দুই বিঘা বাকি সবটুকুই জোর করে নেওয়া।সদর উপজেলার ডিকরিরচরে রয়েছে নামে-বেনামে কয়েশ বিঘা সম্পত্তি। এছাড়াও দক্ষিণ কালীবাড়িতে রাজেন্দ্র কলেজ সংলগ্ন পৈত্রিক বাড়ির পাশে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি লিখে নেন তিনি। সেই সময় এই বিষয় নিয়ে ব্যাপক হইচই হয়, তবে ক্ষমতার প্রভাবে সবার মুখ বন্ধ করেন তিনি। তার  দাপটের কাছে টিকতে না পেরে জমি লিখে দেওয়ার পর কেউ করছে মানবতের জীবনযাপন, কেউবা অসুস্থ।

২০০৯ সালে ভাইয়ের ছায়া হিসেবে আসার পর আবির্ভূত হন খন্দকার মোহতেশাম হোসেন। তিনি মোশাররফের অলিখিত প্রতিনিধি হিসেবে সকল কর্মকান্ড সামলাতেন।একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন।

উল্লেখ্য, দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে কাফরুল থানার মামলায় সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেনের ভাই খন্দকার মোহতেশাম বাবরসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

দেশগঠনে কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বললেন সেনাপ্রধান

মোশাররফ পলাতক ফরিদপুরকে অপরাধের স্বর্গরাজ্য বানিয়ে

আপডেট সময় ১১:৪০:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪

সাবেক এমপি ও তিনবারের মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন মাত্র ১০ বছর ক্ষমতার জোরে গড়ে তোলেন অঢেল সম্পদ। তিনিসহ তার অনুসারীরাও দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারে অভিযুক্ত। দেশের বহুল আলোচিত ২ হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিং এর মামলায় তাদের এখনো জেলে। তবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রভাব খাটিয়ে বেঁচে যান তিনি। সেই থেকেই দেশ ছাড়া তিনি।

পলাতক হাসিনার বেয়াই হওয়ার সুবাদে এমপি ও মন্ত্রী হয়ে মোশাররফ এলাকায় বিশেষ বাহিনী তৈরি করে কায়েম করেন দুর্নীতির রাম রাজত্ব। ফরিদপুর শহরের বদরপুর, কমলাপুর ও ডিকরিরচরে সরকারি খাস ও ব্যক্তিমালিকানাধীন একাধিক জমি দখল করে তৈরি করেন বিলাসবহুল ৩টি বাড়ি। এর বাইরেও রয়েছে দুইটি বাড়ি।তার দখলবাজি থেকে রেহাই পাননি স্থানীয় সংখ্যালঘুরাও।

ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে ফরিদপুর শহরের প্রবেশমুখে বদরপুরে ‘আফসানা মন্জিল’ নামে বাড়িটিতে সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ বিঘা জমি রয়েছে, যার মধ্যে তার উত্তরাধিকারসূত্রে ছিল মাত্র দুই বিঘা বাকি সবটুকুই জোর করে নেওয়া।সদর উপজেলার ডিকরিরচরে রয়েছে নামে-বেনামে কয়েশ বিঘা সম্পত্তি। এছাড়াও দক্ষিণ কালীবাড়িতে রাজেন্দ্র কলেজ সংলগ্ন পৈত্রিক বাড়ির পাশে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি লিখে নেন তিনি। সেই সময় এই বিষয় নিয়ে ব্যাপক হইচই হয়, তবে ক্ষমতার প্রভাবে সবার মুখ বন্ধ করেন তিনি। তার  দাপটের কাছে টিকতে না পেরে জমি লিখে দেওয়ার পর কেউ করছে মানবতের জীবনযাপন, কেউবা অসুস্থ।

২০০৯ সালে ভাইয়ের ছায়া হিসেবে আসার পর আবির্ভূত হন খন্দকার মোহতেশাম হোসেন। তিনি মোশাররফের অলিখিত প্রতিনিধি হিসেবে সকল কর্মকান্ড সামলাতেন।একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন।

উল্লেখ্য, দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে কাফরুল থানার মামলায় সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেনের ভাই খন্দকার মোহতেশাম বাবরসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি।