মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার নালী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মিন্টু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পুলিশের ভাষ্য, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলায় ঘটনা জড়িত মিন্টু। অন্যদিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিন্টুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘিওর উপজেলা বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে চাপা অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
তবে পুলিশের দাবি, মিন্টু আওয়ামী লীগ কর্মী। গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে হামলার ঘটনায় তিনি জড়িত।
অন্যদিকে স্থানীয় বিএনপি ও যুবদল নেতারা বলছেন, মিন্টু দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এবং বর্তমানে ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
নালী ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মো. ফারুক মিয়া বলেন, মিন্টু আমাদের কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক। আমার স্বাক্ষরিত কমিটিতেই তার নাম রয়েছে। তাকে আওয়ামী লীগের কর্মী বানিয়ে গ্রেপ্তার করা উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আসলাম হোসেন বলেন, ‘মিন্টু আমাদের দীর্ঘদিনের সহকর্মী। রাজনৈতিক হয়রানির শিকার হচ্ছেন তিনি। হয়তো ব্যক্তিগত কোনো দ্বন্দ্বের জেরেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কাজী মোস্তাক হোসেন দীপু বলেন, ‘যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, সেটি ১৮ জুলাইয়ের ঘটনা। অথচ সেটিকে ৪ আগস্ট বলে চালানো হচ্ছে। আমি নিজে ওই দিনের আন্দোলনে ছিলাম। সেখানে মিন্টুর সম্পৃক্ততা ছিল না। তাকে মিথ্যা ভিডিও ও মনগড়া অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি একটি পরিকল্পিত অপচেষ্টা। আমার কর্মীকে আমার বিপক্ষে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং মিন্টুর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।’
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা এখনও কোনও মন্তব্য দেননি।