শীতের রাত, সময় সাড়ে ১২টা। গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরের ইজতেমা মাঠের প্রায় প্রতিটি প্রবেশপথেই মুসল্লিদের জটলা। বাস, ট্রাক বা পিকআপ ভ্যান থেকে নামছেন তাঁরা। প্রায় সবার সঙ্গেই নানান ব্যাগ আর গাঁট্টিবোঁচকা। মাঠজুড়ে নক্ষত্রের মতো ছড়িয়ে থাকা বৈদ্যুতিক বাতির নিচে দল বেঁধে প্রবেশ করছেন। সেখানে ঢুকেই নিজ নিজ খিত্তায় (নির্ধারিত জায়গা) অবস্থান নিচ্ছেন তাঁরা।
গতকাল বুধবার রাতে মুসল্লিদের এ সমাগম বিশ্ব ইজতেমাকে ঘিরে। আগামীকাল শুক্রবার শুরু হবে তাবলিগের শুরায়ে নেজাম বা মাওলানা জোবায়ের অনুসারীদের ইজতেমা। এ উপলক্ষে গতকাল সকাল থেকেই মাঠে আসতে শুরু করেন মুসল্লিরা। তবে রাতেই তাঁদের আনাগোনা সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে। এর মাধ্যমে ক্রমেই বাড়ছে মুসল্লিদের সমাগম।
ইজতেমার গণমাধ্যম সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের সাথি ভাইয়েরা গতকাল সকাল থেকেই ময়দানে আসতে শুরু করেছেন। তবে গতকাল রাতে সাথিরা আসেন সবচেয়ে বেশি। আজ বৃহস্পতিবারও সারা দিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিরা আসবেন। এর মধ্যেই ভরে গেছে মাঠের বেশির ভাগ অংশ।’
মাঠে বিদেশি খিত্তা–সংলগ্ন ফটকে কথা হয় সিলেটের মৌলভীবাজার থেকে আগত কয়েকজন মুসল্লির সঙ্গে। এর মধ্যে মোজাম্মেল হোসেন নামের একজন বলেন, তাঁরা ৪২ জনের একটি দল একসঙ্গে এসেছেন। এর আগে গতকাল বেলা ১টার দিকে সিলেট থেকে রওনা দেন। পরে গতকাল রাত ১২টায় টঙ্গীতে পৌঁছান।
তাবলিগ জামাত সূত্রে জানা যায়, তাবলিগ জামাত এখন দুই ভাগে বিভক্ত। প্রথম ভাগে শুরায়ে নেজাম বা মাওলানা জোবায়ের অনুসারীরা। অন্য ভাগে আছেন ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভী অনুসারীরা। এর মধ্যে মাওলানা সাদ কান্ধলভী অনুসারীদের ইজতেমা আগামী ১৪–১৬ ফেব্রুয়ারি পালনের কথা আছে।