অনলাইন ডেস্ক :
ইউক্রেনীয় সেনাদের বিরুদ্ধে রাশিয়া রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করেছে আমেরিকা।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ইউক্রেনের সৈন্যদের বিরুদ্ধে শ্বাসরোধ করা ক্লোরোপিক্রিন এবং যুদ্ধের পদ্ধতি হিসেবে সহিংসতা নিয়ন্ত্রণকারী পদার্থ ব্যবহার করেছে রাশিয়া, যা রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার স্পষ্ট লঙ্ঘন। বুধবার এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর বলেছে, “এ জাতীয় রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার নতুন কিছু নয় এবং সম্ভবত রুশ বাহিনীর লক্ষ্য হচ্ছে ইউক্রেনের সৈন্যদের সুরক্ষিত স্থান থেকে সরিয়ে দেয়া এবং যুদ্ধক্ষেত্রে কৌশলগত লাভ অর্জন করা।” এ বিষয়ে মন্তব্য চাওয়া হলে ওয়াশিংটনে রাশিয়ার দূতাবাস তাৎক্ষণিক কোনও জবাব দেয়নি।
শ্বাসরোধকারী পদার্থ হিসেবে ক্লোরোপিক্রিন ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে দ্য হেইগ-ভিত্তিক সংগঠন অর্গানাইজেশন ফর দ্য প্রোহিবিশন অব কেমিক্যাল ওয়েপানস (ওপিসিডব্লিউ)। এই সংগঠনটি তৈরি করা হয়েছিল ১৯৯৩ সালের কেমিক্যাল ওয়েপান কনভেনশনের (সিডব্লিউসি) অনুযায়ী বিষয়টি বাস্তবায়ন ও নজরদারির লক্ষ্যে।
রাসায়নিক অস্ত্রের অন্যতম প্রথম ব্যবহারটি করেছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে জার্মান বাহিনী মিত্রবাহিনীর সৈন্যদের বিরুদ্ধে।
এর আগে, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়- ইউক্রেনের সৈন্যরা বলেছে রাশিয়া সহিংসতা নিয়ন্ত্রণকারী রাসায়নিক পদার্থের অবৈধ ব্যবহার বাড়িয়ে তুলেছে যখন তারা গত দু’বছরের ও বেশি সময় পরে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনী বলছে ক্লোরোপিক্রিন ছাড়াও রাশিয়ার সৈন্যরা সিএস ও সিএন গ্যাস ভর্তি গ্রেনেড ও নিক্ষেপ করছে। তারা বলছে, বিষাক্ত জিনিসের সম্মুখিন হওয়ার জন্য ইউক্রেনের অন্তত ৫০০ জন সৈন্যের চিকিৎসা করা হয়েছে এবং একজন কাঁদানে গ্যাসের বিষাক্ত পদার্থে দম বন্ধ হয়ে মারা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর বলেছে, তারা কংগ্রেসকে জানাচ্ছে- রাশিয়া যে ক্লোরোপিক্রিন ব্যবহার করেছে তা সিডব্লিইসি’র লঙ্ঘন। সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা, রয়টার্স, ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট, আল জাজিরা
আরো পড়ুন…..