বাউল সম্রাট লালন সাঁইয়ের গান কেবল সুর নয়, এটি অত্যন্ত উচ্চমানের সংগীত বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন।
তিনি মনে করেন, লালনের গানে যে গভীর দার্শনিক, রাজনৈতিক এবং মানবিক মূল্যবোধ রয়েছে, তাতে মানবতার যে বার্তা দেওয়া হয়েছে, তা আজকের পৃথিবীতেও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রাসঙ্গিক।
অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় আর ব্যবস্থাপনায় রয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
তিনি আরও বলেন, সরকার মনে করে, লালনের দর্শন এবং অবদান শুধু জাতীয় পর্যায়ে সীমাবদ্ধ রাখার নয়। ভবিষ্যতে যে সরকারই আসুক, লালনের সঙ্গে তাদের কোনো বিরোধ থাকবে না। কারণ লালন কোনো দলীয় আদর্শের প্রতিনিধিত্ব করেন না, তিনি মানবতার প্রতীক।
উপদেষ্টা বলেন, বিশ্ব দরবারে অনেক সাধকের নাম পৌঁছে গেছে, কিন্তু লালন এখনও আন্তর্জাতিকভাবে ততটা পরিচিত নন। অথচ তার ভাবধারা, গান এবং দর্শন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জানার অধিকার আছে। সেজন্য আমরা চাই, বিশ্বে লালনের নাম, গান ও ভাবনার বিস্তার হোক।
তিনি আরও বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠান শুধু স্মরণ নয়, লালনের প্রতি রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান প্রদর্শনের এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আগামী দিনে লালনের গান ও দর্শন শুধু দেশেই নয়, বিশ্বের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়বে।
অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান লেখক ও গবেষক লালন বক্তৃতার মুখ্য আলোচক প্রফেসর গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক, বিশিষ্ট কবি, লেখক ও চিন্তক এবং লালন বিশেষজ্ঞ ফরহাদ মজহার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আ আল মামুন।
এসময় স্বাগত বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন। তিনদিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানমালায় দেশব্যাপী লালন অনুসারী, সাধক, গবেষক এবং সাংস্কৃতিক কর্মীরা অংশগ্রহণ করবেন।