ময়মনসিংহ , বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

শবে বরাতে হালুয়া-রুটির প্রচলন এলো কি ভাবে?

  • ‍Aminul Islam
  • আপডেট সময় ০৩:০৬:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৩২৮ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন সংবাদ-

হাদিসের ভাষায় লাইলাতুম মিন নিসফি শাবান কে উপমহাদেশে শবে বরাত বলা হয়। ‘শবে বরাত’ ফারসি শব্দ। ‘শব’ শব্দের অর্থ রাত, ‘বরাত’ অর্থ নাজাত বা মুক্তি। এই দুই শব্দ মিলে অর্থ হয় মুক্তির রজনী।

এই রাতের ফজিলত হাদিসের মাধ্যমে প্রমাণিত। হাদিসে এসেছে, এ রাতে আল্লাহ তার সঙ্গে শিরককারী ও হিংসুক ছাড়া সব সৃষ্টিকে ক্ষমা করেন। এই রাতে মানুষজন বিভিন্ন ধরনের নফল ইবাদত পালন করে থাকেন। ইবাদতের পাশাপাশি শবে বরাত উপলক্ষে হালুয়া রুটি খাওয়ারও প্রচলন রয়েছে অনেকের মাঝে। তবে এটি ইসলামি বিধান সম্মত কোনও বিষয় নয়।

নবীজি কিংবা সাহাবিদের যুগে শবে বরাত বা লাইলাতুম মিন নিসফি শাবানকে কেন্দ্র করে হালুয়া রুটি খাওয়া বা প্রতিবেশিদের মাঝে বিলানোর কোনও প্রচলন ছিলো বলে হাদিসে পাওয়া যায় না। তবে বাংলাদেশে ১৯’শ শতকের শেষের দিকে শব-ই- বরাত পালনের ব্যাপক প্রচলন শুরু হয় বলে মতামত দিয়েছেন অনেক ইতিহাস বিশ্লেষক।

অনেকে আবার হালুয়া রুটির প্রচলনের বিষয়ে উহুদ যুদ্ধে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দাঁত শহিদ হওয়ার ঘটনাকে সামনে নিয়ে আসেন। বলতে শোনা যায়, উহুদ যুদ্ধে যখন নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দানদান মোবরক শহীদ হয়েছিল, তখন কিছুদিন কোনো প্রকার শক্ত খাবার খেতে পারতেন না। সেই ঘটনার প্রতি সমবেদনা জানিয়ে এই দিনে ঘটা করে হালুয়া রুটি খাওয়া হয়।

অনেকে আবার হালুয়া রুটির প্রচলনের বিষয়ে উহুদ যুদ্ধে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দাঁত শহিদ হওয়ার ঘটনাকে সামনে নিয়ে আসেন। বলতে শোনা যায়, উহুদ যুদ্ধে যখন নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দানদান মোবরক শহীদ হয়েছিল, তখন কিছুদিন কোনো প্রকার শক্ত খাবার খেতে পারতেন না। সেই ঘটনার প্রতি সমবেদনা জানিয়ে এই দিনে ঘটা করে হালুয়া রুটি খাওয়া হয়।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শবে বরাতে হালুয়া-রুটির প্রচলন এলো কি ভাবে?

আপডেট সময় ০৩:০৬:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

অনলাইন সংবাদ-

হাদিসের ভাষায় লাইলাতুম মিন নিসফি শাবান কে উপমহাদেশে শবে বরাত বলা হয়। ‘শবে বরাত’ ফারসি শব্দ। ‘শব’ শব্দের অর্থ রাত, ‘বরাত’ অর্থ নাজাত বা মুক্তি। এই দুই শব্দ মিলে অর্থ হয় মুক্তির রজনী।

এই রাতের ফজিলত হাদিসের মাধ্যমে প্রমাণিত। হাদিসে এসেছে, এ রাতে আল্লাহ তার সঙ্গে শিরককারী ও হিংসুক ছাড়া সব সৃষ্টিকে ক্ষমা করেন। এই রাতে মানুষজন বিভিন্ন ধরনের নফল ইবাদত পালন করে থাকেন। ইবাদতের পাশাপাশি শবে বরাত উপলক্ষে হালুয়া রুটি খাওয়ারও প্রচলন রয়েছে অনেকের মাঝে। তবে এটি ইসলামি বিধান সম্মত কোনও বিষয় নয়।

নবীজি কিংবা সাহাবিদের যুগে শবে বরাত বা লাইলাতুম মিন নিসফি শাবানকে কেন্দ্র করে হালুয়া রুটি খাওয়া বা প্রতিবেশিদের মাঝে বিলানোর কোনও প্রচলন ছিলো বলে হাদিসে পাওয়া যায় না। তবে বাংলাদেশে ১৯’শ শতকের শেষের দিকে শব-ই- বরাত পালনের ব্যাপক প্রচলন শুরু হয় বলে মতামত দিয়েছেন অনেক ইতিহাস বিশ্লেষক।

অনেকে আবার হালুয়া রুটির প্রচলনের বিষয়ে উহুদ যুদ্ধে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দাঁত শহিদ হওয়ার ঘটনাকে সামনে নিয়ে আসেন। বলতে শোনা যায়, উহুদ যুদ্ধে যখন নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দানদান মোবরক শহীদ হয়েছিল, তখন কিছুদিন কোনো প্রকার শক্ত খাবার খেতে পারতেন না। সেই ঘটনার প্রতি সমবেদনা জানিয়ে এই দিনে ঘটা করে হালুয়া রুটি খাওয়া হয়।

অনেকে আবার হালুয়া রুটির প্রচলনের বিষয়ে উহুদ যুদ্ধে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দাঁত শহিদ হওয়ার ঘটনাকে সামনে নিয়ে আসেন। বলতে শোনা যায়, উহুদ যুদ্ধে যখন নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দানদান মোবরক শহীদ হয়েছিল, তখন কিছুদিন কোনো প্রকার শক্ত খাবার খেতে পারতেন না। সেই ঘটনার প্রতি সমবেদনা জানিয়ে এই দিনে ঘটা করে হালুয়া রুটি খাওয়া হয়।