ময়মনসিংহ , বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

শীতে আদা চা খাওয়ার উপকারিতা

  • স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় ১০:৩৪:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
  • ৫৩ বার পড়া হয়েছে

বেশিরভাগ মানুষেরই মোশন সিকনেসের সমস্যা শুরু হয় গরম থেকে শীত পড়ার মুহূর্তে। তাই এ সমস্যার সমাধানে আদা চা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। শীতের ঠান্ডা আবহাওয়ায় নিয়মিত এটি খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে।

সাধারণত মোশন সিকনেসের সমস্যায় ভুগলে বমি ভাব, ঠান্ডা অনুভূতি, শরীর ব্যথা, অলসতা ঘিরে ধরে। এ সময় সর্দি, কাশি ও কফের সমস্যাও দেখা দেয় অনেকের। আর এ সব সমস্যার সমাধান দিতে পারে আদা চা।
 আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে যে, আদা প্রায় সব ধরনের রোগ নিরাময়ে কার্যকরী। নিয়মিত আদা খাওয়ার অভ্যাস শরীরকে নীরোগ রাখার ক্ষমতা রয়েছে।
 আদার জিঞ্জেরল একটি জৈব-সক্রিয় পদার্থ। এটি বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়ার মতো উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে। এই পদার্থটি পেশীর ফোলা জয়েন্ট কমাতেও সাহায্য করে।
 অন্যদিকে শীতের ঠান্ডা আবহাওয়ায় শরীরকে চাঙা করতে চায়ের বিকল্প নেই। দ্রুত অলসতা ভাব কাটিয়ে কাজে মনোযোগী হতেও দারুণ কাজ করে এটি।
 তাই শীতের সময় নিয়মিত আদা চা খাওয়ার রয়েছে অনেক উপকারিতা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আজ তাক বাংলার প্রতিবেদন থেকে আসুন জেনে নিই, শীতে আদা চা খাওয়ার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে:
 ১। ঋতু পরিবর্তনের সময় গরম থেকে শীত আসার মুহূর্তে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করে। যে কারণে ঠান্ডা লাগার সাথে সর্দি-কাশি-কফের সমস্যায় ভোগেন অনেক রোগী। তাই নিয়মিত আদা চায়ের অভ্যাস এ সমস্যা থেকে অনেকটাই আপনাকে দূরে রাখতে পারে।
 ২। শীতের রুক্ষ্ম পরিবেশে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে ত্বক। ত্বকের কুচকে যাওয়ার সমস্যা, ফেটে যাওয়া কিংবা চুলকানির সমস্যা দেখা দিলে তার সমাধানে নিয়মিত খেতে পারেন আদা চা।
 ৩। আদা চায়ের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। যে কারণে ঠাণ্ডা বা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও তা থেকে দ্রুত পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে আদা চা।
 ৪। শীতে ত্বকের রুক্ষ্মতার পাশাপাশি শরীরেও এর প্রভাব পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে পানি খাওয়ার পরিমাণও এ সময় অনকে কমে যায়। যে কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয় অনেকের। আর এ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার সমাধানেও কাজ করতে পারে আদা চা।
 ৫। হাড়, পেশীর ব্যথা সারাতেও নিয়মিত খেতে পারেন আদা চা।
 ৬। শীতে রক্তে শর্করার মাত্রা ও ওজন নিয়ন্ত্রণেও দারুণ কাজ করতে পারে আদা চা। রক্ত জমাট বাধার মতো সমস্যার সমাধান করে। রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে।
 ৭। হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। শরীর সুস্থ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতেও কার্যকরী আদা চা। 

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

শীতে আদা চা খাওয়ার উপকারিতা

আপডেট সময় ১০:৩৪:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

বেশিরভাগ মানুষেরই মোশন সিকনেসের সমস্যা শুরু হয় গরম থেকে শীত পড়ার মুহূর্তে। তাই এ সমস্যার সমাধানে আদা চা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। শীতের ঠান্ডা আবহাওয়ায় নিয়মিত এটি খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে।

সাধারণত মোশন সিকনেসের সমস্যায় ভুগলে বমি ভাব, ঠান্ডা অনুভূতি, শরীর ব্যথা, অলসতা ঘিরে ধরে। এ সময় সর্দি, কাশি ও কফের সমস্যাও দেখা দেয় অনেকের। আর এ সব সমস্যার সমাধান দিতে পারে আদা চা।
 আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে যে, আদা প্রায় সব ধরনের রোগ নিরাময়ে কার্যকরী। নিয়মিত আদা খাওয়ার অভ্যাস শরীরকে নীরোগ রাখার ক্ষমতা রয়েছে।
 আদার জিঞ্জেরল একটি জৈব-সক্রিয় পদার্থ। এটি বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়ার মতো উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে। এই পদার্থটি পেশীর ফোলা জয়েন্ট কমাতেও সাহায্য করে।
 অন্যদিকে শীতের ঠান্ডা আবহাওয়ায় শরীরকে চাঙা করতে চায়ের বিকল্প নেই। দ্রুত অলসতা ভাব কাটিয়ে কাজে মনোযোগী হতেও দারুণ কাজ করে এটি।
 তাই শীতের সময় নিয়মিত আদা চা খাওয়ার রয়েছে অনেক উপকারিতা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আজ তাক বাংলার প্রতিবেদন থেকে আসুন জেনে নিই, শীতে আদা চা খাওয়ার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে:
 ১। ঋতু পরিবর্তনের সময় গরম থেকে শীত আসার মুহূর্তে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করে। যে কারণে ঠান্ডা লাগার সাথে সর্দি-কাশি-কফের সমস্যায় ভোগেন অনেক রোগী। তাই নিয়মিত আদা চায়ের অভ্যাস এ সমস্যা থেকে অনেকটাই আপনাকে দূরে রাখতে পারে।
 ২। শীতের রুক্ষ্ম পরিবেশে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে ত্বক। ত্বকের কুচকে যাওয়ার সমস্যা, ফেটে যাওয়া কিংবা চুলকানির সমস্যা দেখা দিলে তার সমাধানে নিয়মিত খেতে পারেন আদা চা।
 ৩। আদা চায়ের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। যে কারণে ঠাণ্ডা বা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও তা থেকে দ্রুত পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে আদা চা।
 ৪। শীতে ত্বকের রুক্ষ্মতার পাশাপাশি শরীরেও এর প্রভাব পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে পানি খাওয়ার পরিমাণও এ সময় অনকে কমে যায়। যে কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয় অনেকের। আর এ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার সমাধানেও কাজ করতে পারে আদা চা।
 ৫। হাড়, পেশীর ব্যথা সারাতেও নিয়মিত খেতে পারেন আদা চা।
 ৬। শীতে রক্তে শর্করার মাত্রা ও ওজন নিয়ন্ত্রণেও দারুণ কাজ করতে পারে আদা চা। রক্ত জমাট বাধার মতো সমস্যার সমাধান করে। রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে।
 ৭। হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। শরীর সুস্থ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতেও কার্যকরী আদা চা।