ময়মনসিংহ , মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

শেখ হাসিনাকে কি আদৌ ফেরত পাঠাবে ভারত, ইকোনমিক টাইমস এর নতুন তথ্য

নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বতী সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে (প্রত্যর্পণ) ভারতের কাছে করা অনুরোধটি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় প্রত্যর্পণ চুক্তির উল্লেখিত শর্তের সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমকি টাইমসরে প্রতিবেদনে এসব বলা হয়েছে।

বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূরাজনৈতিক স্বার্থ বিবেচনায় রেখে ভারত তার ঘনিষ্ঠ মিত্রদের কাউকেও ত্যাগ করবে না। ভারত-বাংলাদেশ প্রত্যর্পণ চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ‘রাজনৈতিক প্রকৃতির’ যে কোনো অনুরোধ কার্যকর করা যায় না।

উচ্চপর্যায়ের সূত্রগুলো বলেছে, শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়ার তিনদিন পর ৮ আগস্ট শপথ নেয়া বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের চাপ সত্ত্বেও ভারত এই বিষয়ে দ্রুত কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনার মতো একজন সরকারপ্রধান, যিনি ভারতের জাতীয় স্বার্থ প্রাধান্য দিয়েছিলেন, চরমপন্থীদের দমন করেছেন এবং উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়িয়েছেন- তাকে প্রত্যর্পণ করলে ভারতের প্রতিবেশী মিত্রদের কাছে ভুল বার্তা যাবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, ভারত এই ধরনের প্রত্যর্পণবিষয়ক অনুরোধ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে এবং এতে কয়েক মাস লেগে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারত দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী দেশের অতিথিদের স্বাগত জানানো এবং আশ্রয় দেয়ার ঐতিহ্য ধরে রেখেছে, যার উদাহরণ ধর্মীয়গুরু দালাই লামাও।

সূত্রগুলো জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে যদি শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়, তা হলে (মিথ্যা মামলার আওতায়) তাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে যা তার জন্য একটি অনিশ্চিত ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত দিয়েছেন, এই মুহূর্তে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এবং শেখ হাসিনার ভূমিকাকে সামনে রেখে প্রত্যর্পণ ইস্যুটি জটিল এবং সময়সাপেক্ষ বলে বিবেচিত হচ্ছে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

শেখ হাসিনাকে কি আদৌ ফেরত পাঠাবে ভারত, ইকোনমিক টাইমস এর নতুন তথ্য

আপডেট সময় ০৩:২০:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বতী সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে (প্রত্যর্পণ) ভারতের কাছে করা অনুরোধটি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় প্রত্যর্পণ চুক্তির উল্লেখিত শর্তের সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমকি টাইমসরে প্রতিবেদনে এসব বলা হয়েছে।

বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূরাজনৈতিক স্বার্থ বিবেচনায় রেখে ভারত তার ঘনিষ্ঠ মিত্রদের কাউকেও ত্যাগ করবে না। ভারত-বাংলাদেশ প্রত্যর্পণ চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ‘রাজনৈতিক প্রকৃতির’ যে কোনো অনুরোধ কার্যকর করা যায় না।

উচ্চপর্যায়ের সূত্রগুলো বলেছে, শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়ার তিনদিন পর ৮ আগস্ট শপথ নেয়া বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের চাপ সত্ত্বেও ভারত এই বিষয়ে দ্রুত কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনার মতো একজন সরকারপ্রধান, যিনি ভারতের জাতীয় স্বার্থ প্রাধান্য দিয়েছিলেন, চরমপন্থীদের দমন করেছেন এবং উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়িয়েছেন- তাকে প্রত্যর্পণ করলে ভারতের প্রতিবেশী মিত্রদের কাছে ভুল বার্তা যাবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, ভারত এই ধরনের প্রত্যর্পণবিষয়ক অনুরোধ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে এবং এতে কয়েক মাস লেগে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারত দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী দেশের অতিথিদের স্বাগত জানানো এবং আশ্রয় দেয়ার ঐতিহ্য ধরে রেখেছে, যার উদাহরণ ধর্মীয়গুরু দালাই লামাও।

সূত্রগুলো জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে যদি শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়, তা হলে (মিথ্যা মামলার আওতায়) তাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে যা তার জন্য একটি অনিশ্চিত ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত দিয়েছেন, এই মুহূর্তে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এবং শেখ হাসিনার ভূমিকাকে সামনে রেখে প্রত্যর্পণ ইস্যুটি জটিল এবং সময়সাপেক্ষ বলে বিবেচিত হচ্ছে।