ময়মনসিংহ , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

শেরপুরে হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃক হামলার শিকার সময় টিভির সাংবাদিক

  • মো: নাজমুল হক
  • আপডেট সময় ১১:০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪
  • ৩৯ বার পড়া হয়েছে

শেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে ঔষধ ক্রয়ের ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে শিকার হয়েছেন সময় টিভির শেরপুরের স্টাফ রিপোর্টার শহিদুল ইসলাম হীরা। ১১ নভেম্বর সোমবার দুপুর দুইটায় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সেলিম মিঞা বিষয়টি নিয়ে খবর না করার জন্য ধমকা ধমকি করেন। এসময় ক্যামেরা পার্সন ভিডিও করতে গেলে তার ক্যামারা ছিনিয়ে নেন সেলিম মিঞা। এর পর তিনি সাংবাদিক হীরাকে শার্টের কলার ও গলা চেপে ধরেন। পরবর্তীতে হাসপাতালের কর্মচারীদের ডেকে এনে তাকে দরজা বন্ধ করে ঘন্টা খানেক আটকে রাখে। বিষয়টি অন্যান্য সাংবাদিকরা খবর পেলে তাকে উদ্ধার করতে যাওয়ার খবরে সে কৌশলে সটকে করেন তত্ত্বাবধায়ক সেলিম মিঞা।

জানা যায়, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ঔষধ ক্রয়ের ঠিকাদার নিয়োগে কম দরদাতাকে নির্ধারণ না করে বেশি দর প্রদানকারীদের দেয়া হয়েছে এখন অভিযোগে তথ্য সংগ্রহ করতে যায় সময় টেলিভিশনের সাংবাদিক সহ বেশ কয়েকজন। এসময় তথ্য চাইতে গেলে সাংবাদিকদের খবরটি না করার জন্য চাপ দেয় তিনি এবং খবর করলে দেখা নেয়ার হুমকি দেন তিনি। পরবর্তীতে শুরু হয় কথাকাটাকাটি। এক পর্যায়ে তত্ত্বাবধায়ক চেয়ার থেকে উঠে বাজে ভাষায় গালিগালাজ করেন। এই এসময় ঘটনা সম্পর্কে প্রমান রাখতে ক্যামেরা পার্সন ক্যামেরায় ভিডিও ধারন করতে গেলে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে শার্টের কলার ও গলা চেপে ধরে ঘন্টা খানেক আটকে রাখেন।

বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম হীরা বলেন, আমার সহকর্মীদের সাথে নিয়ে একটি খবরের তথ্য সংগ্রহের জন্য হাসপাতালে যাই। যাওয়ার আগে অভিযোগের ব্যাপারে সিভিল সার্জনকে অভিহিত করা হয়। এছাড়াও তথ্য সংগ্রহের জন্য হাসপাতালের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা সজলের মোবাইলের মাধ্যমে কথা বলে অনুমতি নেই। বাইরের কাজ শেষ করে তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে প্রবেশের পর তথ্য চাইতেই তিনি খবর করলে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। পরবর্তীতে তিনি সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের ডেকে দরজা বন্ধ করার নির্দেশ দেন। এছাড়াও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে আমার শার্টের কলার ও গলা চেপে ধরে।

এ ব্যাপারে শেরপুরের সিভিল সার্জন ডা. জসিম উদ্দিন বলেন, হাসপাতালের ও আমি একই পদমর্যাদার কর্মকর্তা। তাই তাকে নিয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে পারবো না। তবে ফুটেজে হামলার স্পষ্ট দৃশ্য রয়েছে। আমি বিষয়টি ময়মনসিংহ বিভাগের উপ-পরিচালক সহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলতে পারবে।

 

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. শাহ আলি আকবর আশরাফীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি একটি মিটিং আছেন বলে ফোন কেটে দেন।

শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি ঘটনাটি অবগত হয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল কাজ করছে। তবে এ ঘটনায় কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

শেরপুরে হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃক হামলার শিকার সময় টিভির সাংবাদিক

আপডেট সময় ১১:০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

শেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে ঔষধ ক্রয়ের ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে শিকার হয়েছেন সময় টিভির শেরপুরের স্টাফ রিপোর্টার শহিদুল ইসলাম হীরা। ১১ নভেম্বর সোমবার দুপুর দুইটায় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সেলিম মিঞা বিষয়টি নিয়ে খবর না করার জন্য ধমকা ধমকি করেন। এসময় ক্যামেরা পার্সন ভিডিও করতে গেলে তার ক্যামারা ছিনিয়ে নেন সেলিম মিঞা। এর পর তিনি সাংবাদিক হীরাকে শার্টের কলার ও গলা চেপে ধরেন। পরবর্তীতে হাসপাতালের কর্মচারীদের ডেকে এনে তাকে দরজা বন্ধ করে ঘন্টা খানেক আটকে রাখে। বিষয়টি অন্যান্য সাংবাদিকরা খবর পেলে তাকে উদ্ধার করতে যাওয়ার খবরে সে কৌশলে সটকে করেন তত্ত্বাবধায়ক সেলিম মিঞা।

জানা যায়, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ঔষধ ক্রয়ের ঠিকাদার নিয়োগে কম দরদাতাকে নির্ধারণ না করে বেশি দর প্রদানকারীদের দেয়া হয়েছে এখন অভিযোগে তথ্য সংগ্রহ করতে যায় সময় টেলিভিশনের সাংবাদিক সহ বেশ কয়েকজন। এসময় তথ্য চাইতে গেলে সাংবাদিকদের খবরটি না করার জন্য চাপ দেয় তিনি এবং খবর করলে দেখা নেয়ার হুমকি দেন তিনি। পরবর্তীতে শুরু হয় কথাকাটাকাটি। এক পর্যায়ে তত্ত্বাবধায়ক চেয়ার থেকে উঠে বাজে ভাষায় গালিগালাজ করেন। এই এসময় ঘটনা সম্পর্কে প্রমান রাখতে ক্যামেরা পার্সন ক্যামেরায় ভিডিও ধারন করতে গেলে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে শার্টের কলার ও গলা চেপে ধরে ঘন্টা খানেক আটকে রাখেন।

বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম হীরা বলেন, আমার সহকর্মীদের সাথে নিয়ে একটি খবরের তথ্য সংগ্রহের জন্য হাসপাতালে যাই। যাওয়ার আগে অভিযোগের ব্যাপারে সিভিল সার্জনকে অভিহিত করা হয়। এছাড়াও তথ্য সংগ্রহের জন্য হাসপাতালের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা সজলের মোবাইলের মাধ্যমে কথা বলে অনুমতি নেই। বাইরের কাজ শেষ করে তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে প্রবেশের পর তথ্য চাইতেই তিনি খবর করলে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। পরবর্তীতে তিনি সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের ডেকে দরজা বন্ধ করার নির্দেশ দেন। এছাড়াও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে আমার শার্টের কলার ও গলা চেপে ধরে।

এ ব্যাপারে শেরপুরের সিভিল সার্জন ডা. জসিম উদ্দিন বলেন, হাসপাতালের ও আমি একই পদমর্যাদার কর্মকর্তা। তাই তাকে নিয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে পারবো না। তবে ফুটেজে হামলার স্পষ্ট দৃশ্য রয়েছে। আমি বিষয়টি ময়মনসিংহ বিভাগের উপ-পরিচালক সহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলতে পারবে।

 

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. শাহ আলি আকবর আশরাফীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি একটি মিটিং আছেন বলে ফোন কেটে দেন।

শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি ঘটনাটি অবগত হয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল কাজ করছে। তবে এ ঘটনায় কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।