রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিএমআরসি ভবনে অবস্থিত কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট অফিসে ১৬ মাসের বকেয়া বেতন ভাতার দাবিতে ষষ্ঠ দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) কর্মীরা।
আজ রোববার (৯ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর বিএমআরসি ভবনে অবস্থিত কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট অফিসে ষষ্ঠ দিনের মতো কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
তাদের অভিযোগ, ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর সিএইচসিপি পদটি রাজস্বখাতে অন্তর্ভুক্ত করা হলেও, প্রশাসনিক জটিলতায় ২০২৩ ব্যাচকে রাজস্বখাতে স্থানান্তর করা হয়নি। অথচ ২০১১, ২০১৫ ও ২০১৮ সালের ব্যাচের কর্মীরা একই আইনের আওতায় রাজস্বখাতে স্থায়ী হয়েছেন এবং নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন।
কর্মীরা জানান, বেতন বন্ধ থাকলেও তারা নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছেন, ক্লিনিকের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বলেন, “আমরা আইন অনুযায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত, নিরলসভাবে কাজ করছি। অথচ প্রশাসনিক গাফিলতিতে আমরা পথে বসেছি। স্বাস্থ্যসেবার নামে তৈরি এই কাঠামো এখন কর্মীদের ক্ষুধায় রাখছে। যতক্ষণ পর্যন্ত না বকেয়া বেতন ও রাজস্বখাতে অন্তর্ভুক্তি সম্পন্ন হয়, আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
আরেক আন্দোলনকারী জহিরুল ইসলাম বলেন বলেন, “আমাদের জন্য রাজস্বখাতে পদ সৃজন করা হয়েছে, অর্থ মন্ত্রণালয় বরাদ্দ দিয়েছে, জনপ্রশাসনের অনুমতিও আছে। তবুও আমরা বেতন পাচ্ছি না—এটা কেমন রাষ্ট্রীয় প্রহসন?”
আন্দোলনকারীদের তিন দফা দাবিগুলো হচ্ছে, নিয়মিত বেতন প্রদান, ১৬ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ, ট্রাস্টের সাংগঠনিক কাঠামোয় সৃজিত পদে স্থায়ী নিয়োগ ও চাকরির নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।

ডিজিটাল রিপোর্ট 






















