সরকারের ভুলত্রুটি হলেও গণমানুষের বিরুদ্ধে যায় এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত নাগরিক স্মরণসভায় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি একথা বলেন। চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে এই স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।
স্মরণসভায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সংগ্রামী জীবন নিয়ে আলোচনা করেন জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ভুয়া নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা ফ্যাসিবাদ কায়েমের চুড়ান্ত জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিলেন। সে বছরই ফ্যাসিবাদের প্রকাশ ঘটেছিল। ২০১৫ সালের পর থেকে রাজনৈতিক সংগ্রামকে একটা ঐক্যের জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলো। অন্যদিকে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করা, জাগরণ ঘটানো এবং ফ্যাসিবাদের পতনের জায়গায় নিয়ে যাওয়ার তাগিদ অনুভব করেছিলেন। তিনি ছিলেন ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু।
তিনি আরো বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পরে রাজনীতিতে নেমে আসে হতাশা। সে বছর ৩০ ডিসেম্বর আগের রাতে ভোট হয়ে গেল, তারপর বিএনপির মতো দল ছয়টি আসন নিয়ে সংসদে থাকতে হলো। এমন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় আকারের হতাশা নেমে আসে। ২০১৯ সালে বড় আকারের কোনো রাজনৈতিক সংগ্রাম হয়নি। বিএনপি তখন কীভাবে সংগ্রামের পথ অনুসন্ধান করা যাবে চিন্তা করছিল। সেই সংকটেও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী রাস্তায় দাঁড়িয়ে গেলেন। শেষনিশ্বাস ত্যাগ করার আগ পর্যন্ত তিনি আন্দোলনে ছিলেন।
আলোচকরা বলেন, দেশের ফ্যাসিবাদ বিরোধী সংগ্রামের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এসময় তরুণদের সততার রাজনীতিতে অংশ নেওয়ারও আহ্বান জানান তাঁরা।