কিশোরগঞ্জের ভৈরবে অবস্থিত সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের বাড়িটি এখন কিন্ডারগার্টেন স্কুল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জিল্লুর রহমানের বাসভবনটি ভাড়া নিয়ে কিন্ডারগার্টেন হিসেবে পরিচালিত করছেন তারা।
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জিল্লুর রহমানের বাসভবনটি স্কুল কর্তৃপক্ষকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। জিল্লুর রহমানের বংশধর মরহুম তারা মিয়ার ছেলে নইম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির অংশীদার। কিন্ডারগার্ডেনের মালিক ভৈরবের প্রবীণ শিক্ষক অধ্যক্ষ আবদুল বাসেত। তার অংশীদারের সহায়তায় বাসভবনটি ভাড়া নেওয়া হয়েছে। তবে ভবনটির নিচতলায় স্কুল পরিচালনা করা হলেও দোতলা ভাড়া দেওয়া হয়নি।
এরইমধ্যে হঠাৎ এলাকাবাসীর চোখে পড়ে বাড়িটিতে কিন্ডারগার্টেন স্কুল খোলা হয়েছে। খবর নিয়ে জানা গেলো বাসভবনটি সানফ্লাওয়ার কিন্ডারগার্টেন স্কুল কর্তৃপক্ষকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। জিল্লুর রহমানের চাচাতো ভাই মরহুম তারা মিয়ার ছেলে নঈম আহমেদ এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অংশীদার। স্কুলটির মূল মালিক ভৈরবের প্রবীণ শিক্ষক অধ্যক্ষ আবদুল বাসেত। নঈম আহমেদের সহায়তায় বাসভবনটি ভাড়া নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কিন্ডারগার্টেনের মালিক অধ্যক্ষ আবদুল বাসেত বলেন, আমার স্কুলটি ১৯৮৭ সাল প্রতিষ্ঠা করি। তখন জিল্লুর রহমানের চাচাতো ভাই তারা মিয়া আমার পার্টনার ছিলেন। তিনি মারা গেছেন। এখন তার ছেলে নঈম পার্টনার হিসেবে আমার সঙ্গে আছে। নঈম জিল্লুর রহমানের ওয়ারিশের কারো সঙ্গে আলাপ করে বাড়িটি ভাড়ার ব্যবস্থা করে দেয়।
তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর বাসভবনটি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত করে দুর্বৃত্তরা। ভৈরবের কৃতি সন্তান জিল্লুর রহমান ছিলেন অহিংস নেতা। তিনি কারো ক্ষতি করেছেন বলে আমার জানা নেই। বাসভবনটির সংস্কার করতে আমার অনেক টাকা খরচ হয়েছে। এই টাকা আমি ভাড়া থেকে কর্তন করে নেবো। এভাবেই কথা হয়েছে। তবে আমি নিচতলা ভাড়া নিলেও দোতলা ভাড়া নিইনি। বাসভবনটি শিক্ষার্থীদের পদচারণায় এখন ভালো থাকবে।
স্কুলের পার্টনার নঈম আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি জিল্লুর রহমানের পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। তার দুই মেয়ে কোথায় আছেন সেটাও জানা নেই কারো।

ডিজিটাল রিপোর্ট 



















