সেই বিজয়ের মাসেই টি–টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি এনামুলের,ঢাকাকে হারাল খুলনা ।
এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে ঢাকাকে ২১ রানে হারিয়ে জয়ের ধারায় ফিরেছে খুলনা। এনামুল হক বিজয়ের অসাধারণ সেঞ্চুরির ইনিংসে দলটি এই জয় নিশ্চিত করে। ঢাকার এটি টানা চতুর্থ পরাজয়, ফলে তারা পয়েন্ট টেবিলের একদম তলানিতে অবস্থান করছে। অন্যদিকে, খুলনা দুই হারের পর জয়ে ফিরেছে এবং বর্তমানে পয়েন্ট টেবিলে পঞ্চম স্থানে আছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পেসার ইকবাল হাসান ইমনের শর্ট বলকে পুল শটের মাধ্যমে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগের উপর দিয়ে সীমানা পার করেন এনামুল হক বিজয়। এই শটে জিসান আলমের পর চলতি টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন এই ওপেনার। বিজয়ের সেঞ্চুরি আসে মাত্র ৬৬ বলে।
প্রথমদিকে সতর্ক ব্যাটিং করলেও পরে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন বিজয়। ৩৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি করার পর পরবর্তী ৫০ রান করতে তিনি খেলেন মাত্র ২৮ বল। তার অপরাজিত ১০১ রানের ইনিংসে ছিল ১০টি চার এবং ৫টি ছক্কা। তার এই বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে খুলনা তিন উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১৮০ রান।
ইনিংসের শেষদিকে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানও দারুণ ব্যাটিং করেন। দুটি ছক্কা ও একটি চারের সাহায্যে ২৩ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই বিপর্যয়ে পড়ে ঢাকা। মাত্র ৩২ রানের মধ্যে তারা তিনটি উইকেট হারায়। ওপেনার জাওয়াদ আবরার ১১ রান করে আল আমিন হোসেনের বলে এলবিডব্লিউ হন। রনি তালুকদার ৭ রান করে আউট হন জায়েদ উল্লাহর বলে। অধিনায়ক সাইফ হাসানও ব্যর্থ হন; তিনি ১৩ বলে মাত্র ১০ রান করে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন।
মাঝের ওভারে ঢাকার ব্যাটিং লাইনআপে চাপ বাড়িয়ে দেন খুলনার বোলাররা। ২২ বলে ১৯ রান করা আরিফুল ইসলামের উইকেটও নেন জায়েদ। এরপর তাইবুর রহমান ও মাহিদুল ইসলাম অংকনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ঢাকার পরাজয়ের ব্যবধান কিছুটা কমে।
তাইবুর রহমান ৪১ বলে ৬৩ রানে অপরাজিত থাকেন। তার ইনিংসে ছিল তিনটি চার এবং পাঁচটি ছক্কা। মাহিদুল ইসলাম অংকন ২৩ বলে দুটি চার ও চারটি ছক্কায় ৪৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। তবুও ঢাকার ইনিংস শেষ পর্যন্ত চার উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রানে থামে। খুলনা জয় পায় ২১ রানের ব্যবধানে।
এই জয়ে খুলনা দল আত্মবিশ্বাস ফিরে পেলেও টানা চতুর্থ পরাজয়ের পর ঢাকার জন্য পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে পড়ল।