ক্লাব বিশ্বকাপে এক উত্তেজনাপূর্ণ লড়াই শেষে সেমিফাইনালের টিকিট কনফার্ম করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ২-০ গোলে এগিয়ে থাকা রিয়াল ইনজুরি টাইমে চাপের মুখে পড়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলের নাটকীয় জয়ে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে। পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচে ১০ জনের দল নিয়েও জয় তুলে নেয় লস ব্লাঙ্কোসরা।
ম্যাচের প্রথম থেকেই আধিপত্য দেখাতে থাকে রিয়াল। মাত্র ১০ মিনিটেই দলকে এগিয়ে দেন গনসালো গার্সিয়া। তরুণ মিডফিল্ডার আরদা গুলারের নিখুঁত ক্রস থেকে দুর্দান্ত ভলিতে বল জালে পাঠান ‘নতুন রাউল’ খ্যাত এই ফরোয়ার্ড। ২০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফ্রান গার্সিয়া। তার গোল আসে ডান দিক থেকে ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আর্নল্ডের বাড়ানো বল থেকে। প্রথমার্ধেই ২-০ গোলের লিড নেয় রিয়াল।
তবে দুই মিনিট পরেই ফের ব্যবধান বাড়ায় রিয়াল। গুলারের পাস থেকে অ্যাক্রোবেটিক ওভারহেড কিকে অসাধারণ গোল করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। রিয়াল তখন ৩-১ গোলে এগিয়ে।
শেষ মুহূর্তে সমতায় ফেরার দারুণ সুযোগ পেয়েছিল ডর্টমুন্ড। মিডফিল্ডার স্যাবিটাইজারের নেয়া জোরালো শট কর্নারের দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন রিয়াল গোলরক্ষক কোর্তোয়া। তার সেই সেভ নিশ্চিত করে রিয়ালের জয়।
এ জয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছেছে রিয়াল মাদ্রিদ। সেখানে তারা মুখোমুখি হবে বর্তমান ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন প্যারিস সেন্ট জার্মেইনের (পিএসজি)। অন্য সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে চেলসি ও ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্সে।
ম্যাচশেষে রিয়াল কোচ জাবি আলোনসো প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘সবকিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণেই ছিল, ফলাফলও। কিন্তু শেষ দশ মিনিট ছিল সত্যিই অদ্ভুত। পিএসজির সঙ্গে ম্যাচটা হবে কঠিন, তবে আমরা এই জয় থেকে ইতিবাচক দিকগুলো সঙ্গে নিয়ে পরের ম্যাচের প্রস্তুতি নেব।’
রিয়ালের হয়ে এই ম্যাচে গনসালো গার্সিয়ার এটি ছিল টুর্নামেন্টে তার চতুর্থ গোল, যা তাকে ইতোমধ্যে অন্যতম সেরা উদীয়মান তারকায় পরিণত করেছে।