ময়মনসিংহ , রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
জুলাই সনদ যেন প্রতারণার বস্তুতে পরিণত না হয় বললেন আখতার বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই বললেন সাদিক রাজনৈতিক বিভেদে ফ্যাসিবাদের প্রত্যাবর্তন ঘটলে জাতি ক্ষমা করবে না বললেন সালাহউদ্দিন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ফিল্ডিং করছিলেন, আচমকা মাঠেই লুটিয়ে পড়েন প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে গম আসছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনকালে কোনো দুর্নীতি করিনি বললেন ধর্ম উপদেষ্টা মির্জা ফখরুলের আহ্বান নির্বাচনে সব দলকে অংশ নেওয়ার ৪ দেশের বিশেষজ্ঞ টিম বিমানবন্দরে আগুনের ঘটনা তদন্তে আসছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার হলে জামায়াতের হবে না কেন বললেন মাসুদ কামাল প্রভাসের ‘ফৌজি’, বাংলা ভাষাতেও মুক্তি পাবে
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

সৈকতের বিসিবির চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত ক্ষুব্ধ

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আইসিসি এলিট প্যানেলের আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে বিন সৈকত। ফলে এখন থেকে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে আর আম্পায়ারিং করবেন না আইসিসির এলিট প্যানেলে জায়গা পাওয়া বাংলাদেশের এই আম্পায়ার।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মূলত মোহামেডান অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয়ের শাস্তি কমাতে বাইলজ পরিবর্তনে ক্ষুব্ধ হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সৈকত। এর আগে একই কারণে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের (ডিপিএল) টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান এনামুল হক মনিও পদত্যাগ করেন।

ঘটনার সূত্রপাত ঘটে প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্বে আবাহনীর বিপক্ষে মোহামেডানের ম্যাচে। সে ম্যাচে শরফুদ্দৌলা অবশ্য মূল দৃশ্যে ছিলেন না। মোহামেডানের ইবাদত হোসেনের বলে আম্পায়ার তানভীর আহমেদ এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দেননি। যার ফলে প্রতিবাদ করেন ক্ষুব্ধ মোহামেডান ক্রিকেটাররা। এরপর বিষয়টি মীমাংসা করতে এসেছিলেন সৈকত, তার সঙ্গেও তর্কে লিপ্ত হন সবাই।

ফলে সুপার লীগে প্রথম দুই ম্যাচে একাদশের বাইরেই থাকতে হতো হৃদয়কে। কিন্তু দেখা যায় দ্বিতীয় ম্যাচে  অগ্রনী ব্যাংকের বিপক্ষে মাঠে নেমেছেন তিনি। তখন এ নিয়ে কৌতূহল দেখা দেয় কারণ, শাস্তি কমানো নিয়ে বিসিবি কোনো বিবৃতিও দেয়নি।

পরে জানা যায়, হৃদয়ের শাস্তি কমাতে ডিপিএলের বাইলজই পাল্টে ফেলা হয়েছে। যেখানে ৪ থেকে ৭ ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে দুই ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা ছিল সেটা এক ম্যাচ করা হয়েছে। এতেই ক্ষুব্ধ হন সৈকত। তিনি নিজে কোনো মন্তব্য করতে না চাইলেও, বিসিবির একটি সূত্র মানবজমিনকে জানিয়েছে সৈকত সরাসরি বলেছেন তিনি এই অন্যায় সহ্য করে আম্পায়ারিং করবেন না।

হৃদয় শাস্তি কমানোর জন্য টেকনিক্যাল কমিটির নিকট একটি চিঠি দেন। তবে এটি তাদের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না উল্লেখ করে সেই চিঠির জবাব দেয়নি টেকনিক্যাল কমিটি। পরে তাদের উপেক্ষা করেই বিসিবির আম্পায়ারস বিভাগ নিষেধাজ্ঞা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। অথচ আম্পায়ারস বিভাগের এই এখতিয়ার নেই। শাস্তি কমাতে পারে শুধু সিসিডিএম ও টেকনিক্যাল কমিটি। এ ব্যাপারে কয়েকবার ফোন দিলেও যোগাযোগ করা যায়নি আম্পায়ারিং কমিটির প্রধান বিসিবি পরিচালক ইফতেখার আহমেদ মিঠুর সঙ্গে।

এর আগে একই ঘটনায় পদত্যাগ করেন টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান এনামুল হক মনি। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন, ‘কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট।’ তবে টেকনিক্যাল কমিটির একটি সূত্র মানবজমিনকে জানায়, ‘এসব ক্ষেত্রে কি কেউ সরাসরি বলতে পারে? তাকে তো একটা কারণ দেখাতেই হতো। কিন্তু একটা টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান হুট করে কেন পদত্যাগ করে সেটা তো বুঝতেছেনই। আমি এ বিষয়ে কিছু বলবো না কিন্তু তিনি অসন্তোষ নিয়ে ছেড়েছেন।’

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জুলাই সনদ যেন প্রতারণার বস্তুতে পরিণত না হয় বললেন আখতার

সৈকতের বিসিবির চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত ক্ষুব্ধ

আপডেট সময় ১০:৫১:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আইসিসি এলিট প্যানেলের আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে বিন সৈকত। ফলে এখন থেকে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে আর আম্পায়ারিং করবেন না আইসিসির এলিট প্যানেলে জায়গা পাওয়া বাংলাদেশের এই আম্পায়ার।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মূলত মোহামেডান অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয়ের শাস্তি কমাতে বাইলজ পরিবর্তনে ক্ষুব্ধ হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সৈকত। এর আগে একই কারণে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের (ডিপিএল) টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান এনামুল হক মনিও পদত্যাগ করেন।

ঘটনার সূত্রপাত ঘটে প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্বে আবাহনীর বিপক্ষে মোহামেডানের ম্যাচে। সে ম্যাচে শরফুদ্দৌলা অবশ্য মূল দৃশ্যে ছিলেন না। মোহামেডানের ইবাদত হোসেনের বলে আম্পায়ার তানভীর আহমেদ এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দেননি। যার ফলে প্রতিবাদ করেন ক্ষুব্ধ মোহামেডান ক্রিকেটাররা। এরপর বিষয়টি মীমাংসা করতে এসেছিলেন সৈকত, তার সঙ্গেও তর্কে লিপ্ত হন সবাই।

ফলে সুপার লীগে প্রথম দুই ম্যাচে একাদশের বাইরেই থাকতে হতো হৃদয়কে। কিন্তু দেখা যায় দ্বিতীয় ম্যাচে  অগ্রনী ব্যাংকের বিপক্ষে মাঠে নেমেছেন তিনি। তখন এ নিয়ে কৌতূহল দেখা দেয় কারণ, শাস্তি কমানো নিয়ে বিসিবি কোনো বিবৃতিও দেয়নি।

পরে জানা যায়, হৃদয়ের শাস্তি কমাতে ডিপিএলের বাইলজই পাল্টে ফেলা হয়েছে। যেখানে ৪ থেকে ৭ ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে দুই ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা ছিল সেটা এক ম্যাচ করা হয়েছে। এতেই ক্ষুব্ধ হন সৈকত। তিনি নিজে কোনো মন্তব্য করতে না চাইলেও, বিসিবির একটি সূত্র মানবজমিনকে জানিয়েছে সৈকত সরাসরি বলেছেন তিনি এই অন্যায় সহ্য করে আম্পায়ারিং করবেন না।

হৃদয় শাস্তি কমানোর জন্য টেকনিক্যাল কমিটির নিকট একটি চিঠি দেন। তবে এটি তাদের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না উল্লেখ করে সেই চিঠির জবাব দেয়নি টেকনিক্যাল কমিটি। পরে তাদের উপেক্ষা করেই বিসিবির আম্পায়ারস বিভাগ নিষেধাজ্ঞা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। অথচ আম্পায়ারস বিভাগের এই এখতিয়ার নেই। শাস্তি কমাতে পারে শুধু সিসিডিএম ও টেকনিক্যাল কমিটি। এ ব্যাপারে কয়েকবার ফোন দিলেও যোগাযোগ করা যায়নি আম্পায়ারিং কমিটির প্রধান বিসিবি পরিচালক ইফতেখার আহমেদ মিঠুর সঙ্গে।

এর আগে একই ঘটনায় পদত্যাগ করেন টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান এনামুল হক মনি। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন, ‘কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট।’ তবে টেকনিক্যাল কমিটির একটি সূত্র মানবজমিনকে জানায়, ‘এসব ক্ষেত্রে কি কেউ সরাসরি বলতে পারে? তাকে তো একটা কারণ দেখাতেই হতো। কিন্তু একটা টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান হুট করে কেন পদত্যাগ করে সেটা তো বুঝতেছেনই। আমি এ বিষয়ে কিছু বলবো না কিন্তু তিনি অসন্তোষ নিয়ে ছেড়েছেন।’